ঢাকা, বুধবার, ১১ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ নভেম্বর ২০২৪, ২৫ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

ফিচার

উত্তর আমেরিকার প্রাচীনতম মানব পদচিহ্ন

ফিচার ডেস্ক | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৮৪২ ঘণ্টা, মার্চ ২৯, ২০১৮
উত্তর আমেরিকার প্রাচীনতম মানব পদচিহ্ন উত্তর আমেরিকার প্রাচীনতম মানব পদচিহ্ন

ঢাকা: প্রায় ১৩ হাজার বছর আগে উত্তর আমেরিকার উপকূলবর্তী কাদা-মাটিতে খালি পায়ে হেঁটে বেড়িয়েছেন মানব সম্প্রদায়ের তিন সদস্য। অবাক করা বিষয় হলো, তাদের পায়ের ছাপগুলো প্রকৃতির অদ্ভুত খেয়ালে আজও টিকে আছে।

পশ্চিম কানাডার ব্রিটিশ কলাম্বিয়া প্রদেশের অন্তর্গত কালভার্ট দ্বীপে পদচিহ্নগুলোর সন্ধান মেলে। দ্বীপটি ভ্যানকুভার আইল্যান্ডের প্রায় ১০০ কিলোমিটার উত্তরে অবস্থিত।

বলা হচ্ছে, এ ছাপগুলোই উত্তর আমেরিকার সবচেয়ে প্রাচীন মানব পদচিহ্ন।  

গবেষক দলের প্রধান কানাডার ভিক্টোরিয়া ইউনিভার্সিটির নৃতত্ত্ববিদ ডানকান ম্যাকলারেন বলেন, প্রায় ১৩ হাজার বছর আগে বরফ যুগের শেষ প্রান্তে মানুষ কানাডার পশ্চিম ভূ-খণ্ডে পদার্পণ করেছিলো। এ পদচিহ্নগুলো এ তথ্যেরই প্রমাণ বহন করে।  

অথচ, এর আগের গবেষণাগুলো জানায়, মানুষ প্রশান্ত মহাসাগর পারি দিয়ে এশিয়া থেকে উত্তর আমেরিকায় প্রবেশ করে আনুমানিক ১১৭০০ বছর আগে।

ডিজিটাল ফটোগ্রাফিক গবেষণার মাধ্যমে জানা যায়, পায়ের ছাপগুলো দু’জন পূর্ণবয়স্ক মানুষ ও এক শিশুর। তারা সবাই খালি পায়ে চলাচল করছিল। মোট ২৯টি পায়ের ছাপ শনাক্ত করতে পেরেছেন গবেষকরা।  

গবেষকরা জানান, প্রশান্ত মহাসাগর পারি দিয়ে উত্তর আমেরিকায় আসা মানুষের সংখ্যাটা নিশ্চিত করে বলা সম্ভব নয়। তবে এ ভূ-খণ্ডের দক্ষিণ দিকে যাওয়ার হাজার বছর আগেই এখানে মানুষ বসবাস শুরু করে। উত্তর আমেরিকার প্রাচীনতম মানব পদচিহ্নআরও জানা যায়, বরফ যুগের শেষ প্রান্তে অঞ্চলটির ভূ-প্রকৃতিও ছিল অন্যরকম। তখন কালভার্ট আইল্যান্ডের সমুদ্রপৃষ্ঠের উচ্চতা বর্তমানের চেয়ে প্রায় তিন মিটার কম ছিল। কারণ ওই আমলে পৃথিবীর বেশিরভাগ পানিই বড় বড় বরফখণ্ডের আকার ধারণ করেছিল।

উত্তর আমেরিকার প্রাচীনতম পদচিহ্নের গবেষণাটি পরিচালনা করেন গবেষণাসংস্থা হাকাই ইনস্টিটিউট ও ভিক্টোরিয়া ইউনিভার্সিটির একদল গবেষক। আর গবেষণাপত্রটি প্রকাশিত হয় বুধবার (২৮ মার্চ) বিজ্ঞানসাময়িকী ‘পিএলওএস (পাবলিক লাইব্রেরি অব সায়েন্স) ওয়ান’-এ।

গবেষকরা মনে করেন, উত্তর আমেরিকার প্রাচীন মানব সম্প্রদায় সম্পর্কে আরও ভালোভাবে জানতে এ অঞ্চলটিতে ব্যাপক খনন কাজ প্রয়োজন।  

বাংলাদেশ সময়: ০০৪০ ঘণ্টা, মার্চ ৩০, ২০১৮
এনএইচটি/এমজেএফ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।