ফরিদপুর থেকে ফিরে: ফরিদপুর জেলার বোয়ালমারী পৌরসভায় প্রবেশ করতেই চোখে এসে লাগালো ঝাঁজ। কিছুক্ষণের মধ্যেই চোখে এলো পানি।
সম্প্রতি ফরিদপুরের বোয়ালমারী, নগরকান্দা, ভাঙ্গাসহ আশপাশের বিভিন্ন এলাকা ঘুরে পেঁয়াজ চাষিদের ব্যস্ততার চিত্র তুলে এনেছেন বাংলানিউজের স্টাফ ফটো করেসপন্ডেন্ট খায়রুল আলম রাজিব।
খোঁজ নিয়ে জানা গেলো, শুধু এই পৌর এলাকায় নয়, বৃহত্তর ফরিদপুরের মাঠজুড়ে চলছে পেঁয়াজের চাষ। আর এর ঝাঁজ চোখে পানি আনছে।
পেঁয়াজ চাষের মাধ্যমে ভালো আয়ের স্বপ্ন বুনছেন এসব এলাকার চাষিরা। আর তাই তো পেঁয়াজের ঝাঁজে চোখ জ্বালা করা, চোখে পানি- সব কিছুই আনন্দের।
পেঁয়াজ চাষের জন্য ফরিদপুর বিখ্যাত। এ এলাকার চাষিরা জানান, এ অঞ্চলের চাহিদা মেটানোর পাশাপাশি বিদেশেও পাড়ি দিচ্ছে ফরিদপুরের পেঁয়াজ।
চাষিদের সঙ্গে কথা বলে আরও জানা গেছে, বোয়ালমারী এলাকার যারা মাঠে কাজ করছেন, তাদের অধিকাংশই ব্যবসায়ী। সারা বছর পেঁয়াজের সঙ্গে এভাবেই নিবিড় সময় কাটে তাদের। পেঁয়াজ চাষে অনেকের ভাগ্যবদলও হয়েছে।
বোয়ালমারী এলাকার পেঁয়াজচাষি সেলিম বাংলানিউজকে জানান, পেঁয়াজে অধিক লাভ। তাই ধান, গমসহ অন্যান্য ফসলের দিকে না গিয়ে পেঁয়াজের দিকেই ঝুঁকছেন তারা।
সরেজমিনে দেখা গেছে, ভোর থেকে পেঁয়াজ লাগাতে শুরু করেছেন চাষিরা। পেঁয়াজের সঙ্গে বুনছেন স্বপ্ন। এর আয় দিয়েই তাদের সংসার চলে।
চলতি বছর পেঁয়াজের ভালো দাম পাওয়ায় খুশি চাষিরা। এভাবে প্রতি বছরই যেন পেঁয়াজের ন্যায্য দাম পান সেই দাবিও জানালেন তারা।
ফরিদপুর জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অফিদফতর জানায়, চলতি বছরে এ জেলায় ৩০ হাজার ২০০ হেক্টর জমিতে পেঁয়াজ লাগানোর লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। এ পর্যন্ত ৯ হাজার হেক্টর জমিতে পেঁয়াজ লাগানো হয়েছে।
বাংলাদেশ সময়: ০০০৮ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ২৪, ২০১৫
একে/আরএম/এএসআর