ঢাকা: মশা মারার স্টাফ তিনি। সব সময়ই মশা মারার র্যাকেট হাতে ঘোরেন।
মশা প্রতি কমিশন পান কি না কে জানে! কিন্তু এটাই তার চাকরি। কালো প্যান্ট, নীল শার্ট আর পালিশ করা চকচকে জুতো পায়ে মশা শিকারি টিকটিকির চেয়েও বেশি সতর্ক থাকতে হয় তাকে।
মশা নিধনে তার দৌড়াদৌড়িতে বিরক্তিতে নাক কুচকান খদ্দেররা। কেউ কেউবা একটু আধটু রসিকতাও করেন মশা কবলিত এমন রেস্টুরেন্ট এর বেহাল দশায়। দিন দুপুরে কোনো ফাইভ স্টার হোটেলে এতো মশার বিচরণ যেমন বিরল, তার চেয়েও বিরল মশা মারার অভিনব এই পন্থা।
যদিও কোনো কটু কথা, তীর্যক বাক্যবান কোনো কিছুতেই সাড়া নেই মশা মারার স্টাফের। কানে বুঝি ঠুলো দিয়ে তিনি লাগাতার ঘুরিয়ে যাচ্ছেন মশা মারার র্যাকেট। এজন্য রেস্টুরেন্ট কর্তৃপক্ষ তাকে বিশেষ কোনো প্রশিক্ষণ দিয়েছে হয়তো।
মশা মারার এমন তোড়জোড় দেখা গেলো সোমবার লাঞ্চ আওয়ারে রাজধানীর হোটেল লা মেরিডিয়ানের নিচতলার রেস্টুরেন্ট ল্যাটিচ্যুড ২৩ এ। এয়ারপোর্ট রোডে খিলক্ষেত ফুটওভার ব্রিজের কাছে গড়ে ওঠা অপেক্ষাকৃত নতুন এই ৫ তারকা হোটেলের প্রধান গেট দিয়ে প্রবেশ করলেই রিসিপশন। পাশেই রেস্টুরেন্ট ল্যাটিচ্যুড ২৩।
রিসিপশনের পাশে হওয়ায় রেস্টুরেন্টের অতিথি ছাড়াও অনেকেরই চোখে লাগছে মশা মারার এমন দৃশ্য।
যদিও হোটেলটির অফিসিয়াল ওয়েবসাইটে এই রেস্টুরেন্ট সম্পর্কে বলা হয়েছে, খাদ্য, পানীয়, শিল্প ও বিনোদনের সৃজনশীল শক্তি যোগাবে ল্যাটিচ্যুড ২৩। বাতাস সরবরাহের পথে উপযুক্ত প্রতিবন্ধকতা না গড়ে মশা মারতে তাদের এমন অভিনব আয়োজন সৃজনশীলই বটে।
বাংলাদেশ সময়: ১৫৫০ ঘণ্টা, অক্টোবর ৩, ২০১৬
জেডএম/