ঢাকা, শনিবার, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ২৮ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

ফিচার

বিশ্বের অদ্ভুত এক বাজার (ভিডিওসহ)

ফিচার ডেস্ক | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০১০৬ ঘণ্টা, আগস্ট ১২, ২০১৫
বিশ্বের অদ্ভুত এক বাজার (ভিডিওসহ)

ঢাকা: রাস্তার উপর ছাউনি তুলে বসা বাজারের রাস্তার দু’ধারে দিব্যি চলছে বিকিকিনি। মাঝের রাস্তাটি বড়ই সংকীর্ণ।

দু’জন মানুষ একসঙ্গে কোনোরকম পাশাপাশি হেঁটে চলার মতো। বিক্রি হচ্ছে সবজি, ম‍াছ সবই। ক্রেতা-বিক্রেতাদের মধ্যে নারীই বেশি।

কিন্তু জমজমাট বাজারটি হঠাৎই হতে শুরু করে ফাঁকা। ফাঁকা মানে বিক্রেতারা ব্যস্ত হয়ে পড়েন ছাউনি সরিয়ে নিতে। ক্রেতারাও চিকন রাস্তাটি ছেড়ে দিয়ে সটকে পড়েন একপাশে। যিনি প্রথমবার এ বাজারে যাবেন, তিনি একটু দ্বিধাগ্রস্ত হয়ে পড়বেন। হচ্ছে টা কি!

তবে বেশিক্ষণ অপেক্ষা করতে হবে না। একটু পরেই বেজে উঠবে হুইসেল। আর সামনে তাকালেই দেখতে পাবেন আসছে দানবের মতো ট্রেন। বাজারের মধ্যে এভাবে চলে আসা সত্যি দানবের মতো।

বিষয়টি খুলে বল‍া যাক। এতক্ষণ যে বর্ণনা পড়লেন সেটি আসলে থাইল্যান্ডের একটি রেলওয়ে মার্কেট। নাম মায়েকলং রেলওয়ে মার্কেট বা টালাড (বাজার) রম (ছাতা) হুপ (টেনে নিচে নামানো)। ব্যাংকক থেকে ৭৫ কিলোমিটার দক্ষিণ-পশ্চিমে এর অবস্থান।

প্রতিদিন ভোরে শুরু হয় অদ্ভুত এ বাজার। চলে সন্ধ্যা পর্যন্ত। মজার ব্যাপার বাজারটির একটি অংশ বসে একেবারে রেলের লাইন ঘেঁষে। খুব ভালো করে না দেখলে বোঝারও উপায় নেই যে এটা রেললাইন।

যখন ট্রেন আসার সাইরেন বাজে তখন বিক্রেতারা উপরের অস্থায়ী ছাউনি সরিয়ে ট্রেন যাওয়ার জায়গা করে দেন। সরিয়ে নেন লাইনের একেবারে উপরে থাকা জিনিসগুলো। আর পাশের জিনিস থাকে সেভাবেই। রকমারি টাটকা সবজি, সাগরের মাছ ও কাপড়ের জন্য এ মার্কেটের জনপ্রিয়তা বেশ।

দিনে অন্তত সাতবার এই মার্কেটের উপর দিয়ে চলে ট্রেন। ট্রেনটি এসময় চলে একটু ধীর গতিতে। আর ট্রেনটি চলে যাওয়ার পরপরই ফের স্বাভাবিক অবস্থায় ফিরে যায় বাজার। রেললাইনের পাশে বাজার স্বাভাবিক ঘটনা হলেও এটি একেবারেই আলাদা। পুরো বিষয়টি বেশ নাটকীয়।

বলা হয়, এ বাজারটিতে গেলে আসল থাই জীবন উপভোগ করা যায়। অদ্ভুত এ বাজারটি দেখতে ভিড় জমান প্রচুর সংখ্যক দর্শনার্থী।

পুরো বিষয়টি সাধারণ মানুষের জন্য অনেকটা অস্বাভাবিক। সেখানে যাওয়া নতুনদের জন্যও। কিন্তু মায়েকলং রেলওয়ে মার্কেট সংলগ্ন ক্রেতা-বিক্রেতা, দর্শনার্থীরা খুবই সচেতন। কোনো দুর্ঘটনার কথাও এখানে শোনা যায় না। তারা এ জীবনে অনেকটাই অভ্যস্ত।



বাংলাদেশ সময়: ০১০৭ ঘণ্টা, আগস্ট ১২, ২০১৪
এএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।