ঢাকা, মঙ্গলবার, ১১ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৬ নভেম্বর ২০২৪, ২৪ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

ফিচার

হরিষে বিষাদ!

বাংলানিউজ ডেস্ক | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০০২৫ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ১০, ২০১৫
হরিষে বিষাদ! ছবি: সংগৃহীত

যুক্তরাষ্ট্রের একটি মিলিটারি একাডেমিতে বার্ষিক বালিশ-যুদ্ধে নেমেছিল একদল মিলিটারি ক্যাডেট। কিন্তু ক্যাডেটরা অন্যদের সহজে হারাতে বিপজ্জনক প্রতারণার আশ্রয় নিল।

ওরা করলো কি, বালিশের ভেতরে ভরে দিল হেলমেট, বডি আর্মারসহ নানা রকমের ধাতব বস্তু।

এরপর যা হবার হলো তা-ই!মুহূর্তে আনন্দ রূপ নিল বিষাদে। ধাতব বস্তুতে ঠাসা বালিশের আঘাতে আহত রক্তাক্ত হলো প্রতিযোগীরা। অন্তত ৩০ জনের চোট বেশ মারাত্মক। আর কম করেও ২৪ জন অচেতন হলো।

ঘটনাটা ঘটেছে নিউ ইয়র্কের ওয়েস্ট পয়েন্টের এক মিলিটারি একাডেমিতে। কিন্তু মিলিটারি একাডেমির গোপনীয়তার বেড়াজাল পেরিয়ে এ-খবর ঠিকই রাষ্ট্র হয়ে গেছে ফেসবুক টুইটারসহ বিভিন্ন সামাজিক মাধ্যমে। সেখানে শিক্ষানবিস আহত মার্কিন সেনাদের রক্তাক্ত ছবির পর ছবি।

"আহতদের মধ্যে ৪ জন পেয়েছে মাথায় মারাত্মক আঘাত, একজনের ভেঙেছে পা, দু’জনের ভেঙেছে হাত, একজনের কাঁধের হাড় গেছে সরে, আর বাকিদের সবার ভেঙেছে পাঁজরের হাড়। ’’---এক মিলিটারি ক্যাডেট তার পোস্টে বলেছে একথা।  

ঘটনাটা ঘটেছিল ২০ আগস্ট। কিন্তু তা এতদিন ‘সামরিক গোপনীয়তা’ হিসেবে সবার অগোচরেই ছিল। পত্রপত্রিকাগুলোও ছিল এ-ব্যাপারে নীরব। অবশেষে দিনকয় আগে নিউ ইয়র্ক টাইমস ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করলো। কঠিন গ্রীষ্মকালীন প্রশিক্ষণ শেষে প্রতিবছরই সামরিক ক্যাডেটরা বার্ষিক বালিশ-যুদ্ধে নামে। নিজেদের মধ্যে আনন্দ ভাগাভাগি আর বন্ধুত্ব বাড়ানোর জন্যই ক্যাডেটদের এই বালিশযুদ্ধ। কিন্তু এবারই কেবল রক্তারক্তির এমন ঘটনা।  

লেফটেন্যান্ট কর্নেল ক্রিস্টোফার কাসকার পত্রিকাটিকে জানান, প্রতিবছর ফার্স্ট ইয়ারের ক্যাডেটরাই এই বালিশ-যদ্ধে নামে। এদের তদারকি করে সিনিয়র ক্যাডেটরা। সবারই মাথায় হেলমেট ও প্রয়োজনীয় সুরক্ষা বর্ম পরে নেওয়াই নিয়ম। কিন্তু বেশিরভাগ ক্যাডেটই এবার তা না করে গোপনে ওইসব ধাতব বস্তু ভরে রেখেছিল তাদের বালিশে। একারণেই অহেতুক এই রক্তারক্তি।

তিনি জানালেন এই ঘটনায় কাউকে শাস্তি দেওয়া হয়নি। তবে কেন এহেন অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটলো তার কারণ খুঁজতে শুরু হয়েছে তদন্ত।  

বলে রাখা ভালো, এই সামরিক একাডেমিটা চলে বেসরকারি অর্থায়নে। এখান থেকে শিক্ষা নেওয়া অনেকই পরে মার্কিন সেনাবাহিনীর উচ্চ পদে আসীন হয়েছেন। আর হ্যাঁ, এই বার্ষিক বালিশযুদ্ধ হয়ে আসছে সেই ১৮৯৭ সাল থেকে।

বাংলাদেশ সময়: ০০২০ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ১০, ২০১৫
জেএম  

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।