ঢাকা, বুধবার, ১২ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ নভেম্বর ২০২৪, ২৫ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

ফিচার

বিশ্বজুড়ে ঐতিহ্যবাহী ঈদের খাবার

ফিচার ডেস্ক | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৪৪৮ ঘণ্টা, জুলাই ৭, ২০১৬
বিশ্বজুড়ে ঐতিহ্যবাহী ঈদের খাবার

ঢাকা: একমাস সিয়াম সাধনার পর খাওয়া-দাওয়া হয়ে ওঠে ঈদ উৎসবের অন্যতম অনুষঙ্গ। উৎসবের আমেজ স্থান ও ঐতিহ্যভেদে প্রতিটি দেশে আলাদা।

তবে খানাপিনার রীতি বলতে গেলে সবখানে প্রায় কাছাকাছি।
 
ঈদে সেমাই, পায়েস, জর্দা, কাস্টার্ড ও দুধজাত মিষ্টি খাবারের বিশেষ একটি স্থান রয়েছে। রয়েছে বাদাম, কিশমিশ ও খেজুরের ব্যবহার। ইরাকে ঈদে গোলাপজল ও খেজুর মিশ্রিত পেস্ট্রি খাওয়া হয়। এর নাম ক্লাইকা।  

লেবানন ও সিরিয়াবাসী ঈদের ভোরে খেজুর ও আখরোটের পুরওয়ালা মামৌল কুকি খেয়ে সিয়াম সাধনার মাসের অবসান ঘটায়। ফিলিস্তিনে ঈদে তৈরি করা হয় অ‍ামন্ড ও পাইন নাটের তৈরি গ্রেইবে নামের বাটার কুকি।

ইন্দোনেশিয়ানরা ল্যাপিস লেজিট নামক মসলাদার লেয়ার কেক বানায়। এই কেকের ধারণা এসেছে ঔপনিবেশিক ডাচদের কাছ থেকে। অন্যদিকে নেদারল্যান্ডে ঈদ ফুড মেন্যুর অন্যতম আকর্ষণ স্পেকক লেয়ার কেক।

ভারত, পাকিস্তান ও বাংলাদেশে ঈদের বিশেষ খাবার হচ্ছে সেমাই। ঈদের দিন সকালে ঘিয়ে ভাজা বা দুধে ভেজানো সেমাই দিয়ে ব্রেকফাস্ট করা হয় এসব স্থানে। দুধে ভেজানো ড্রাই ফ্রুট ও খেজুর সমেত সেমাইয়ের স্যুপি পুডিংকে শের খুরমা বলা হয় পাকিস্তানে। ইরাকে ঈদের দিনের আহার শুরু হয় মহিষের দুধের সর, রুটি ও মধু দিয়ে।

তুরস্কে শিশুরা পরিবার-আত্মীয়-স্বজনদের বাড়ি বেড়াতে গেলে তাদের ছোট ছোট অনেক উপহার দেওয়া হয়। এরপর পেস্তা, গোলাপজল, চিনি ইত্যাদি দিয়ে তৈরি লোকুম খেতে দেওয়া হয়। পরের ধাপে পরিবারের সবাই একত্র হয়ে বড় খানাদানার আয়োজন করে। নানা স্বাদের খাবার পরিবেশন এবং সার্ভিংয়ে বিশেষ যত্ন ও নজর দেওয়া হয়।  

মিশরে মাছ সবসময়ই বিশেষ আকর্ষণ। অন্যদিকে ইরাক, ইন্দোনেশিয়ায় জনপ্রিয়তা পেয়েছে ভেড়ার মাংস। মালয়েশিয়ায় ঈদে নারকেল দিয়ে ঝাল গরুর মাংস রান্না হয়। এর নাম বিফ রেন্ডাং।

বাংলাদেশ সময়: ১৪৪৫ ঘণ্টা, জুলাই ০৭, ২০১৬
এসএমএন/এএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।