ঢাকা, বুধবার, ১১ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ নভেম্বর ২০২৪, ২৫ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

ফিচার

ঠাণ্ডা-গরমে কাশির দাওয়াই

সানজিদা সামরিন, ফিচার রিপোর্টার | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০২৫১ ঘণ্টা, মে ১২, ২০১৫
ঠাণ্ডা-গরমে কাশির দাওয়াই

ঢাকা: গ্রীষ্মকালে গরম তো পড়বেই আর তীব্র গরমে প্রচুর ঘাম হয়। তাছাড়া গরমে বারবার গোসল ও দীর্ঘ সময় এসি রুমে থাকার ফলে ঠাণ্ডা লেগে কাশি হতে পারে।

কাশি হলে অনেক সময় গলাব্যথা ও গলা বসে যায়।

ঠাণ্ডা, কাশি, গলাব্যথা ও টনসিল এসবের জন্য ডাক্তারের পরামর্শ ও ওষুধ সেবনের পাশাপাশি কিছু ঘরোয়া পদক্ষেপ নেওয়া প্রয়োজন। মূলত এসব সমস্যা সমাধানে ব্যক্তিগত সাবধানতা ও নিয়ম মেনে চলা খুব গুরুত্বপূর্ণ।
 
অতি প্রাচীনকাল থেকেই ঠাণ্ডা-কাশি নিরাময়ে ঘরোয়া ভেষজ উপাদান ব্যবহৃত হয়ে আসছে। চলুন তবে জেনে নিই এসব সমস্যা সমাধানে কী কী করণীয়।

মধু

মধু কাশির জন্য খুব ভালো ওষুধ। এটি গলার খুসখুসে ভাব কমায় ও দ্রুত আরাম দেয়। মধু গরম বলে এটি ঠাণ্ডা প্রতিরোধ করে। কাশি সারাতে হালকা গরম পানিতে মধু মিশিয়ে খেতে পারেন। আঙ্গুরের রসের সঙ্গে মধু মিশিয়ে খাওয়া যেতে পারে। আঙ্গুরের রস ফুসফুস ও গলার ভেতর থেকে মিউকাস দূর করতে সহায়ক ভূমিকা পালন করে। এছাড়াও চায়ে চিনির পরিবর্তে মধু ব্যবহার করতে পারেন।

আদা

অতি প্রাচীন কাল থেকেই ঠাণ্ডা, জ্বর, কাশি ও মাথাব্যথার ওষুধ হিসেবে আদার রস ব্যবহৃত হয়ে আসছে। আদা চা গলার কফ পরিষ্কার করে ও খুসখুসে ভাব কমায়। আদা কুচি করে পানিতে ১০ মিনিট সেদ্ধ করুন। কাপে টি ব্যাগ রেখে আদাসহ সেদ্ধ পানি ঢালুন। হালকা লবণ মিশিয়ে পান করুন। তাৎক্ষণিক আরাম পেতে এর জুড়ি নেই। এছাড়াও আদা রস করে তাতে মধু মিশিয়ে ১০ সেকেন্ড গরম করে দিনে তিনবার খান। দ্রুত কাশি দূর হয়ে যাবে।

রসুন

রসুনে রয়েছে আলিসিন ও অন্যান্য অর্গানোসালফার উপাদান যা সংক্রমণকারী ভাইরাস ও ব্যাকটেরিয়ার বিনাশ করে। গলা বসে গেলে রসুন থেঁতো করে গ্লাসে রাখুন। এরপর গ্লাসে গরম পানি ঢালুন। পাঁচ মিনিট ঢেকে রেখে দিন। মিশ্রণটি পান করুন, আরামবোধ করবেন।

লেবু

লেবুতে রয়েছে সাইট্রিক এসিড যা ঠাণ্ডার ভালো ওষুধ। লেবু চা খেতে পারেন। ঈষৎ গরম পানিতে মধু ও লেবুর রস দিয়ে খেলেও ভালোবোধ করবেন। গলাব্যথা বা গলা বসে গেলে গরম পানিতে লেবুর রস ও সামান্য লবণ দিয়ে গড়গড়া করুন। এভাবে দিনে বেশ কয়েকবার করুন।  

গোলমরিচ
 
কফযুক্ত কাশি নির্মূলে গরম পানিতে এক চা চামচ গোলমরিচ গুড়ার সঙ্গে দুই চা চামচ মধু মিশিয়ে ১৫ মিনিট রেখে দিন। গোলমরিচের দানা নিচে জমা হলে ধীরে ধীরে পান করুন।

পেঁয়াজের রস

পেঁয়াজের রস কাশি নিরাময় করে, এটি অনেকেরই অজানা। পেঁয়াজ রস করে তাতে মধু দিয়ে খেতে পারেন। এছাড়াও খাবারের সঙ্গে খেতে পারেন কাঁচা পেঁয়াজ।

লবঙ্গ

লবঙ্গ সেদ্ধ পানিতে সামান্য লবণ মিশিয়ে খান। এটি ভীষণ উপকারী। এছাড়াও লবঙ্গ ও আদা পানিতে ১৫ মিনিট সেদ্ধ করে সেই পানি দিয়ে গড়গড়া করতে পারেন, গলাব্যথা কমে যাবে।

কাশি হলে যা খাবেন
কাশি দু’রকমের হয়, শুকনো ও কফযুক্ত কাশি। কাশির ধরনভেদে এর চিকিৎসাও আলাদা।
শুকনো কাশিতে আদা, পেঁয়াজ, পেঁয়াজপাতা, মিষ্টিকুমড়া ও দারচিনি ভালো ভূমিকা রাখে। তবে কাশির সঙ্গে যদি কফ থাকে তাহলে দুধ, মধু, টমেটো, আমন্ড ও  হাঁসের মাংস খেলে উপকার পাবেন।  

যা খাবেন না
কাশির দাওয়াইয়ের সঙ্গে সঙ্গে এটাও জেনে রাখা প্রয়োজন, ঠাণ্ডা লাগলে বা কাশি হলে কোন কোন খাবার বর্জন করতে হবে। কাশি হলে ঠাণ্ডা পানি, আইসক্রিম, কলা, ঝালজাতীয় খাবার, কার্বোনেটেড ড্রিংক্স, টক জাতীয় খাবার যেমন- আচার, ভিনেগার খাওয়া যাবে না। তবে লেবু খেলে ক্ষতি নেই। ধূমপান থেকে বিরত থাকুন।

বাংলাদেশ সময়: ০২৪৩ ঘণ্টা, মে ১২, ২০১৫
এসএস

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।