ঢাকা, বুধবার, ১২ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ নভেম্বর ২০২৪, ২৫ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

ফিচার

বিশ্বের সবচেয়ে উঁচু গাছের বাড়ি

সানজিদা সামরিন, ফিচার রিপোর্টার | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০১৩২ ঘণ্টা, মে ৫, ২০১৫
বিশ্বের সবচেয়ে উঁচু গাছের বাড়ি

ঢাকা: মাটি, কাঠ, ইট-পাথরের বাড়ির কথা আমরা জানি। গাছের বাড়ির কথাও খুব অজানা নয়।

গাছের বাড়ি মানে গাছকে আঁকড়ে বানানো বাড়ি। এরও রয়েছে রকমফের। কোনোটি ঝুলন্ত, আবার কোনোটি গোটা গাছটিকেই কলাম করে বানানো।

মূলত শখের বসেই প্রকৃতিপ্রেমীরা এ ধরনের বাড়ি তৈরি করেন। তবে, হোরাস বার্জেসের কথা আলাদা। কেন্দ্রীয় দক্ষিণ-পূর্ব মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের টেনেসির এই মন্ত্রী পেয়েছিলেন গাছের বাড়ি তৈরির দৈববাণী!

সময়টা ১৯৯৩ সাল। হোরাস বার্জেস গভীর প্রার্থনায় নিমগ্ন। ঈশ্বর তাকে জানালেন- যদি তুমি একটি গাছের বাড়ি তৈরি করো, তাহলে তুমি কখনই সম্পদহারা হবে না।

প্রার্থনার সময় ঈশ্বরের আদেশের কথা এভাবেই জানালেন বার্জেস।

বার্জেস লেগে পড়লেন কাজে। শুরু করলেন বিশ্বের সবচেয়ে উঁচু গাছের বাড়ি তৈরির কর্মযজ্ঞ।

টেনেসির ক্রসভিল শহর থেকে খানিক দূরে বার্জেস তৈরি করেন ৯৭ ফুট উঁচু গাছের বাড়ি। বাড়িটির মূল কাঠামোর সঙ্গে সংযুক্ত রয়েছে ৮০ ফুট উ‍চুঁ ও ১২ ফুট ব্যাসার্ধের একটি সাদা ওকগাছ। শুধু তাই নয়, পুরো বাড়িটির ভারসাম্য বহন করছে আরও ছয়টি ওকগাছ।

সম্পূর্ণ বাড়ি তৈরিতে লেগেছে মোট দুই লাখ ৫০ হাজার পেরেক এবং মোট নির্মাণ খরচ পড়েছে ১২ হাজার মার্কিন ডলার। অর্থাৎ, বাংলাদেশি টাকায় প্রায় ৯ লাখ ৮০ হাজার টাকা।

পাঁচতলা বিশিষ্ট এই ভবনটিতে রয়েছে ৮০টি কক্ষ, একটি গির্জা ও বেল টাওয়ার। বাড়িটির আয়তন ১০ হাজার বর্গক্ষেত্র। বলা যায় প্রায় দুটো গির্জার সমান এই বাড়িটি। যদিও এ যাবত সবচেয়ে উঁচু গাছের বাড়ি নামে কোনো গিনেস রেকর্ড হয়নি, তবুও বেসরকারিভাবেই বার্জেসের এই বাড়িটি বিশ্বের সবচেয়ে উঁচু গাছের বাড়ি হিসেবেই পরিচিত।

বার্জেসের বাড়িটি মূলত ব্যবহৃত হচ্ছে উপাসনালয় হিসেবে। বাড়ির সামনের সবুজ মাঠে আ‍ঁকা রয়েছে বিশাল আকৃতির ক্রুশ চিহ্ন ও লেখা হয়েছে যিশুর নাম।

বাড়ি তৈরির পর বার্জেস বলেছিলেন- এখানে তার নিজের কোনো ব্যক্তিগত সম্পদ নেই। এটি ঈশ্বরের ঘর। এখানে সবার প্রবেশ অধিকার রয়েছে।

তবে, অবাধ প্রবেশের জন্য পরবর্তীতে ভবনটির বেশকিছু ক্ষয়ক্ষতি হয়। তাই ২০১২ সালের পর ভবনের আইন-কানুন কিছু পরিবর্তন করা হয়েছে। বার্জেসের ভাষ্য- ভবনের যথাযথ ব্যবহার না করার জন্য এর অবাধ প্রবেশ নিষেধ করে দেওয়া হয়েছে।

এর পরের বছরগুলোতে বার্জেস এই ভবনে অনন্য শৈল্পিক কারুকার্য আনয়ন করেছেন। যা এর আর্থিক মূল্য বাড়িয়ে তুলেছে দ্বিগুণ।

তথ্যসূত্র: ইন্টারনেট

বাংলাদেশ সময়: ০১২১ ঘণ্টা, মে ০৫, ২০১৫
এএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।