ঢাকা, মঙ্গলবার, ১১ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৬ নভেম্বর ২০২৪, ২৪ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

ফিচার

সিলেটি খাবারের আদি স্বাদ পানসী রেস্টুরেন্টে

নাসির উদ্দিন, সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১০৪৪ ঘণ্টা, নভেম্বর ২৬, ২০১৬
সিলেটি খাবারের আদি স্বাদ পানসী রেস্টুরেন্টে ছবি: আবু বকর- বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম

জিন্দাবাজার পয়েন্ট থেকে পশ্চিম দিকে চলে গেছে যে পথটি- ওই পথ ধরে জল্লারপাড় পৌঁছালে ডান পাশে পড়বে মরমী কবি হাছন রাজার বাড়ি।

সিলেট: জিন্দাবাজার পয়েন্ট থেকে পশ্চিম দিকে চলে গেছে যে পথটি- ওই পথ ধরে জল্লারপাড় পৌঁছালে ডান পাশে পড়বে মরমী কবি হাছন রাজার বাড়ি।

‘রাজা নিবাস প্যালেস’র একটি অংশ নিয়ে ‘পানসী রেস্টুরেন্ট’।

যেখানে এক ছাদের নিচে মিলবে সিলেট অঞ্চলের ঐতিহ্যবাহী, আদি সব খাবারের আসল স্বাদ।

সিলেটে যাবেন আর বিফ-সাতকরা, রানি মাছ, আখনি খাবেন না তা-কি হয়! এগুলো ছাড়াও পানসী রেস্টুরেন্টে পাওয়া যাবে হাওরের চিতল মাছ, বোয়াল মাছ এবং ২০ থেকে ২৫ পদের ভর্তা।

সাধারণত সিলেটে বেড়াতে আসা পর্যটকদের সকাল হয় পানসীর হাঁসের এবং গরুর মাংসের আখনি দিয়ে। দুপুরে মেলে হাওরের তাজা মাছ। বিকেল থেকে রাত পর্যন্ত চলে বটি কাবাব, সিক কাবাব, জালি কাবাব, টিক্কা, গ্রিল, চিকেন ফ্রাই খাওয়া ধুম।



কক্সবাজার থেকে রওয়ানা হয়ে শুক্রবার (২৫ নভেম্বর) সিলেটে এসে পৌঁছান আব্দুল গফুর। সঙ্গে স্ত্রী, দুই মেয়ে এবং বন্ধুর চার সদস্যের পরিবার। নগরীর একটি অভিজাত হোটেলে উঠলেও সেখানকার খাব‍ার মন ভরাতে পারেনি তাদের। তাই বন্ধুর পরামর্শ অনুযায়ী, শনিবার (২৬ নভেম্বর) দুপুরে চলে আসেন পানসীতে।

সিলেটি খাবারে তো বটেই, আব্দুল গফুর এবং তার বন্ধুর ছেলে-মেয়েদের বেশি আগ্রহ পানসীর আইসক্রিম পার্লার এবং জুস কর্নারে। সঙ্গে বাড়তি পাওয়া ‘মিউজিয়াম অব রাজাস’। সেখানে সংরক্ষণ করা হয়েছে মরমী কবি হাছন রাজার স্মৃতিচিহ্ন।



বাংলানিউজের সঙ্গে আলাপকালে আব্দুল গফুর বলেন, পরিবার নিয়ে আসার জন্য পানসী রেস্টুরেন্টের তুলনা হয় না। এখানে এসি, নন এসি, এমনকি খোলা আকাশের নিচেও বসে খাওয়ার সুযোগ রয়েছে। ফলে বাচ্চারা একদম বিরক্ত হয় না- ওরাই ঠিক করে কোথায় বসবে।
সিলেট অঞ্চলের ঐতিহ্যবাহী খাবারের আসল স্বাদ মূলত পর্যটকদের কাছে পৌঁছে দিতে ২০১১ সালে চার বন্ধু আবু বকর সিতু, সালাহ উদ্দিন আহমেদ, রায়হান মাসুদ রাসেল এবং নুরুজ্জামান সিদ্দিকী পানসী রেস্টুরেন্ট শুরু করেন। ছোট পরিসরে শুরু হলেও বর্তমানে চার হাজারের বেশি মানুষ এক সঙ্গে বসে খেতে পারেন।  মৌলভীবাজার এবং শ্রীমঙ্গলে রয়েছে পানসীর আরও চারটি শাখা।

আবু বকর সিতু বাংলানিউজকে বলেন, সব শ্রেণী-পেশা-ধর্ম-গোত্রের মানুষের কথা মাথায় রেখেই আমরা খাবারের তালিকা এবং দাম নির্ধারণ করেছি। শুরু থেকে আমাদের একটাই উদ্দেশ্য ছিলো- পর্যটকদের সিলেটি খাবারের আসল স্বাদ দেবো। সে ক্ষেত্রে সবচেয়ে বেশি গুরুত্বপূর্ণ তাজা মাছ, মাংস, সবজি। এটাই ছিলো সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ।



পানসীতে যে মাছগুলো রান্না করা হয়, সেগুলো সংরক্ষণ করা হয় না। প্রতিদিনের মাছ, প্রতিদিন কেনা হয়। আমাদের কর্মচারী হাওর থেকে এসব মাছ বেছে কিনে আনে। অধিকাংশ মাছ আসে হাকালুকি হাওর থেকে, বলেন সিতু।

আরও বললেন, বুকিং নিয়ে পানসী দ্রুততম সময়ে সেরা মানের খাবার সরবরাহ করে। কারণ অতিথিদের সন্তুষ্টিই পানসীর একমাত্র চাওয়া।

বাংলাদেশ সময়: ১৬৩৭ ঘণ্টা, নভেম্বর ২৬, ২০১৬
এটি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।