দুবলারচর থেকে ফিরে: চলছে ভরা মৌসুম। গভীর সমুদ্রে মাছ শিকারে ব্যস্ত জেলেরা।
রাস পূর্ণিমার সময় সমুদ্রবক্ষে দুবলার চরে রোববার জেলেদের শত শত চাতালে মাছ শুকানোর কিছু দৃশ্য পূণ্যার্থী ও দর্শনার্থীদের দৃষ্টি কাড়ে। কংকন, ফ্যাঁসা, ছুরি, কলাপাতা, বাঁশপাতা, রূপচাঁদা, চিংড়ি এমন নানান নাম ও জাতের মাছ শুকানোর পর তা যায় দেশের বিভিন্ন প্রান্তে।
রাস মেলার রাতে স্থানীয় একটি শুটকির চাতালে বিভিন্ন প্রজাতির ছোট ছোট মাছ দিয়ে তৈরি করা হয়েছে চাতালের প্রবেশ দ্বার।
জ্যোৎস্না ভরা রাতে সেই শুঁটকিতে চাঁদের আলো পড়ে চাতালের প্রবেশ দ্বার ঝলমলে হয়ে উঠে। মেলায় আগত দর্শনাথীদের তা আকৃষ্ট করে।
লইট্যা-কইট্যা মাছ। শুঁটকি তৈরির জন্য রোদে ঝুলিয়ে দেওয়া হয়েছে আরেকটি চাতালে। মাছগুলো শুকাতেও শুরু করেছে। ৩/৪ দিনের মধ্যে পুরোপুরি শুঁটকির রূপ পাবে বলে জানান জেলেরা।
বড় বড় মাছগুলো বাঁশের বেড়ায় ঝোলানো। আর ছোট ছোট নানা জাতের মাছগুলো শুকাতে দেওয়া হয়েছে খড়ের ওপর, লাইলনের জালে।
ছুরি মাছ! দেখতে ছুরির মতো। ধবধবে সাদা দেড় থেকে দুই ফুট লম্বা মাছগুলো সকালের রোদে যেন হাসছে।
দেশের বিভিন্ন প্রান্তে গেলেও মূলত সৈয়দপুর ও চট্টগ্রামেই দুবলার চরের শুটকির চাহিদা বেশি।
বাংলাদেশ সময়: ১৪৪০ ঘণ্টা, নভেম্বর ১৬, ২০১৬
এমআইএইচ/জেডএস