অনেকেই শখের বসে বিভিন্ন দেশের কয়েন জমান। পুরনো এমন অনেক কয়েন রয়েছে যা হয়ত বর্তমানে অচল।
১০. ১৩৪৪ তৃতীয় এডওয়ার্ড ফ্লোরিন
ডবল লিওপার্ড নামে পরিচিত এই ফ্লোরিনটি ১৩৪৪ সালে প্রথমবারের মতো উপস্থাপন করেন ইংল্যান্ডের রাজা তৃতীয় এডওয়ার্ড। ছয় শিলিং মূল্যের এই কয়েনটি সমগ্র ইউরোপে চালু করার ইচ্ছে ছিল রাজার। বর্তমানে পৃথিবীতে এই কয়েনটির তিনটি মাত্র কপি অবশিষ্ট রয়েছে।
২০০৬ সালের জুলাইতে একটি তৃতীয় এডওয়ার্ড ফ্লোরিন ছয় লাখ ৮০ হাজার মার্কিন ডলারে নিলামে বিক্রি হয়। আর বাকি দুটো কয়েন রয়েছে ব্রিটিশ মিউজিয়ামে।
৯. ১৯০৭ সেন্ট-গডেনস ডবল ঈগল আল্ট্রা হাই রিলিফ
১৯০৭ সালে এই কয়েনটি ২০ ডলার মূল্যের ছিল। আল্ট্রা হাই রিলিফ নামের এই কয়েনটি তৈরি করা হয়েছিল মাত্র দুই ডজন। পরে ১৯৩৩ সাল পর্যন্ত কয়েনের নকশা অনেকবার পাল্টানো হয়েছে।
স্মিথসোনিয়ান জাদুঘরে এই কয়েনের মাত্র দুটি নমুনা রাখা আছে। ২০০৫ সালে প্রায় তিন বিলিয়ন মার্কিন ডলারে নিলামে কিনে নেওয়া হয় কয়েন দুটো।
৮. ১৮২২ হাফ ঈগল
ইতিহাসের অন্যতম বিরল এক কয়েন। পাঁচ ডলারের এই কয়েনটি উৎপাদিত হয়েছিল ১৭ হাজার সাতশ’ ৯৬ টি। বর্তমানে এই কয়েনের মোটে তিনটি কপি রয়েছে।
এর মধ্যে দুটি আছে স্মিথসোনিয়ান ইনস্টিটিউশনে। এবং বাকি একটি কয়েন ১৯৮২ সালে প্রায় সাত লাখ ইউএস ডলারে বিক্রি হয়েছে।
৭. লিবার্টি হেড নিকেল
পাঁচ সেন্টের কয়েনটি ইস্যু করা হয় ১৯১৩ সালে। ইউনাইটেট স্টেটস মিন্টের অনুমোদন ছাড়াই সীমিত সংখ্যক পরিমাণে তৈরি করা হয় এই মুদ্রা। সাত বছর পর সাধারণ মানুষ ১৯২০ সালে এই কয়েনের অস্তিত্ব টের পায়। তবে সবগুলো কয়েনের মালিক ছিলেন স্যামুয়েল ব্রাউন। তিনি মিন্টের প্রাক্তন কর্মচারী।
১৯৭২ সালে একটি লিবার্টি হেড নিকেল বিক্রি হয় এক লাখ মার্কিন ডলার। সেসময় এটিই ছিল তখন পর্যন্ত সর্বোচ্চ মূল্যে বিক্রি হওয়া কয়েন। বর্তমানে এই কয়েনের নমুনা রয়েছে মাত্র পাঁচটি। ২০১০ সালে একটি লিবার্টি হেড নিকেল ৩.৭ মিলিয়ন দরে বিক্রি হয়।
৬. ১৮০৪ সিলভার ডলার
এই কয়েনের তিনটি শ্রেণী রয়েছে। সবগুলোর মিলে মোটে ১৫টি নমুনা অবশিষ্ট আছে। প্রথম শ্রেণীর সিলভার ডলার সবচেয়ে দামি।
প্রথম শ্রেণীর একটি কয়েন মাস্কটের সুলতানের কাছে ছিল, পরে ১৯৯৯ সালে ৪.১ মিলিয়ন দরে ব্রিক্রি হয়।
৫. ২০০৭ রানী দ্বিতীয় এলিজাবেথ
রয়েল কানাডিয়ান মিন্ট ২০০৭ সালে মিলিয়ন ডলারের এই মুদ্রাটি তৈরি করে। প্রতিটি মুদ্রা একশ’ কেজির খাঁটি স্বর্ণ দিয়ে তৈরি।
এ পর্যন্ত পাঁচটি কয়েন বিক্রি হয়েছে। ২০০৯ সালে একটি কয়েন ৪.০২ মিলিয়ন ডলারে বিক্রি হয়।
৪. ১৭৮৭ ব্রাশার ডুব্লুন
সোনার এই মুদ্রাটি তৈরি করেন নিউ ইয়র্কের স্বর্ণকার ইফ্রয়িম ব্রাশার। ২০১১ সালে ঈগলের বুকের ছাপ দেওয়া একটি ব্রাশার ডুব্লুন বিক্রি হয় ৭.৪ মিলিয়ন ডলারে।
এরপর ২০১৪ সালে ঈগলের পাখার ছাপ দেওয়া একটি কয়েন বিক্রি হয় ৪.৫ মিলিয়ন ডলারে।
৩. ১৯৩৩ ডবল ঈগল
যুক্তরাষ্ট্রে এই কয়েনটি অনুমোদন পায় ১৯৩৩ সালে। ২০ ডলারের কয়েনটির ১৫টিরও কম সংখ্যক কপি অবশিষ্ট রয়েছে। এগুলোর মধ্যে একটি ২০০২ সালে ৭.৫২ মিলিয়ন ডলারে নিলামে বিক্রি হয়।
যুক্তরাষ্ট্র নিউমিসম্যাটিক কালেকশনে রয়েছে আরো দুটি ডবল ঈগল। বাকিগুলো কেনটাকির ফোর্ট নক্সে রয়েছে।
২. ফ্লোইং হেয়ার ডলার
এটি ইউনাইটেট স্টেট ফেডারেল গভর্নমেন্টের ইস্যু করা প্রথম মুদ্রা। সংখ্যালঘুতাই এনে দিয়েছে ১৭৯৪ সালে চালু করা মুদ্রাটির জনপ্রিয়তা।
২০১৩ সালে এই মুদ্রার একটি ১০ মিলিয়ন ডলারে নিলামে ওঠে।
১. ডবল ঈগল (১৮৪৯)
এই মুদ্রার মাত্র একটি নমুনাই অবশিষ্ট রয়েছে। যুক্তরাষ্ট্রের ইতিহাসের সবচেয়ে মূল্যবান মুদ্রা এটি। যদিও এর গায়ে ১৮৪৯ সাল লেখা, কিন্তু মুদ্রাটি আবিষ্কার হয় ১৮৫০ সালে।
স্মিথসোনিয়ান জাদুঘরে সংগৃহীত মুদ্রাটির মূল্য ২০ মিলিয়ন ডলার।
তথ্যসূত্র: ইন্টারনেট
বাংলাদেশ সময়: ১৪৪১ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ২৯, ২০১৫
এসএমএন/টিকে
ফিচার
বিশ্বের সবচেয়ে বিরল ও মূল্যবান ১০ মুদ্রা
ফিচার ডেস্ক | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।