পুরনো জিনিসের সঙ্গে মানুষের একটা নস্টালজিয়া বা স্মৃতিকাতরতা কাজ করে। আর তাই স্মৃতি সতত সুখের! পুরনোকে মানুষ তাই ফিরে পেতে চায়, কিন্তু পায় না।
ব্যাপারটা খোলাসা করে বলা যাক! ইংল্যাণ্ডের একটি বাড়িতে সংরক্ষিত অবস্থায় পাওয়া গেছে এই ক্রিসমাস পুডিং। এটি তৈরি করা হয়েছিল আজ থেকে ৪৬ বছর আগে---১৯৬৯ সালে। এখনো এটি সেই আগের মতোই আছে। এর চমৎকার স্বাদ-গন্ধও রয়েছে অটুট। তবে কেকটি কিছুটা শুষ্ক। এছাড়া আর সবকিছু ঠিকঠাক। নটিংহ্যাম বিশ্ববিদ্যালয়ের একদল গবেষক এটির স্বাদ চেখে দেখে এর খাদ্যগুণ ও স্বাদের ব্যাপারে এই সপ্রশংস ‘রায়’ দিয়েছেন: 'a little dry, but had a very good flavour' ।
এ নিয়ে খবরের শিরোনাম: ‘Christmas pudding made 46 years ago is found in house clearance and it tastes 'delicious'
(খবরের লিংক: http://www.telegraph.co.uk/news/newstopics/howaboutthat/12065974/Christmas-pudding-made-46-years-ago-is-found-in-house-clearance-and-it-tastes-delicious.html)
বাড়িটি স্থানান্তরকালে পুডিংটা ওই বাড়ির প্রয়াত মালিকের এক আত্মীয় রান্নাঘরের ফ্রিজে খুঁজে পান। পরে তিনি এটি নটিংহ্যাম বিশ্ববিদ্যালয়ের অণুজীববিজ্ঞান বিভাগে (microbiology department) উপহার হিসেবে পাঠিয়ে দেন। কর্তৃপক্ষ তা সানন্দে গ্রহণ করে এনিয়ে রীতিমতো গবেষণার উপলক্ষ খুঁজে পান।
পুডিংটা খাওয়ার আগে তারা এটি টানা পাঁচ ঘণ্টা স্টিম করেন। প্রফেসর ক্রিস্টিন ডড জানান, যেসব উপাদান দিয়ে পুডিংটা তৈরি করা হয়েছিল, সেসবের মধ্যে আছে ফল, পাউরুটির গুঁড়ো, ব্র্যান্ডি ইত্যাদি।
যে ভদ্রলোক এটি বিশ্ববিদ্যালয়ে পাঠান তিনি বেশ রসিক। পুডিংটার সাথে তিনি ছোট একটা চিরকুটও পাঠাতে ভোলেননি। তাতে লেখা ছিল: ‘ওহ, ওটির সঙ্গে একটা রুপালি অভিজ্ঞতাও জড়িয়ে আছে, সেকথা ঘুনাক্ষরে ভুলবেন না যেন! মাইক্রোওয়েভে (এটিকে) না চাপালেই বোধ করি ভালো হবে ( "Oh and don't forget there might be a silver sixpence in there! Probably best not to microwave!)।
আর হ্যাঁ, বড়দিনের উৎসবকালে লোকজনকে এটির স্বাদ চেখে দেখার সুযোগ দেবার চিন্তাও মাথায় আছে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের। ‘ওল্ড ইজ গোল্ড’---সেটা পুডিং হোক বা অন্য কিছু!
বাংলাদেশ সময়: ০১৫৫ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ২৬, ২০১৫
জেএম