ঢাকা, বুধবার, ১১ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ নভেম্বর ২০২৪, ২৫ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

ফিচার

আমাজনের অজানা মানব সম্প্রদায়

ফিচার ডেস্ক | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০২৫৬ ঘণ্টা, মার্চ ৩০, ২০১৮
আমাজনের অজানা মানব সম্প্রদায় আমাজনের অজানা মানব সম্প্রদায়

ঢাকা: দক্ষিণ আমাজনের বিশাল অঞ্চলকে এতদিন মানব পদচারণাহীন ধারণা করে এলেও, সম্প্রতি ওই অঞ্চলে বিপুল সংখ্যক মানব বসতির আলামত পাওয়া গেছে। বলা হচ্ছে, খ্রিস্টপূর্ব ১২৫০ সালের দিকে এ অঞ্চলে কমপক্ষে ১০ লাখ মানুষের বসবাস ছিল।

প্রত্নতাত্ত্বিকরা আমাজন রেইনফরেস্টের নদ-নদীগুলোর থেকেও অনেক দূরে প্রায় ১৫০০টি সুরক্ষিত গ্রামের ধ্বংসাবশেষ আবিষ্কার করেন। এ গ্রামগুলোর অবস্থান বর্তমান ব্রাজিলের মাতো গ্রোসো প্রদেশে।

 

ধ্বংসাবশেষের নমুনা পরীক্ষা করে গবেষকরা জানান, খ্রিস্টপূর্ব ১৫০০ থেকে ১২৫০ সাল পর্যন্ত এ অঞ্চলের প্রায় ১৮০০ কিলোমিটার এলাকা জুড়ে বিপুল সংখ্যক মানুষ বসবাস করতো। দক্ষিণ আমেরিকায় ইউরোপিয়ান অভিযাত্রীদের সঙ্গে করে আসা রোগ-ব্যাধির কারণে এরা নিশ্চিহ্ন হয়ে যায়।

গ্রামগুলোর ভেতর বেশ কিছু রহস্যময় ভূমি-নকশা (জিওগ্লেপস্‌) পাওয়া যায়। মানবসৃষ্ট ভূমি-নকশাগুলোর বেশিরভাগই চতুর্ভূজ, বৃত্তাকার বা ষড়ভূজাকৃতির। গবেষকরা এখনও নিশ্চিত নয় কেন এই ভূমি-নকশাগুলো তৈরি করা হয়েছিল। এগুলো এ অঞ্চলের প্রাচীন ধর্মীয় অনুষ্ঠানের অংশ হয়ে থাকতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে। ওই অঞ্চলে সন্ধান পাওয়া এ ধরনের ভূমি-নকশার সংখ্যা প্রায় ১৩০০।  

এ বিষয়ের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট গবেষকদলের সদস্য জর্জিও ডি সুজা বলেন, এখানকার অধিবাসীরা প্রকৃতিকে রূপান্তরিত করে নিজেদের কাজে লাগানো (যেমন: কৃষিকাজ) শিখেছিল। বাদাম ও বিভিন্ন ধরনের ফলের চাষ করত তারা।

জানা যায়, গবেষণাটির মাত্র এক-তৃতীয়াংশ সম্পন্ন হয়েছে। এখানকার অধিবাসীদের সম্পর্কে চালো করে জানতে আরও অনেক সময় প্রয়োজন।

আমাজনের প্রত্নতাত্ত্বিক গবেষণাটি পরিচালিত হচ্ছে যুক্তরাজ্যের এক্সেটার বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রত্নতত্ত্ব বিভাগের গবেষকদের মাধ্যমে। গবেষকদের মতে, এ আবিষ্কারটি আমাজনের ইতিহাসের একটি বড় শূন্যস্থান পূরণ করতে যাচ্ছে।  

বাংলাদেশ সময়: ০৮৫৩ ঘণ্টা, মার্চ ৩০, ২০১৮
এনএইচটি/এমজেএফ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।