ঢাকা, মঙ্গলবার, ১১ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৬ নভেম্বর ২০২৪, ২৪ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

ফিচার

ভেড়ার লোমের ওজন প্রায় ৫০ কেজি!

ফিচার ডেস্ক | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০২২৩ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ৪, ২০১৫
ভেড়ার লোমের ওজন প্রায় ৫০ কেজি!

ঢাকা: ভেড়াটির শরীরে ছিলো প্রায় ৫০ কেজি উল। গোটা শরীরটাকে মনে হতো একটি উলের স্তূপ।

লোমে তার দু’চোখ পর্যন্ত ঢাকা পড়ে গিয়েছিলো। বৃহস্পতিবার (৩ সেপ্টেম্বর) সে ফিরে পেয়েছে তার প্রকৃত রূপ। গড়েছে সবচেয়ে বেশি লোমের রেকর্ড।

ক্রিস নামের ভেড়াটিকে নিউ সাউথ ওয়েলস অ্যাক্ট সীমান্তের কাছে পাওয়া গেছে। আগে স্থানীয় একটি দল ক্রিসকে অবশ্য দেখেছে বেশ কয়েকবার । তবে গত এক সপ্তাহ আগে ইংল্যান্ড ও ওয়েলস ভিত্তিক রয়েল সোসাইটি ফর দ্য প্রিভেনশন অব ক্রুয়েলিটি টু অ্যানিম্যাল (আরএসপিসিএ) তাকে কর্তৃপক্ষ শনাক্ত করেছে ভেড়াটিকে। এর আগে সে দলছাড়া হয়ে পড়ে।

উলের ওজনে ভেড়াটি শারীরিকভাবে বিপর্যস্ত ছিলো। আরএসপিসিএ এর অ্যাক্ট চিফ এক্সিকিউটিভ টামি ভেন ডেঞ্জ জানান, উলের ভারে তার হাঁটতে কষ্ট হতো। স্বাস্থ্যহানির পাশাপাশি মৃত্যুঝুঁকিও ছিলো ক্রিসের।

পশু কল্যাণ প্রতিষ্ঠানটি ভেড়াটির লোম ছাঁটাই করতে ইয়ান এলকিনসকে খবর দেন। এলকিনস মোট চারবার অস্ট্রেলিয়ার


লোম ছাঁটাই চ্যাম্পিয়নশিপ বিজয়ী হয়েছেন। তিনি   বৃহস্পতিবার সকাল নয়টা থেকে ভেড়াটির লোম কাটতে শুরু করেন। পুরো ভেড়ার লোম কাটতে তার সময় লেগেছে এক ঘণ্টার মতো।

এলকিনস জানান, আমি এমন এর আগে দেখিনি।

সম্পূর্ণ ছাঁটাইয়ের পর উলের ওজন হয় প্রায় ৫০ কেজি। প্রতি তিন মিনিটে তিনি পাঁচ কেজি উল কেটেছেন। এর আগে নিউজিল্যান্ডের শ্রেক নামের এক ভেড়ার উল ছাঁটাইয়ের পর ওজন হয়েছিলো ২৭ কেজি।

ক্রিস ভাঙলো বিগত বছরের সব রেকর্ড।


ডেঞ্জ জানান, লোম ছাঁটাইয়ের পর ক্রিসকে ভালো দেখাচ্ছে।

প্রতিষ্ঠানটির মুখপাত্র জানান, ক্রিস নিজের পাল থেকে আলাদা হয়ে গিয়েছিলো। বছর দুই সে যাযাবর অবস্থায় ছিলো সে।

তিনি আরও জানান, অস্ট্রেলিয়ার পশু চিকিৎসকরা বলেছেন কিছু সময় পর্যবেক্ষণে রাখা হবে ক্রিসকে।

ক্রিসের শরীরে ১২ ইঞ্চি পুরু জট পাকানো এই লোমগুলো সংক্রমণের লক্ষণ হতে পারে। তবে এমন ভেড়া অস্ট্রেলিয়ায় এই প্রথম নয়। জানান ডেঞ্জ।

গত বছর সেপ্টেম্বরে তাসমানিয়ার এক ঝোঁপে শন নামের একটি ভেড়া খুঁজে পাওয়া যায়।

প্রায় ছয় বছর আগে হারিয়ে গিয়েছিলো এটি। শনের উলের ওজন ছিলো প্রায় সাড়ে ২৩ কেজি। ছবিতে তার পা বরাবর ফুসকুড়ি ও রক্তপাত দেখা যায় সে সময়।

তবে এসব ভেড়া কীভাবে পাল থেকে আলাদা হয়ে পড়েছে তার সঠিক কারণ প্রতিষ্ঠানটির অজানা।


আরএসপিসিএ আশা করছে ক্রিস শিগগিরই তার নতুন বাসস্থান খুঁজে পাবে। এক স্থানীয় কৃষক তার খোঁয়াড় খুলে দেবে বলেও আশ্বাস দিয়েছেন।  

তথ্যসূত্র: ইন্টারনেট।

বাংলাদেশ সময়: ০২০৫ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ০৪, ২০১৫
এসএমএন/এএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।