আবরবিশ্বে নানা কাণ্ড-অকাণ্ডের জন্য সৌদি পুরুষদের নানা মুখরোচক আর কর্ণমধুর কাহিনীর কথা জানা যায়। বেশিরভাগ কাণ্ডই উল্টোপাল্টা।
এবার এক সৌদি লোক পড়েছেন বড়ো বিপাকে। তা মা তাকে তার বউকে তালাক দিতে আদেশ দিয়েছে। তার মায়ের চোখে বউমা এমন জঘন্য অপরাধ করেছে যে তাকে আর বউ হিসেবে রাখা যায় না। তার স্ত্রীর অপরাধটি চুমুজনিত। তাও আবার কোনো মানষকে চুমু খাওয়ার জন্য নয়! বরং ‘অপরাধটা’ নিরীহ প্রাণি উটকে চুমু খাওয়ার।
ওই লোকের মায়ের দাবি, তার বউমা উটকে চুমু খেয়ে পাপকর্ম করেছেন। এ নিয়ে ওই লোকের পরিবারে সমানে চলছে ঝগড়া-বিবাদ। বেচারা লোকটি আবার কোনোভাবেই চায় না তার স্ত্রীকে তালাক দিতে। এদিকে তার মা আবার বড়ই একগুঁয়ে ও দজ্জাল স্বভাবের।
ওই লোকের স্ত্রীর এখন মাথায় আকাশ ভেঙে পড়ার যোগাড়। আদরের উটকে চুমু খাওয়ার মতো নিষ্পাপ আর সামান্য একটা ঘটনায় তার এখন সংসার ভাঙার উপক্রম।
মহিলার দাবি, উটকে চুমু খেয়ে তিনি কোনো অন্যায় করেননি। কারণ উট তো মানুষ নয়! এখানে তো পরকীয়া বা পাপের কোনো সম্পর্ক নেই। কিন্তু কে শোনে কার কথা! তার দজ্জাল শাশুড়ির কিছুতেই মন গলছে না। স্বামী বাদে শ্বশুরবাড়ির বাদবাকি মানুষও শাশুড়ির কথায়্ই তাল দিচ্ছে সমানে। এ নিয়ে সংবাদমাধ্যমের খবরের শিরোনাম: ‘Saudi man's family calls for divorce after wife kisses camel.’
(লিংক: http://www.foxnews.com/world/2015/12/16/saudi-man-family-calls-for-divorce-after-wife-kisses-camel.html)
আশার কথা, ওই লোক তার মায়ের কথা শুনে কিছুতেই প্রিয়তমা স্ত্রীকে তালাক দিতে রাজি হচ্ছে না। আপাতত স্বামীর ঘর থেকে ওই মহিলা যাচ্ছে তার মায়ের বাড়িতে। ঝগড়া থামলে তিনি আবার স্বামীর কাছে ফিরবেন---এই আশায়। দেখা যাক, কার জয় হয়। দজ্জাল শাশুড়ির নাকি, তাদের দাম্পত্যপ্রেমের।
বাংলাদেশ সময়: ০২০০ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ২৬, ২০১৫
জেএম