ঢাকা, মঙ্গলবার, ১১ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৬ নভেম্বর ২০২৪, ২৪ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

ফিচার

বরফখণ্ডে বিচ্ছিন্ন সঙ্কটাপন্ন শ্বেত ভাল্লুক

ফিচার ডেস্ক | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৪৫৫ ঘণ্টা, অক্টোবর ২২, ২০১৫
বরফখণ্ডে বিচ্ছিন্ন সঙ্কটাপন্ন শ্বেত ভাল্লুক ছবি: সংগৃহীত

ঢাকা: মহাসাগরে ভাসছে খণ্ড খণ্ড বরফের টুকরো। খাবার সন্ধানী শ্বেত ভাল্লুকটি এমনই এক বরফের ভেলায় চেপে বসেছে।

বরফ খণ্ড ভাসতে ভাসতে কখন যে তাকে তার বাসস্থান ও সঙ্গীদের থেকে বিচ্ছিন্ন করে ফেলেছে তা হয়তো বুঝে উঠতে পারেনি সে।

সানফ্রান্সিসকোর আলোকচিত্রী জোশ আননের নৌকা তখন উত্তর মহাসাগরের স্ভালবার্ড দ্বীপের দিকেই এগোচ্ছিলো। স্ভালবার্ড নরওয়ের মূল ভূ-খণ্ড ও উত্তর মেরুর মধ্যবর্তী দ্বীপ। ভাল্লুকের বরফ ভেলাটি পাশ কাটিয়ে যাওয়ার সময় তিনি টপাটপ ছবি তোলেন।  


যদিও হঠাৎ সাক্ষাতে শ্বেত ভাল্লুকের কিছু চমৎকার ছবি পাওয়া গেছে, তবুও জোশ বরফখণ্ডে ভেসে চলা শ্বেত ভাল্লুকদের ভবিষ্যৎ নিয়ে শঙ্কিত।

জোশ জানান, যদিও এ ভাল্লুক সাঁতার কাটতে পারে, তবুও শিকারের জন্য তারা বরফ ব্যবহার করে বলে এটি তাদের জীবনের জন্য ঝুঁকিপূর্ণ। কারণ বরফ গলে গেলে তার জীবনে সঙ্কট দেখা দিতে পারে।


কিন্তু খাবারের খোঁজে ও মা ভাল্লুকেরা বাচ্চা উৎপাদন করতে এ উপায়েই ভূমিতে এসে আস্তানা তৈরি করে। ‍যখন বরফ থাকে না তখন তারা নিরুপায় হয়ে পড়ে। খেতে পারে না সেসময়। বরফ ফিরে না আসা পর্যন্ত তাদের শিকার করা সম্ভব হয় না। জানান ৩২ বছর বয়সী এ আলোকচিত্রী।  


সাদা ভাল্লুকটি বরফের শেষ প্রান্তে এসে পৌঁছেছে। মেরুর বরফ যত দূরে সরে যাবে ততই সে তার বাসস্থান ও পরিবার থেকে দূরে সরে যাবে। কয়েক বছরের মধ্যে সে তার বাসস্থান থেকে সম্পূর্ণ বিচ্ছিন্ন হয়ে যাবে। এমনকি পৃথিবী থেকেও তার চিহ্ন মুছে যেতে পারে। জানান, জোশ।

তথ্যসূত্র: ইন্টারনেট।

বাংলাদেশ সময়: ১৪৫৫ ঘণ্টা, অক্টোবর ২২, ২০১৫
এসএমএন/এএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।