ঢাকা: রাজধানীর কুড়িল ফ্লাইওভার! ব্যস্ততম ফ্লাইওভারের একটি। দিনের শেষ বেলায় ঘরমুখো মানুষের বাড়ির পানে সাঁই সাঁই করে ছুটে চলা।
তবে শনিবার (২৪ সেপ্টেম্বর) সন্ধ্যায় হঠাৎ করেই মন কাড়লো মোহনীয় বাঁশির সুর। বেজে চলেছে...
ভ্রমর কইও গিয়া
শ্রীকৃষ্ণ বিচ্ছেদের অনলে
অঙ্গ যায় জ্বলিয়ারে
ভ্রমর কইও গিয়া...
কইও কইও কইওরে ভ্রমর
কৃষ্ণরে বুঝাইয়া
মুই রাধা মইরা যামু রে
কৃষ্ণহারা হইয়া রে
ভ্রমর কইও গিয়া...
পাশেই মন্ত্রমুগ্ধ বাঁশির সুর শুনে দাঁড়িয়ে পড়েন ক্লান্ত পথিক! এভাবে ব্যস্ত শহরে নীরবতা সৃষ্টি হয় তার বাঁশির সুরে।
১৮ বছর বয়সী বংশীবাদক মো. মমিনুল ইসলাম। গ্রামের বাড়ি লালমনিরহাট থেকে জীবিকার তাগিদে ঢাকায় এসেছেন তিনি।
কুড়িল এলাকার একটি তৈরি পোশাক কারখানায় কাজ করেন তিনি। ছোট বেলায় শখের বশেই শিখে নেন বাঁশি বাজানো। এরপর মন চাইলেই সুর তুলেন বাঁশের বাঁশিতে।
বললেন, এই ব্যস্ত শহরে কোথাও মনের মতো বাঁশি বাজাতে পারি না। তবে শত ব্যস্ততার মাঝেও একটু নীরবতা খুঁজি। যেখানে একান্তে কিছু সময় কাটানো যায়।
তবে প্রায়ই বেছে নেন ফ্লাইওভারের ত্রিমোহানী। এখানে বসেই মনের আনন্দে সুর তোলেন বাশিতে।
বাংলাদেশ সময়: ২১৩৩ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ২৪, ২০১৬
এমএ/