ঢাকা, মঙ্গলবার, ১১ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৬ নভেম্বর ২০২৪, ২৪ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

ফিচার

কামরাগুলো ছিলো সিরামিকের পাত্রের মতো

ফিচার ডেস্ক | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০১৩৪ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ৯, ২০১৫
কামরাগুলো ছিলো সিরামিকের পাত্রের মতো

ঢাকা: তুরস্কের ভ্যান শহরের মাটি খুঁড়ে পাওয়া গেছে প্রাচীন আরেক সাম্রাজ্যের খোঁজ। ঐতিহাসিকদের বিশ্বাস, গুপ্ত এ রাজ্যটি প্রায় তিন হাজার বছরের পুরোনো।



মাটির নিচে গুপ্ত সাম্রাজ্য খুঁজের পাওয়ার ঘটনা হর-হামেশাই ঘটছে। কিন্তু উল্লেখ্য এই, ভ্যানে মাটির নিচে খুঁজে পাওয়া প্রাসাদটির কামরাগুলো দেখতে পিথস আকৃতির। অর্থাৎ, বড় সিরামিকের পাত্রের মতো। ওপর থেকে যদি ছাদের অংশবিশেষ দেখা হয়, তাহলে মনে হবে সারি সারি পাত্র ঢাকনা দিয়ে ঢেকে রাখা হয়েছে। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এ প্রাসাদ উরাতু রাজ্যের অংশবিশেষ।


লৌহ যুগীয় উরাতু রাজ্য আর্মেনিয়ান পার্বত্য অঞ্চলে লেক ভ্যানের কাছে অবস্থিত। খ্রিস্টপূর্ব মধ্য-নবম শতাব্দী থেকে তুরস্ক উরাতুর পরিচালনার অন্তর্ভুক্ত ছিলো। মেডেসদের কাছে পরাজিত হওয়ার আগ পর্যন্ত এদের হাতে রাজত্ব ছিলো।
জেনে নিই, মেডেস হলো প্রাচীন উত্তর-পশ্চিম ইরানি জনগণ।  

সেসময় ভ্যান ছিলো উরারতিয়ান রাজ্যের রাজধানী। পরে খ্রিস্টপূর্ব ষষ্ঠ শতাব্দীর শুরুর দিকে তা ভূমিকম্পে ধসে পড়ে।  

মাটির নিচে চাপাপড়া হাজার হাজার বছরের প্রাচীন রাজ্য-ভাণ্ডার উদ্ধারের উদ্দেশ্যে প্রতি গ্রীষ্মে প্রায় পঞ্চাশের মতো প্রত্নতত্ত্ববিদ ভ্যান দুর্গে বার্ষিক খননকাজে অংশ নেন।


দেশটির  সংস্কৃতি ও পর্যটন মন্ত্রণালয়ের অনুমতিক্রমে বিশ্ববিদ্যালয় ভিত্তিক দলগুলো এখানে একসঙ্গে কাজ করছে। বর্তমানে তারা প্রাসাদ ও উত্তরের কোয়ার্টারের ছাদ খনন কাজ করছেন।  

ইস্তানবুল বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ড. এরকান কনিয়ার জানান, আমাদের কাজের লক্ষ্য হচ্ছে প্রাচীন ভ্যান শহর রক্ষা ও এর সংস্কার। আমরা বিগত বছরগুলোতেও এ এলাকা রক্ষার স্বার্থে কাজ করেছি।

ভ্যান খনন কাজের মাত্র ৩৮ কিলোমিটার দূরে উরাতু দুর্গের খনন কাজও চলছে। এ বছর প্রত্নতাত্ত্বিকরা দুর্গের দেয়ালের কিছু অংশ আবিষ্কার করেছে।


দলের প্রধান ড. মেহমেত ইসিক্লাই জানান, কাজটির মধ্যে ব্যাপক উত্তেজনা রয়েছে।

দুর্গের দেয়ালগুলো এক ভয়াবহ ভূমিকম্পের সাক্ষী। তবুও  স্থাপত্যটি এখনও বেশ জোরালো ও অপরিবর্তিত অবস্থাতেই রয়েছে। যোগ করেন মেহমেত।

তথ্যসূত্র: ইন্টারনেট

বাংলাদেশ সময়: ০১৩৫ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ০৯, ২০১৫
এসএমএন/এএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।