ঢাকা, বুধবার, ১১ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ নভেম্বর ২০২৪, ২৫ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

ফিচার

লোহার স্ক্রু’টি ৩০ কোটি বছর আগেকার! (ভিডিও)

আন্তর্জাতিক ডেস্ক | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০১০৫ ঘণ্টা, জুন ২৫, ২০১৫
লোহার স্ক্রু’টি ৩০ কোটি বছর আগেকার! (ভিডিও) ছবি: সংগৃহীত

ঢাকা: একেবারেই অসম্ভব ব্যাপার! তারপরও বিশ্বাস করতে হচ্ছে, এটি সত্যি একটি ঘটনা। ৩০ কোটি বছর (৩০০ মিলিয়ন বছর) আগেকার তৈরি একটি লোহার স্ক্রু’র সন্ধান পাওয়া গেছে।



সে সময় খামারের কাজে দুটি পাথরকে এই স্ক্রু দিয়ে আটকানো ছিল ছিল বলে বিজ্ঞানীরা প্রমাণ পেয়েছেন। তখন তো পৃথিবীতে ডাইনোসর যুগের শুরু হয়নি। তাহলে উন্নত সভ্যতার এই লোহার স্ক্রু কোথা থেকে আসবে! তবে কী অন্য কোনো গ্যালাক্সি থেকে আসা উন্নত সভ্যতার প্রাণী (অ্যালিয়েন- বহিরাগত প্রাণী) এই আধুনিক যুগের লোহার স্ক্রু তৈরি করে নিজেদের দৈনন্দিন কাজে লাগিয়েছিল! বিষয়টা আর অসম্ভব মনে করেছেন না বিজ্ঞানীরা।

কারণ, ইদানিং বিজ্ঞানীরা ধারণা করছেন, এই সৌরমণ্ডল কিংবা আমরা যে অ্যান্ড্রোমিন্ডা গ্যালাক্সিতে (লক্ষ কোটি কোটি তারকা থাকে এক একটা গ্যালাক্সিতে। সেখানে একেকটি তারকাকে কেন্দ্র করে সৌরমণ্ডল গড়ে ওঠে। যেমন, সূর্যকে কেন্দ্র করে আমাদের এই সৌরমণ্ডল গড়ে উঠেছে) আছি, এই গ্যালাক্সির কোনো সৌরমণ্ডলের কোনো গ্রহ থেকে কিংবা অন্য কোনো গ্যালাক্সির সৌরমণ্ডলের কোনো গ্রহ থেকে আসা উন্নত বুদ্ধিমান প্রাণী এই লোহার স্ক্রু তৈরি করে থাকতে পারে।

বিজ্ঞানীরা বলছেন, এই স্ক্রু’টির বয়স ৩০ কোটি থেকে ৩০ কোটি ২০ লাখ বছর আগেকার। তারা প্রমাণ করতে সক্ষম হয়েছেন, স্ক্রু’টি লোহার অণু দিয়ে তৈরি। শুধু তাই-ই নয়, স্ক্রু’তে যথারীতি আধুনিক সময়ের প্যাঁচ কাটা রয়েছে।

এ ছাড়াও দুটি পাথরকে স্ক্রু দিয়ে সেঁটে দেওয়ার জন্য মাঝখানে সিলিকনের তৈরি অপরিবাহী রয়েছে, যা ফিউজ হিসেবে কাজ করেছে।

এই ক্রু’টি ১৯৯৮ সালে রাশিয়ার রাজধানী মস্কো শহরের বাইরে খুঁজে পাওয়া যায়।  

বিজ্ঞানীদের অনুমান, হয়ত উন্নত সভ্যতার কোনো অবদান এটি। হয়ত অন্য কোনো গ্যালাক্সির বুদ্ধিমান প্রাণীর সভ্যতার নিদর্শন হতে পারে।

নিচের ভিডিও ক্লিপ দেখে বোঝা যায়, এই ধাতব স্ক্রু’টি কী দিয়ে তৈরি!

প্রথম যখন এই স্ক্রু’টি খুঁজে পাওয়া যায়, তখন প্রাথমিকভাবে বিজ্ঞানীরা ধারণা করেছিলেন, এটি হয়ত কোনো খামারে ব্যবহৃত যন্ত্রে ব্যবহৃত হয়েছে। পরে যখন কার্বন ডেটিং করা হয়, তখন এর স্থিতিকাল বোঝা যায়। তারা অবাক হয়ে যান, এটি এখন থেকে ৩০ কোটি কিংবা ৩০ কোটি ২০ লাখ বছর আগে ব্যবহৃত হয়েছে।

তবে বর্তমানে বিজ্ঞানীরা একটা মতে আসার চেষ্টা করছেন যে, হয়ত এটি মানুষের তৈরি ধাতব স্ক্রু অথবা প্রাকৃতিকভাবে তৈরি হতে পারে।

আরো অবাক করার বিষয়, এটিই একমাত্র স্ক্রু নয়। এর আগেও আরো একটা স্ক্রু’র সন্ধান পাওয়া যায়। সেটি রাশিয়ার কালুগা অঞ্চল থেকে খুঁজে পাওয়া গেছে।

দ্বিতীয় স্ক্রুটি উদ্ধারের ইতিহাস হচ্ছে, ১৯৯৮ সালে মস্কো থেকে ৩০০ কিলোমিটার দক্ষিণ-পূর্বে একটি ধাতবের মধ্যে এই স্ক্রু’টি খুঁজে পান এক বিজ্ঞানী। তখন বিজ্ঞানীরা এর কার্বন ডেটিং করে জানতে পারেন, স্ক্রু’টির আনুমানিক বয়স ৩০ কোটি কিংবা ৩০ কোটি ২০ লাখ বছর।

এটি যখন খুঁজে পাওয়া যায়, তখন পৃথিবীতে ডাইনোসরেরও আগমন ঘটেনি। সেই সময় বুদ্ধিমান প্রাণীর কল্পনা করা তো পুরোপুরিই অসম্ভব।

বিজ্ঞানীরা দেখেছেন, স্ক্রু’টি সেন্টিমিটার ও প্রস্থ তিন মিলিমিটার। পাথর খণ্ডটিকে এক্সরে করে দেখা গেছে, এতে দুটি স্ক্রু ব্যবহৃত হয়েছে এবং এটিতে গোলাকার দুটি গর্ত আছে, স্ক্রু এঁটে দেওয়ার জন্য।

দ্বিতীয় স্ক্রু’টি পাওয়ার পর বিভিন্ন স্থান থেকে আসা ভূতত্ত্ববিদ, পদার্থবিদ, পুরাতত্ত্ববিদ, খনিবিশেষজ্ঞরা পরীক্ষা করে দেখেছেন, স্ক্রু’টির গায়ে পাথর লেপ্টে আছে। পরীক্ষা করার পর সবাই একবাক্যে একমত হয়েছেন, স্ক্রু’টি কৃত্রিমভাবে তৈরি। প্রাকৃতিকভাবে তৈরি হয়নি এটি।

অর্থাৎ তারা বদ্ধমূলভাবে বলতে বাধ্য হয়েছেন, এটি হয়ত কোনো উন্নত সভ্যতার অবদান, যা অন্য কোনো গ্যালাক্সি কিংবা গ্রহ থেকে আসা বুদ্ধিমান প্রাণীর দৈনন্দিন জীবনে কাজে লাগতো!



বাংলাদেশ সময়: ০১০০ ঘণ্টা, জুন ০০, ২০১৫
এবি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।