ঢাকা, মঙ্গলবার, ১০ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৬ নভেম্বর ২০২৪, ২৪ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

ফিচার

এডলফ হিটলারের অজানা ১০

ফিচার ডেস্ক | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৮১০ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ৩০, ২০১৫
এডলফ হিটলারের অজানা ১০

নিষ্ঠুরতা ও ধর্মান্ধতার প্রসঙ্গ এলেই উঠে আসে একটি নাম। বলুন তো কে? সবারই জানা—এডলফ হিটলার।

বিশ্বযুদ্ধের শ্বাসরোধী ভয়াবহতার চিত্রগুলোর বেশিরভাগ তারই সৃষ্ট। তবে যুদ্ধ পরবর্তীকালে নির্মমতার উদাহরণ তৈরিকারী এ নেতার ব্যাপারে আরো কিছু গোপন তথ্য উন্মোচিত হয়। যেখানে খুঁজে পাওয়া যায় হিটলারের কোমল হৃদয়, প্রেম ও ইতিবাচক আরো কিছু পরিচয়। আজ জানব হিটলারের ব্যাপারে ১০টি অজানা তথ্য।

১০. প্রথম প্রেম এক ইহুদি কিশোরী
ভাবা যায়? যার মনে এতটা ইহুদি বিদ্বেষ, তার প্রথম প্রেম ছিল কিনা এক ইহুদি কিশোরী! অস্ট্রিয়ার লিনজে স্কুলে পড়ার সময় স্টেফানি রাবেচ নামের এই কিশোরীর সঙ্গে হিটলারের পরিচয়। হিটলারের বয়স তখন মাত্র ১৬ বছর। কৈশোরের প্রথম এ প্রেমটি ঘটে ১৯০৫ সালের বসন্তে।

স্টেফানি তো বুঝতেই পারেনি কী করে হিটলার এতটাই হাবুডুবু খাচ্ছে তার প্রেমে! স্টেফানি একগাল হাসি নিয়ে সামনে দাঁড়ালে সেটাই ছিল হিটলারের জন্য সবচেয়ে আনন্দের মুহূর্ত। আর সেই স্টেফানিই যখন হিটলারের আবেগ অনুভূতিকে উপেক্ষা করত হিটলার তখন নিজেকে ধ্বংস করতেও প্রস্তুত ছিল!

৯. পারিবারিক ডাক্তার ছিলেন একজন ইহুদি
১৯০৩ সালের দিকে অস্ট্রিয়ার লিনজে সমাজের নিম্নশ্রেণীর মানুষের কাছে ডাক্তার এডওয়ার্ড ব্লচের সুনাম ছিল। তিনি ছিলেন একজন ইহুদি। দিনের যেকোন সময়, এমনকি রাতেও তিনি রোগীদের ডাকে সাড়া দিতেন।

ফুসফুসজনিত গুরুতর রোগে আক্রান্ত হয়ে হিটলার প্রথমবারের মতো ডাক্তার ব্লচের কাছে যান। পরবর্তীকালে তার মাও ব্রেস্ট ক্যান্সারে আক্রান্ত হয়ে ব্লচের সেবা নেন। মৃত্যুর আগ পর্যন্ত কোনো প্রকার ভিজিট ছাড়াই হিটলারের মায়ের চিকিৎসা করে গেছেন ব্লচ।

৮. মায়ের ছবি সঙ্গে নিয়ে ঘুরে বেড়াতেন
হিটলারের মা—ক্লারা হিটলার নিজের সন্তানদের প্রতি একনিষ্ঠ ছিলেন। প্রতিদিন তিনি সন্তানদের সঙ্গে নিয়ে গির্জায় যেতেন। মায়ের সঙ্গে হিটলারের সম্পর্ক ছিল খুবই ভালো। ১৯০৭ সালে মায়ের মৃত্যুর পর হিটলার মানসিকভাবে বিধ্বস্ত হয়ে পড়েন।

“Adolf Hitler, mein Jugendfreund” বইতে হিটলারের বন্ধু অগাস্ট ক্যবিজেক বলেন, যখন আমরা ভিয়েনাতে একসঙ্গে ছিলাম, তখন সবসময়ই সে তার মায়ের ছবি সঙ্গে নিয়ে ঘুরে বেড়াত।

৭. কঠিন ভেজিটোরিয়ান ছিলেন
গোঁড়া নিরামিষভোজী হিসেবে নিজের পরিচয় দিতেন হিটলার।

তিনি মাংস খেতে অপছন্দ করতেন এবং পশু জবাইয়ের ঘোর বিরোধী ছিলেন।

৬. ছবি আঁকতেন
হিটলারের জীবনে পেইন্টিং ছিল অন্যতম এক উৎসাহের জায়গা। ১৯০৮ সালে ভিয়েনায় থাকাকালীন কয়েকশ’ পেইন্টিং পোস্টকার্ড তৈরি করেন ও জীবিকা নির্বাহের জন্য বিক্রি করেন।

দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর তার অনেক ছবি নিলামে ওঠে।

৫. ডিজনিভক্ত হিটলার!
ডিজনি মুভির একটি গান “Who’s Afraid of the Big Bad Wolf”—হিটলার প্রায় প্রতিদিনই শিস দিয়ে বাজাতেন। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময় হিটলার কিছু কার্টুন ড্রইং করেন।   ১৯৩৭ সালের ডিজনি মুভি “Snow White and the Seven Dwarfs” থেকে এই ছবিগুলো তিনি আঁকেন। এটি ছিল হিটলারের অন্যতম প্রিয় একটি ডিজনি মুভি।

৪. কখনোই বন্দি শিবির পরিদর্শনে যাননি
মনে প্রাণে চাইতেন দেশ থেকে ইহুদি নির্মূল হোক। কিন্তু কখনোই কোনো বন্দি শিবির বা গ্যাস চেম্বার পরিদর্শনে যাননি হিটলার।

বন্দি শিবির বা গ্যাস চেম্বার বিষয়ে হিটলারের কোনো লিখিত নির্দেশনা কোথাও পাওয়া যায়নি বরং তিনি নিজের কাছের কয়েকজন ইহুদিকে নিরাপত্তা দিয়েছিলেন। এদের মধ্যে একজন হলেন ডাক্তার ব্লচ।

৩. বিশ্বে প্রথম ধূমপানবিরোধী প্রচারণা করেন হিটলার
এক জার্মান ডাক্তার ধূমপান ও ফুসফুস ক্যান্সারের মধ্যে যোগাযোগ রয়েছে আবিষ্কারের পর ধূমপানের ঘোর বিরোধী হয়ে পড়েন হিটলার। ১৯৩০ সালে তিনিই প্রথম এন্টি-স্মোকিং ক্যাম্পেইন করেন।

১৯৩৯ থেকে ১৯৪৫ সাল পর্যন্ত নিজস্ব মিলিটারিদের মধ্যেও কঠোরভাবে ধুমপান নিষিদ্ধ করেন তিনি।

২. নোবেল প্রাইজের জন্য মনোনীত হয়েছিলেন
১৯৩৯ সালে নোবেল প্রাইজের জন্য সুইডিশ পার্লামেন্টের ই.জি.সি. ব্র্যান্ড নামের এক সদস্য হিটলারকে মনোনীত করেন। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের রাজনৈতিক উভয়সঙ্কটের কারণে এই মনোনয়নকে গুরুত্ব সহকারে দেখা হয়নি।

এছাড়াও বিশ্বের অনেক রাজনৈতিক নেতারা এ মনোনয়ন মেনে না নেওয়ায় ১৯৩৯ সালের ১ ফেব্রুয়ারি তা প্রত্যাহার করা হয়।

১. হিটলার কুকুরপ্রেমী ছিলেন
বিড়াল ভয় পেলেও তিনি ছিলেন অসম্ভব কুকুরপ্রিয় একজন মানুষ। কুকুরের মধ্যে জার্মান শেফার্ড ছিল তার সবচেয়ে প্রিয়।

হিটলারের পোষ্য জার্মান শেফার্ড ব্লন্ডি অনেক সময় তার সঙ্গে বেডরুমে ঘুমাত।

তথ্যসূত্র: ইন্টারনেট

বাংলাদেশ সময়: ১৮১০ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ৩০, ২০১৫
এসএমএন/টিকে

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।