ঢাকা, বুধবার, ১১ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ নভেম্বর ২০২৪, ২৫ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

ফিচার

গ্রীষ্মে ফুল বাজারের হালচাল

নাজমুল হাসান, ফিচার রিপোর্টার | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০৬৫৬ ঘণ্টা, মে ৩০, ২০১৫
গ্রীষ্মে ফুল বাজারের হালচাল ছবি: বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম

ঢাকা: ফুলের প্রতি মানুষের ভালোবাসা চিরন্তন। সৌন্দর্য ও বিশুদ্ধতার প্রতীক ফুলের চাহিদা কোনো কালেই কম ছিলো না।

সারা বছরই বিয়ে, জন্মদিন, প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীসহ নানান অনুষ্ঠানে প্রয়োজন ফুলের। রয়েছে একুশে ফেব্রুয়ারি, ১৬ ডিসেম্বরের মতো জাতীয় উৎসবও।

চাহিদা সারাবছর প্রায় একইরকম থাকলেও ঋতুভেদে দামে দেখা যায় তারতম্য।

শীতকালে ফুলের দাম কিছুটা কম থাকলেও গ্রীষ্মে বেড়ে যায়। কারণ শীতে ঠাণ্ডা আবওহাওয়ায় ফুল নানাভাবে সংরক্ষণ করা গেলে গ্রীষ্মে তা করা সম্ভব হয় না। তাছাড়া দেশি ফুল এসময় কম উৎপাদন হয়। আমদানি নির্ভরতা বেশি থাকে। আমদানি করা ফুল আবার নষ্টের ভয়ও থাকে গরমে। এসব কারণে পাইকারি ও খুচরা বাজারে ফুলের দাম বেড়ে যায়।

রাজধানীর কয়েকটি ফুলের পাইকারি বাজার শাহবাগ, ফার্মগেট ও আগারগাঁও ঘুরে দেখা যায়, প্রতিটি গোলাপ ১০ থেকে ১২ টাকা, গ্লার্ডিওলাস প্রতি স্টিক ৩০ টাকা, সাদা গোলাপ ১৫ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে।

এছাড়া জারবেরা ৩০ টাকা, ভুট্টা ফুল এক জোড়া ১০ টাকা,  সূর্যমুখী ১৫ টাকা, ইন্ডিয়ান গোলাপ ২০ টাকা, জিপসি ১০ টাকা, স্টারকলি ১৫ টাকা, টুনটুনি ৮ টাকা বিক্রি হচ্ছে।  

বিভিন্ন উৎসব ও চাহিদা অনুযায়ী ফুলের দাম আরও বেড়ে যায়। তবে ব্যবসায়ীরা জানান, শীতে এসব ফুলের প্রতিটি ৩ থেকে ৫ টাকা কমে পাওয়া যায়।

শাহবাগে আর্দশ ফ্লাওয়ার শপের মালিক আব্দুর রহমান বাংলানিউজকে বলেন, আমাদের প্রতিদিনই ফুল আমদানি করতে হয়। কিছু ফুল আসে বিদেশ থেকে আর কিছু দেশের বিভিন্ন জায়গা থেকে। আমাদানি শীতের সময় বেশি থাকে। ফলে চাহিদার তুলনায় ফুল বেশি থাকায় ফুলের দামও কমে। আর গ্রীষ্মে পুরো তার উল্টো হয়।

শাহবাগের ফুলবাহার পুষ্প কেন্দ্রের খুচরা বিক্রেতা জালাল মিয়া বলেন, পাইকারি বাজারে ফুলের দাম বাড়লে আমাদেরও বাড়াতে হয়। কারণ ৪/৫ টাকা লাভ না করলে তো ব্যবসা চলে না। এছাড়া  আমরা ফুল ব্যবসায়ীরা মূলত ডিসেম্বর থেকে মার্চ পর্যন্ত ব্যবসা করি। এসময় বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ দিবস ছাড়াও বিয়ে ও কনসার্টের আয়োজন চলে। তখন ব্যবসায়ীরা নির্দিষ্ট দামের বাইরে গিয়েও যে যার মতো ফুল বিক্রি করে।

তবে ফুলের দাম বেশি হওয়ায় দাম বেড়েছে ফুলের তৈরি অন্যান্য জিনিসেরও। এখন ফুলের তৈরি এনবুকে ১২০ টাকা, ফুলের সাইড ঝুড়ি বড়টি ৩০০ টাকা এবং ছোটটি ১৫০ টাকা, ফুলের কর্নার ঝুড়ি ২০০ থেকে ৩০০, গাদা ফুলের মালা প্রতি পিছ ১৫ টাকা, কাঠবেলি মালা প্রতি পিছ ৮ টাকা, ফুলের রিং ২০ টাকা, ফুলের গয়না সেট ৮শ টাকা।

ফুল ব্যবসায়ীরা বিভিন্ন অনুষ্ঠানের জন্য ফুল দিয়ে মঞ্চ সাজানোর পাশাপাশি বিয়ের অনুষ্ঠানের জন্য ফুল দিয়ে গাড়ি সাজানো, বাসর ঘর সাজানো, ফ্লোর আলপনা ও পালকি সাজানো ইত্যাদি কাজও করে। প্রয়োজনে যোগাযোগ করতে পারেন তাদের সঙ্গে। ফুল সজ্জা পুষ্প কেন্দ্র, শাহবাগ ঢাকা, ফোন-০১৭২৩৭৮৫০৮৮, আর্দশ ফ্লাওয়ার শপ, শাহবাগ ঢাকা, ফোন-০১৯১১৭৭৫৬৫৮, নিউ কনক চাঁপা পুষ্প কেন্দ্র, শাহবাগ ঢাকা, ফোন-০১৭১১০৫৩৭০৫, নওমি পুষ্পালয়, শাহবাগ  ঢাকা, ফোন-০১৯২৬৮৪৫০৯০।

বাংলাদেশ সময়: ০৬৫৫ ঘণ্টা, মে ৩০, ২০১৫
এএ/

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।