ঢাকা, মঙ্গলবার, ১১ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৬ নভেম্বর ২০২৪, ২৪ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

ফিচার

লেবুর শরবত কমাবে ধূমপান আসক্তি!

ফিচার ডেস্ক | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০৮৪৫ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ১৯, ২০১৫
লেবুর শরবত কমাবে ধূমপান আসক্তি!

ঢাকা: ধূমপানের ক্ষতিকর দিকগুলো সম্পর্কে সচেতন অনেক ধূমপায়ী। অনেকেই চেষ্টা করেন দীর্ঘমেয়াদী এ অভ্যাস থেকে বেরিয়ে আসতে।

এর মধ্যে কেউ পারেন, কেউ পারেন না।

যারা ধূমপানের আসক্তি থেকে মুক্ত হতে চান তাদের জন্য এবার সুখবর! থাইল্যান্ডের শ্রীনাখারিনউইরত বিশ্ববিদ্যালয়ের মেডিসিন বিভাগের নতুন এক গবেষণা বলছে, ধূমপান এড়াতে লেবুর শরবত বেশ কাজ দেয়।

গবেষকরা জানিয়েছেন, লেবুর শরবত ও নিকোটিন গাম প্রায় একে অন্যের পরিপূরক।

নিকোটিন গামের সঙ্গে আমরা অনেকেই পরিচিত। তবুও একটু বলি, নিকোটিন গাম হলো এক প্রকার চুইংগাম। এই গাম চিবানোর মাধ্যমে শরীরে নিকোটিন প্রবেশ করে। যারা ধূমপান ছাড়তে চান তাদের নিকোটিন রিপ্লেসমেন্ট থেরাপিতে এই গাম ওষুধ হিসেবে কাজ করে।
 
নতুন গবেষণায় ১৮ ও এর বেশি বয়সী ধূমপায়ীদের ওপর একটি পরীক্ষা নেওয়া হয়। এতে ভাগ করা হয় ধূমপায়ীদের দু’টি দলে। ধূমপানের আসক্তি এড়াতে প্রথম দলটিকে লেবুর শরবত ও দ্বিতীয় দলটিকে নিকোটিন গাম সেবন করতে বলা হয়। এরপর নয় থেকে ১২ সপ্তাহ পর পাওয়া যায় পরীক্ষাটির প্রাথমিক ফলাফল।


অংশগ্রহণকারীদের ধূমপানের মাত্রা কতখানি কমেছে তা পরিমাপ করা হয় তাদের কার্বন মনোক্সাইড নির্গমনের মাত্রা অনুযায়ী। অন্যদিকে, লেবুর রস ও নিকোটিন গাম সেবনের পর তাদের ধূমপান করার আকাঙ্ক্ষা কতখানি রয়েছে তা পরিমাপ করা হয় ভিজ্যুয়াল এনালগ স্কেলের মাধ্যমে।

প্রাপ্ত ফলাফলে দু’টি দলের মধ্যে তেমন উল্লেখযোগ্য কোনো পার্থক্য দেখা যায়নি। বরং চার সপ্তাহ পর দেখা গেছে, যারা নিকোটিন গাম নিয়েছেন তাদের তুলনায় যারা লেবুর শরবত সেবন করেছেন তাদের ধূমপান আসক্তি কমেছে।


গবেষণার ফলাফল অনুযায়ী, যারা লেবুর শরবত সেবন করেছেন তাদের আসক্তি কমেছে ৫৮. ৫ শতাংশ। অন্যদিকে, যারা নিকোটিন গাম নিয়েছেন তাদের আসক্তি কমেছে ৩৮.৩ শতাংশ হারে।

অতঃপর গবেষণাটি সংযুক্ত করেছে, তাজা লেবুর শরবত ধূমপান আসক্তি কমাতে সফলভাবে কাজ করে।

রেসিপি:
২টি লেবু
১ চা চামচ চিনি
১ কাপ পানি
পরিমাণমতো বরফ

তথ্যসূত্র: ইন্টারনেট।

বাংলাদেশ সময়: ০৮৪৫ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ১৯, ২০১৫
এসএমএন

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।