বৃত্তাকার চাঁদের দিকে তাকাতেই প্রিয়ার মুখ ভেসে উঠে হঠাৎ। হৃদয়ের গভীর গোপন কোণে জাগায় আত্মজাগরণী প্লাবন।
হেমন্তিকায় ভর করে রয়েছে হিমেল পরশ। শীতের ঘন তীব্রতা তেমন একটা নেই। উপভোগ্য এই শীতল পরশ চন্দ্র দর্শনের মুগ্ধতাকে বাড়িয়ে দিয়েছে। কেননা, আজ চাঁদ অপেক্ষাকৃত কিছু উজ্জ্বল। স্পষ্টতার প্রতীক হয়ে পৃথিবীর এক অংশে আলোশিখা বর্ষণ করছে পৃথিবী চাঁদপ্রেমী মানুষদের উদ্দেশে।
বিজ্ঞান ভিত্তিক সংগঠন ‘অনুসন্ধিৎসু চক্র’ এর তথ্য মতে, রোববার (০৩ ডিসেম্বর) বাংলাদেশ সময় রাত ৯টা ৪৬ মিনিটে আকাশে দেখা গিয়েছে ‘সুপার মুন’। বার্ষিক প্রদক্ষিণের সময় পৃথিবীর কাছাকাছি চলে আসে তখন একে সুপারমুন বলা হয়। এক্ষেত্রে চাঁদ ১২ শতাংশ বড় এবং ১৪ শতাংশ উজ্জ্বল দেখায়। পৃথিবী থেকে চাঁদের দূরত্ব হবে প্রায় ২ লাখ ২২ হাজার ৭৬১ মাইল, যা গড় দূরত্ব ২ লাখ ৩৮ হাজার ৯০০ মাইলের চেয়ে কম বলে তথ্য দেয় ‘অনুসন্ধিৎসু চক্র’।
দালানকোঠার ছাদের উপর মুগ্ধ হয়ে, স্থির হয়ে কেবলই কিছুক্ষণ চেয়ে থাকা। তারপরই একলা থাকার এই প্রার্থনাটুকু ভরে উঠবে ভালোবাসাময় অনুভূতির তানে। প্রিয়া অথবা প্রিয় কোনো মুখশ্রী তখনই নীরব অভিসারে মনের কোণে হঠাৎই দেবে উঁকি!
চাঁদের এমন আলোয় বারবার গা ভিজিয়ে শুদ্ধ হয়ে ওঠা যায়। এ আলো মানুষকে অব্যক্ত ভাষায় শুদ্ধতার আহ্বান জানিয়ে যায়। চাঁদের আলোয় মানুষ তার হিংস্র রূপটিকে ভুলে মানবিক মানুষে পরিণত হয়; রূপান্তরিত হয় মমতাময়ী প্রেমিকের অবয়বে।
এমন চাঁদের আলোয় হৃদয় রবীন্দ্রনাথের গানে আপন স্বস্তিটুকু খুঁজে পায় বারবার; ‘যখন এসেছিলে অন্ধকারে... চাঁদ উঠেছে রাতের কোলে...। ’
বাংলাদেশ সময়: ০৩৫৫ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ০৪, ২০১৭
বিবিবি/আরবি/