ঢাকা, শনিবার, ৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৩ নভেম্বর ২০২৪, ২১ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

ফিচার

মেয়েকে পড়াতে বাবার কতো না ত্যাগ!

ফিচার ডেস্ক | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১০০১ ঘণ্টা, অক্টোবর ২, ২০১৬
মেয়েকে পড়াতে বাবার কতো না ত্যাগ!

ঢাকা: সন্তানের জন্য পিতা-মাতার ত্যাগ স্বীকার করা কোনো নতুন কিছু নয়। তারপরও কারো কারো ত্যাগ অন্যদের জন্য দৃষ্টান্ত হয়ে থাকে।

অন্যদের জন্য হয়ে থাকে অনুপ্রেরণা। তেমনি এক বিরল ত্যাগী বাবার সন্ধান মিলেছে পাশের দেশ ভারতে।

পেশায় ট্যাক্সিচালক এই বাবা তার ছোট্ট মেয়েকে স্কুলে পড়ানোর খরচ যোগানোর জন্য যে ত্যাগ স্বীকার করে চলেছেন তা ‘‘The Humans of Bombay Facebook page’’-এ রীতিমতো ভাইরাল হয়ে পড়েছে। আর পরে খবরটি লুফে নিয়েছে সেদেশের সংবাদমাধ্যমগুলো। একটি সংবাদ মাধ্যম লিখেছে: ‘‘This Mumbai taxi driver's hard work and sacrifices prove that there's nothing a parent won't do to give their child the best life possible.’’

তবে মুম্বাই শহরের এই ট্যাক্সিচালক বাবা নিজের নামটি জানাননি। ফেসবুক পেজে ওই বাবার জবানিতে তার অর্থকষ্টময় জীবনের বর্ণনা তুলে ধরা হয়েছে। সময়টা একদা তার জন্য এমনই খারাপ ছিল যে, খাবার কেনার মতো টাকা জোটানোও কঠিন হয়ে পড়েছিল তার জন্য। তাই নামিদামি বেসরকারি স্কুল ছেড়ে মেয়েকে তিনি কম খরচের সরকারি স্কুলে পড়তে বলার উপক্রম হয় তার। তার ভাষায়‘‘...the school fees for my 14 year old daughter were too much to pay because we weren't able to afford basic things like food,"  

কিন্তু বাবা হয়ে মেয়েকে স্কুল ছাড়ার কথা বলতে পারেননি তিনি। এরপর শুরু হয় সংগ্রাম। নিজের সব ক্ষমতা উজাড় করে দিয়ে নামিদামি স্কুলে মেয়ের পড়াশুনা অব্যাহত রাখার সংগ্রাম। তিনি শুরু করলেন ধারদেনা। নিজের খাওয়া দাওয়া, আরাম-আয়েস দিলেন কমিয়ে। কম খেয়ে কম পরে তিনি যথাসময়ে মেয়ের স্কুল ফি পরিশোধ করে যেতে থাকলেন। মেয়ের পড়াশুনার সব উপকরণ যুগয়ে চললেন নিয়মিত।

‘‘৮ম শ্রেণীতে পড়বার সময় আমাকে পড়াশোনায় ছেদ টানতে হয়। আর আমার মেয়েটারও টাকার অভাবে পড়াশোনা ছাড়ার অবস্থা দেখা দিল। কিন্তু আমি তা চাইনি আমার মেয়ের পড়ার স্বপ্নটাও মুখ থুবড়ে পড়ুক। ’’—বললেন নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এই দরদি পিতা।

ট্যাক্সিচালক এই পিতার আশা, মেয়েটি তার একদিন অনেক বড় কিছু হবে। তার মুখ উজ্জ্বল করবে।

বাংলাদেশ সময়: ০৯৫৫ ঘণ্টা, অক্টোবর ০২, ২০১৬
জেএম

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।