ঢাকা, মঙ্গলবার, ১১ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৬ নভেম্বর ২০২৪, ২৪ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

ফিচার

সোনায় মোড়া অন্ধকার ভবিষ্যত! (পর্ব-১)

ফিচার ডেস্ক | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০১৫৩ ঘণ্টা, অক্টোবর ২০, ২০১৫
সোনায় মোড়া অন্ধকার ভবিষ্যত! (পর্ব-১)

ঢাকা: আফ্রিকার সাহারা অঞ্চল। এ অঞ্চলের মাটি আর মানুষের গায়ের রঙ মিলেমিশে একাকার।

পশ্চিম আফ্রিকার বুর্কিনা ফাসোর বানির সোনার খনিতে দিনরাত কাজ করছে এখানকার নারী-পুরুষসহ শিশু শ্রমিকরাও।

২০০০ সালের পর সারাবিশ্বে শিশু শ্রমিকের হার কমেছে প্রায় এক-তৃতীয়াংশ। তারপরও আফ্রিকার শুধুমাত্র সাহারা অঞ্চলেই ‍খনিজসম্পদ উত্তোলনে কাজ করছে ৫৯ মিলিয়নেরও বেশি শিশু শ্রমিক।

ফটো সাংবাদিক মিটজাজ ক্রিভিক ২০১২ সালে এ অঞ্চলের শ্রমিকদের উপর একটি ডকুমেন্টারি তৈরি করেন।

তিনি জানান, উত্তর-পশ্চিম সাব-সাহারা অঞ্চলের সোনার খনিতে আট বছর বয়সী ছোট শিশুরাও সারাদিন অনেক ভারী কাজ করে।

ঘানা ও মালির মধ্যবর্তীতে অবস্থিত বুর্কিনা ফাসোর বানি সোনার খনি। ক্রিভিকের তোলা ছবিগুলো সোনার খনি উত্তোলনের কঠিন প্রক্রিয়া ও প্রতিনিয়ত শুধু জীবিকার তাগিদে শিশুদের বয়ে বেড়ানো সাম্ভাব্য ঝুঁকির সাক্ষী।

২০১২ সালে ক্রিভিক প্রথম বানিতে আসেন। সঙ্গে সঙ্গেই খনি শ্রমিকদের জীবন, সংগ্রাম, নিষ্ঠা ও তাদের কষ্ট ক্রিভিককে ভাবিয়ে তোলে।

তিনি জানান, বানিতে খনিজ শিল্প একটি পারিবারিক ব্যবসা। শুধু বানিতেই প্রায় ১৫ হাজার শ্রমিক কাজ করে। এদের প্রায় এক-তৃতীয়াংশ শিশু।  

সূর্য ওঠার সঙ্গে সঙ্গেই খননের কাজ শুরু হয় আর শেষ হয় সূর্য অস্ত যাবার পর। শিশুরা এখানে পরিষ্কার কাজ থেকে শুরু করে পানি বহন করা, পাথর ভাঙা, এমনকি এক নাগাড়ে এগারো ঘণ্টা পর্যন্ত কাজ করে।

গ্রামের কিশোরী ও বয়স্ক নারীরা বেশিরভাগ সময় সোনার খনি উন্মুক্ত করতে মাটি কাটেন। এরপর সোনা পাওয়ার পর তা প্রক্রিয়াজাত করতে নিয়ে যায়।  

বুর্কিনা ফাসোতে ১৬ বছরের নিচে শিশুদের এ কাজে নিয়োগ করা আইনবিরুদ্ধ। কিন্তু এসব আইন অমান্য করেই তারা কাজ করছে। তাদের নেই কোনো স্বাস্থ্য ও সামাজিক নিরাপত্তা।

তথ্যসূত্র: ইন্টারনেট।

বাংলাদেশ সময়: ১৭৫০ ঘণ্টা, অক্টোবর ০৮, ২০১৫
এসএমএন/এসএস

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।