ঢাকা, মঙ্গলবার, ১০ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৬ নভেম্বর ২০২৪, ২৪ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

ফিচার

পাহাড়ি পাথুরে নদীর কোলাহলে

মাসুদ আজীম, গণ বিশ্ববিদ্যালয় করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০১৫১ ঘণ্টা, জানুয়ারি ১৫, ২০১৬
পাহাড়ি পাথুরে নদীর কোলাহলে ছবি: বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম

গণ বিশ্ববিদ্যালয় (সাভার): পাহাড়ের বিশালতা, পাহাড়ি নদীর কলতানে মুগ্ধ হওয়ার সাধ কার না জাগে! বিশালতার মধ্যে ম্রিয়মাণ থাকে অপরূপ সৌন্দর্যের কারুকার্য। যার রূপে বিমোহিত হই দূর থেকে ঝাপসা দেখার পরও।

আর কাছে গেলে তো অবাক।

তাই পাহাড়ের বিশালতার রূপময়ী রূপ অবলোকনের আশায় ছুটে যায় ভ্রমণপিয়াসী মানুষ। সম্প্রতি ৩৬০ আউলিয়ার দেশ সিলেটে ভ্রমণে যায় সাভারের গণ বিশ্ববিদ্যালয় সাংবাদিক সমিতি (গবিসাস)। এটা ছিল গবিসাসের দ্বিতীয় আনন্দ ভ্রমণ। সঙ্গে ছিলাম ‍আমিও।

এক দিনের ভ্রমণে জাফলং, লালাখাল, সিলেট শহর ও মাজার ভ্রমণের পাশাপাশি শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় প্রেসক্লাবের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করা হয়।

আনন্দভ্রণের শুরু হয় রাত ১০টায়। সকালে সূর্যোদয়ের সঙ্গে সঙ্গে দূর থেকে পাহাড় দেখে মুগ্ধ হয়ে ঘোরে পড়ে যায় সবাই। কনকনে শীতের সকালে জাফলংয়ে পাহাড়ি নদীর ঠান্ডা পানির ছোঁয়ায় ঘোর কাটে সবার। তারপর নাস্তা সেরে বেরিয়ে পড়া।

বাংলাদেশের সীমান্তে মেঘালয় পাহাড় থেকে নেমে আসা ঠাণ্ডা পানির প্রবল স্রোত থরে থরে সাজানো পাথরের উপর দিয়ে বয়ে চলে। ঠিক যেন মৃদুমন্দ বাতাসের সঙ্গে ভেসে চলা একটি পাথুরে নদী। পাথরের উপর দিয়ে হেঁটে যেতে পায়ে ব্যথা পেলো অনেকে। তবে তাতে কি! ভ্রমণ আনন্দের তোড়ে তুচ্ছ সব কিছু।

শীতকালে নদীর কিছু অংশ শুকিয়ে সমুদ্র সৈকতের বালুর তীরের দৃশ্যের রূপ নেয় কিছুটা। তা দেখতে দেখতে বাসনা হলো নদীতে ডিঙি নৌকায় ঘুরে বেড়ানোর। নৌকায় ঘুরেই জাফলংকে বিদায় জানানো হলো। পরে যাত্রা শুরু হলো লালাখালের উদ্দেশে। পথিমধ্যে যাত্রা বিরতি জাফলং পাহাড়ে চা বাগানের বুকে। সঙ্গে পাহাড়ের চূড়ায় পদার্পণের সাধ নেওয়া।

হঠাৎ ড্রাইভার গাড়ি থামিয়ে বললো- ওই যে নদী। আর এটা লালাখাল।

নীল পানির স্নিগ্ধ নদী যেন শান্ত কোলাহলমুক্ত সবুজ মনোরম অঞ্চলের সঙ্গে তাল মিলিয়ে আমাদের ঘোরের মাত্রাকে আরও বাড়িয়ে দিলো। গোসলের প্রস্তুতি নিয়ে নদীতে ঘুরে ঠাণ্ডা পানিতে স্নান করতেই এক নতুন অনুভূতির পরিচয়।

গোসল সেরেই গাড়িতে চড়ে বসলো সবাই। গাড়ি আবার যখন থামলো তখন দুপ‍ুর। যাচ্ছিলাম সিলেট শহরে। এবার মধ্যাহ্নভোজের বিরতি। নদীর মাছ আর স্থানীয় খাবারের স্বাদে পেট ভরিয়ে আবার যাত্রা শুরু। গাড়িতে ঝিমিয়ে পড়লো কেউ কেউ। এক ঝটকা ঘুম ভাঙলো শাহ-পরানের মাজারে এসে। এরপর শাহজালালের মাজার আর সিলেট শহরের বিস্তার ও তার সান্ধ্য জীবনযাত্রা দেখে পৌঁছলাম শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে।

সৌজন্য সাক্ষাৎ শেষ করে ক্যাম্পাস ঘুরে দেখা আর প্রাণবন্ত আড্ডায় মেতে উঠলো দুই বিশ্ববিদ্যালয়ে কর্মরত সাংবাদিকেরা। রাত ১০টায় শুরু হলো ঢাকা যাত্রা।

বাংলাদেশ সময়: ০১৪৫ ঘণ্টা, জানুয়ারি ১৫, ২০১৬
এএ  

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।