ঢাকা, বুধবার, ১১ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ নভেম্বর ২০২৪, ২৫ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

ফিচার

ইতিহাসের এই দিনে

কবি জীবনানন্দ দাশের প্রয়াণ

​ফিচার ডেস্ক | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৮৪৩ ঘণ্টা, অক্টোবর ২১, ২০১৭
কবি জীবনানন্দ দাশের প্রয়াণ কবি জীবনানন্দ দাশ

ঢাকা: ইতিহাস আজীবন কথা বলে। ইতিহাস মানুষকে ভাবায়, তাড়িত করে। প্রতিদিনের উল্লেখযোগ্য ঘটনা কালক্রমে রূপ নেয় ইতিহাসে। সেসব ঘটনাই ইতিহাসে স্থান পায়, যা কিছু ভাল, যা কিছু প্রথম, যা কিছু মানবসভ্যতার অভিশাপ-আশীর্বাদ।

তাই ইতিহাসের দিনপঞ্জি মানুষের কাছে সবসময় গুরুত্ব বহন করে। এই গুরুত্বের কথা মাথায় রেখে বাংলা নিউজের পাঠকদের জন্য নিয়মিত আয়োজন ‘ইতিহাসের এই দিনে’।

২২ অক্টোবর, ২০১৭, রোববার। ০৭ কার্তিক, ১৪২৪ বঙ্গাব্দ। একনজরে দেখে নিন ইতিহাসের এই দিনে ঘটে যাওয়া উল্লেখযোগ্য ঘটনা, বিশিষ্টজনের জন্ম-মৃত্যু দিনসহ গুরুত্বপূর্ণ আরও কিছু বিষয়।  

ঘটনা

১৭৬৪- বাংলা ও বিহারে নবাবি আমলের অবসান হয় এবং ব্রিটিশ ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানির শাসন শুরু হয়।

১৯৩৫- হাইতিতে প্রচণ্ড ঘূর্ণিঝড়ে ২ হাজারের বেশি লোকের মৃত্যু।

১৯৭৩- ইসরায়েলের সঙ্গে মিশর ও সিরিয়ার যুদ্ধবিরতি কার্যকর হয়।

১৯৮৯- লেবাননের প্রেসিডেন্ট মৌয়াদ রেনে অজ্ঞাতপরিচয় আততায়ীর গুলিতে নিহত হন।

১৯৯৫- জাতিসংঘের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে বিশ্বনেতাদের সর্ববৃহৎ সম্মেলন শুরু।

জন্ম

১৮৭০- ইভান বুনিন, নোবেলজয়ী রুশ কথাসাহিত্যিক।

১৮৮১- ক্লিনটন জোসেফ ডেভিসন, নোবেলজয়ী মার্কিন পদার্থবিজ্ঞানী।

১৯০০- আসফাকউল্লা খান, ব্রিটিশবিরোধী স্বাধীনতা আন্দোলনের শহীদ বিপ্লবী।

১৯৫০- ময়ুখ চৌধুরী, কবি, সমালোচক, গবেষক।

মৃত্যু

১৯০৬- ফরাসি চিত্রশিল্পী পল সেজাঁ।

১৯৫৪- জীবনানন্দ দাশ, বিংশ শতাব্দীর অন্যতম প্রধান আধুনিক বাঙালি কবি। ১৮৯৯ সালের ১৭ ফেব্রুয়ারি বরিশালে জন্ম নেওয়া জীবনানন্দ একাধারে লেখক, প্রাবন্ধিক এবং অধ্যাপক। তাকে বাংলাভাষার ‘শুদ্ধতম কবি’ বলে মনে করা হয়। তিনি বাংলা কাব্যে আধুনিকতার পথিকৃতদের মধ্যে অগ্রগণ্য। মৃত্যুর পর থেকে শুরু করে বিংশ শতাব্দীর শেষ ধাপে তিনি জনপ্রিয়তা পেতে শুরু করেন। প্রধানত কবি হলেও বেশ কিছু প্রবন্ধ-নিবন্ধও রচনা করেছেন। ঝরা পালক (১৯২৭), ধূসর পাণ্ডুলিপি (১৯৩৬), বনলতা সেন (১৯৪২) ও সাতটি তারার তিমি (১৯৪৮) সহ বেশ কিছু কবিতাগ্রন্থের রচয়িতা জীবনানন্দ কলকাতায় ট্রাম দুর্ঘটনায় মারা হওয়ার আগে নিভৃতে ২১টি উপন্যাস এবং ১০৮টি ছোটগল্প রচনা করেন, যার একটিও জীবদ্দশায় প্রকাশ করেননি। রবীন্দ্র-পরবর্তীকালে বাংলা ভাষার প্রধান কবি হিসেবে সর্বসাধারণ্যে স্বীকৃত ‘বনলতা সেন’র এ রচয়িতার জীবন কাটে চরম দারিদ্র্যের মধ্যে। কবির ‘বনলতা সেন’ কাব্য নিখিলবঙ্গ রবীন্দ্রসাহিত্য সম্মেলনে পুরস্কৃত (১৯৫৩) হয়। তার ‘জীবনানন্দ দাশের শ্রেষ্ঠ কবিতা’ গ্রন্থটিও পায় ভারত সরকারের সাহিত্য আকাদেমি পুরস্কার (১৯৫৪)।

বাংলাদেশ সময়: ০০৪১ ঘণ্টা, অক্টোবর ২২, ২০১৭
এনএইচটি/এইচএ/

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।