ব্ল্যাক হোল শনাক্তকরণের এ ঘটনাটি গবেষকদের একটি দীর্ঘকালীন তত্ত্বের প্রমাণ বহন করে। এ তত্ত্বে বলা হয়েছিল, প্রতিটি গ্যালাক্সির একদম মাঝখানে একটি সুপার ম্যাসিভ ব্ল্যাক হোল এবং এর আশপাশে অনেকগুলো ছোট আকৃতির ব্ল্যাক হোল অবস্থান করছে।
ব্ল্যাক হোলগুলো পর্যবেক্ষণ করেন নিউইয়র্কের কলাম্বিয়া ইউনিভার্সিটির অ্যাস্ট্রোফিজিসিস্ট চাক হেইলি।
তিনি বলেন, আমরা গ্যালাক্সির মাঝের দিকে ১২টি ব্ল্যাকহোলের সন্ধান পেয়েছি। তবে এগুলো যেন পানিতে ভাসতে থাকা আইস বার্গের মতো যার বেশির ভাগ অংশই পানির নিচে অবস্থান করে বলে দেখা যায় না। আমাদের ধারণা অনুযায়ী সেখানে বিপুল সংখ্যক ব্ল্যাক হোল থাকার কথা।
সাধারণভাবে মহাকাশে ব্ল্যাকহোল দেখতে পাওয়া প্রায় অসম্ভব। বিশাল ভরের কারণে ব্ল্যাক হোলের আকর্ষণ বলও অত্যন্ত বেশি। ফলে তা আশপাশের সবকিছুকে এর কেন্দ্রের দিকে প্রচণ্ড শক্তিতে টানতে থাকে। এমনকি আলোও এর আকর্ষণ বল ভেদ করে বেরোতে পারে না।
ব্ল্যাক হোল শনাক্তের একটি প্রচলিত পদ্ধতি হলো, আকাশের উজ্জ্বল নক্ষত্রের ওপর নজর রাখা। নক্ষত্রের সামনে কোনো ব্ল্যাক হোল অবস্থান করলে কালো বিন্দু আকারে তা নজরে আসবে বা নক্ষত্রটিকে তা ঢেকে ফেলবে।
নতুন আবিষ্কৃত ব্ল্যাক হোলগুলো শনাক্তকরণের কাজে ব্যবহৃত হয়েছে নাসার এক্স-রে টেলিস্কোপ। ব্ল্যাক হোলগুলো ‘স্যাজিটারিয়াস-এ’ থেকে প্রায় তিন আলোকবর্ষ দূরে অবস্থিত।
পদার্থবিদদের তত্ত্ব অনুযায়ী, মিল্কিওয়ে গ্যালাক্সির কেন্দ্রে রয়েছে ‘স্যাজিটারিয়াস-এ’ নামের এক অতিকায় ব্ল্যাক হোল। এর আশেপাশে রয়েছে বিপুল পরিমাণের গ্যাস ও ধূলিকণা। এ অঞ্চলকে বলা হয় নক্ষত্রের জন্মভূমি।
বাংলাদেশ সময়: ১২২৬ ঘণ্টা, এপ্রিল ০৬, ২০১৮
এনএইচটি/এএ/জেএম