ঢাকা, মঙ্গলবার, ১১ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৬ নভেম্বর ২০২৪, ২৪ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

ফিচার

হায়, এই বয়সে এ কী হাল!

বাংলানিউজ ডেস্ক | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০০৫০ ঘণ্টা, অক্টোবর ১৩, ২০১৫
হায়, এই বয়সে এ কী হাল!

মানুষ জন্ম নেয়, বড় হয়। বড় হতে হতে একদিন বড় হওয়া যায় থেমে।

যৌবন ফুরায়। এরপর বয়স কামড় বসায়। আসে প্রৌঢ়ত্ব আর বার্ধক্য। তখন আর চেহারার লাবণ্য, ত্বকের জেল্লা, দেহের নজরকাড়া স্বাস্থ্য, বল-শক্তি কিছুই থাকে না। চলতে হয় লাঠি ভর দিয়ে বা অন্যের সাহায্যে। শয্যা আর হাসপাতালই হয় ঠিকানা। এই বার্ধক্যকে জয় করতে চায় মানুষ। সেজন্য কতো না চেষ্টা বিজ্ঞানীদের। এজন্য জেরন্টোলজি বা জরাবিদ্যা নিয়ে কতো না গবেষণা চলছে। কিছু বার্ধক্য আছে ও থাকবে। বয়সের কামড় থেকে কেউই রেয়াত পাচ্ছে না।

পরিণত বয়সে বার্ধক্য আসবে এই নিয়তি এখন সবাই মেনেও নিয়েছে। কিন্তু  একটা বাচ্চা ছেলের শরীরে যদি বার্ধক্য কামড় বসায় অকালে? তখন কি আর একে মেনে নেওয়া যায়? নিহাল বিটলা নামে ১৪ বছর বয়সী একটা ভারতীয় শিশু এই দুর্ভাগ্যের শিকার। স্বাভাবিকের চেয়ে ৮ গুণ বেশি গতিতে বয়স কামড় বসাচ্ছে ওর দেহে। এই বয়সেই ৮০ বছর বয়সী বুড়োর মতো কুঁচকে গেছে ওর শরীর। পত্রিকার শিরোনাম পড়ুন তাহলে: ‘‘Teenager looks like a pensioner because he's ageing eight times faster than normal.’’

ওর কুঁচকে যাওয়া ত্বকই শুধু নয়, ওর অঙ্গ-প্রত্যঙ্গও বেঁকে দুমড়ে মুচড়ে যাচ্ছে। মাথার চুল পড়ে ইয়া বড় টাক গজিয়েছে চাঁদিতে। সব মিলে করুণ অবস্থা। ওর রোগটির নাম বেশ গালভরা—গিলফোর্ড প্রোজেরিয়া সিনড্রোম বা এইচজিপিএস।
 
ওর ওজনও মাত্র সাড়ে ১২ কেজি। সবচেয়ে মন খারাপের কথা, ভারতের মতো দেশে ওর জন্ম বলে নানা কুসংস্কার এবং সামাজিক অন্যায়েরও নিশানা সে।

ওর স্কুলের সহপাঠীরাই ওকে নিয়ে ব্যঙ্গ করে করে ওর জীবন অতীষ্ঠ করে তুলেছে। বেচারা তাই আর স্কুলে যায় না----ওদের জ্বালাতন থেকে বাঁচতে।

তবু নিহাল আশা ছাড়েনি পুরোপুরি। চিকিৎসকরা পুরোপুরি সারিয়ে তুলতে না পারলেও ওর বুড়ো হওয়ার এই দ্রুত প্রক্রিয়াটিকে হয়তো বিলম্বিত করতে পারবেন—এই আশায় আছে সে।

তবে আশ্চর্যের ব্যাপার হচ্ছে, বার্ধক্য ওর দেহে কামড় বসালেও ওর মস্তিষ্ক একদমই বুড়িয়ে যাচ্ছে না। ওটা ওর বয়সের অনুপাতে তরতাজা আর সজীবই আছে।

বাংলাদেশ সময়: ০০৩৮ ঘণ্টা, অক্টোবর ১৩, ২০১৫
জেএম

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।