সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা যায়, ১৯৯১ সালে স্থানীয় জনসাধারণের চলাচলের সুবিধার্থে উপজেলার কাপ্তাই হ্রদের উপর সেনাবাহিনীর ২৩ ইস্টবেঙ্গল রেজিমেন্ট নিজস্ব অর্থায়নে ৪শ’ ফুট লম্বা ও ৪ ফুট চওড়া এ ঝুলন্ত সেতুটি নির্মাণ করে।
পরবর্তীতে ইউনিয়ন পরিষদের অর্থায়নে বিভিন্ন সময় সেতুটি সংস্কার করা হলেও ঠিকাদাররা নিম্নমানের কাজ করায় বর্তমানে সেতুটির বেহাল দশা বলে জানান স্থানীয়রা।
স্থানীয়রা জানান, ১ নং ঘিলাছড়ি, ২ নং গাইন্দ্যা ইউনিয়ন ও বাঙ্গালহালিয়া ইউনিয়নে যাতায়াতের প্রধান মাধ্যম হচ্ছে এ সেতুটি। বর্তমানে সেতুটির অবস্থা বেহাল হওয়ায় পারাপারে অনেক অসুবিধার সম্মুখিন হতে হচ্ছে।
ওই উপজেলার ১ নং ঘিলাছড়ি ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান সুশান্ত প্রসাদ তঞ্চাঙ্গ্যা জানান, উপজেলার সৌন্দর্যের প্রতীক গুরুত্বপূর্ণ সেতুটি মেরামত না হওয়ায় রোগীদের হাসপাতালে নিতেও সমস্যা হচ্ছে। এছাড়া শিক্ষার্থীরা প্রতিদিন অত্যন্ত ঝুঁকি নিয়ে সেতুটি পার হয়ে স্কুলে যাতায়াত করছে।
রাজস্থলী তাইতং পাড়া সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষিকা স্নিগ্ধা চাকমা বাংলানিউজকে জানান, সেতুটি নড়বরে হয়ে পড়ায় শিক্ষার্থীরা ঝুঁকি নিয়ে স্কুলে আসছে। সেতুটি মেরামত না করলে বর্ষাকালে ওই সেতু দিয়ে শিক্ষার্থীরা চলাচল করতে পারবে না। ফলে শিক্ষার্থীদের বিদ্যালয়ে উপস্থিতির হার কমে যাবে। তিনি আরো বলেন, জরুরি ভিত্তিতে সেতুটি সংস্কার করা প্রয়োজন।
এ ব্যাপারে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) লীজা খাজা বলেন, উপজেলার গুরুত্বপূর্ণ ওই ঝুলন্ত সেতুটি সংস্কারে সংশ্লিষ্ট ইউনিয়ন পরিষদের এলজিএসপি থেকে জরুরি ভিত্তিতে ফান্ডের ব্যবস্থা করা হচ্ছে। আশাকরি, খুব কম সময়ের মধ্যে ওই সেতুটি সংস্কারের কাজ শুরু করা হবে।
বাংলাদেশ সময়: ১০৫২ ঘণ্টা, জানুয়ারি ০৯, ২০১৭
আরএ