ঢাকা, মঙ্গলবার, ১১ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৬ নভেম্বর ২০২৪, ২৪ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

ফিচার

প্রাগৈতিহাসিক ইউরোপের ৭ অজানা

ফিচার ডেস্ক | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২২৪৪ ঘণ্টা, জুন ২১, ২০১৮
প্রাগৈতিহাসিক ইউরোপের ৭ অজানা প্রাগৈতিহাসিক ইউরোপের ৭ অজানা, ছবি: সংগৃহীত

ঢাকা: মানুষ নিজের ইতিহাস লিখতে শুরু করার আগের সময়টাকে বলা হয় প্রাগৈতিহাসিক যুগ। যেহেতু তখনকার ঘটনা লিখে রাখা হয়নি, তাই সেগুলোর বেশিরভাগই আজ হারিয়ে গেছে। তবে প্রত্নতাত্ত্বিকদের কল্যাণে পৃথিবীর বিভিন্ন প্রান্তের প্রাগৈতিহাসিক মানুষদের সম্পর্কে জানা সম্ভব হয়। এখন মানুষ ওদের সম্পর্কে অনেক কিছুই জানে। এবার জেনে নেওয়া যাক প্রাগৈতিহাসিক ইউরোপিয়ানদের সম্পর্কে কয়েকটি অজানা তথ্য:

১. সবচেয়ে প্রাচীন পাথরের হাতিয়ার প্রায় ২৫ লাখ বছর আগের। যদিও মানব প্রজাতি বিকাশিত হয় মাত্র দুই লাখ বছর আগে।

আর ইউরোপে প্রথম মানবের আগমন ঘটে ৩৭ হাজার বছর আগে। রোমানিয়ার গুহাগুলোতে এদের দেহাবশেষ পাওয়া যায়।

২. ডেনমার্ক ও যুক্তরাজ্যের মধ্যমর্তী অঞ্চলে ডগারল্যান্ড নামের একটি স্থান রয়েছে। এটাকে ব্রিটিশ আটলান্টিসও বলা হয়। ডগারল্যান্ডের অবস্থান সাগরের তলদেশে। খ্রিস্টপূর্ব ৬৩০০ সালের দিকে আইস ক্যাপ গলে সমুদ্রপৃষ্টের উচ্চতা বেড়ে যায়। ফলে তলিয়ে যায় ডগার আইল্যান্ড। একইসঙ্গে তলিয়ে যায় এই অঞ্চলের প্রচুর সংখ্যক ম্যামথ ও নিনদারথাল (মানুষের থেকে একটু ভিন্নভাবে বিকশিত একটি প্রজাতি, পরে এরা বিলুপ্ত হয়ে যায়)। সেখানানকার জেলেরা এখনও ১১০০০ বছর আগের ম্যামথের ফসিল খুঁজে পান। একবার সেখানে পাওয়া যায় ৪০ হাজার বছর আগের নিনদারথালের খুলি।

৩. আট থেকে নয় হাজার বছর আগে প্রচণ্ড বিধ্বংসী প্রাকৃতিক দুর্যোগ হানা দেয় ইউরোপে। শক্তিশালী ভূমিকম্পে প্রায় ৮০ ফুট উঁচু সুনামির সৃষ্টি হয় এবং একযোগে ব্রিটিশ দ্বীপপুঞ্জ, নরওয়ে, নেদারল্যান্ড, গ্রিনল্যান্ডসহ আশেপাশের অঞ্চলগুলোর ওপর আছড়ে পড়ে।  

৪. প্রত্নতাত্ত্বিক প্রমাণ বলে মানুষের চোখ প্রথম নীল রং ধারণ শুরু করে প্রায় ১০ হাজার বছর আগে, কৃষ্ণ সাগরের আশেপাশের কোনো একটা অঞ্চলে। এর আগ পর্যন্ত বেশিরভাগ মানুষের চোখের রং হতো বাদামী। জেনেটিক মিউটেশন থেকে ইউরোপিয়ানদের চোখের রং পরিবর্তন ঘটে। বর্তমানে ইউরোপের ৪০ শতাংশ মানুষের চোখ নীল।

৫. ইউরোপের সবচেয়ে প্রাচীন সভ্যতার নাম কুকুতেনি-ত্রাইপিলিয়ান। রোমানিয়া, মলদোভা এবং ইউক্রেনের আদিবাসীদের নিয়ে গড়ে ওঠা এ সভ্যতা প্রায় তিন হাজার বছরের মতো টিকে থাকে। খ্রিস্টপূর্ব ৫৫০০ থেকে খ্রিস্টপূর্ব ২৭৫০ সাল পর্যন্ত এদের রাজত্বকাল। এরা ছিল দক্ষ শিকারি ও নিপুণ কারিগর। ভারতীয় ও চীনাদের থেকেও এক হাজার বছর আগে ওরা স্বস্তিকা ও ইয়ং-ইয়ানের প্রতীক মৃৎশিল্প ও অলংকারে ব্যবহার শুরু করে। পাঁচ হাজার বছর আগে এই সভ্যতার মানুষেরা চাকার ব্যবহার শেখে।

৬. পূর্ব বুলগেরিয়ার ভার্না অঞ্চলে খোঁড়াখুঁড়ি করে প্রত্নতাত্ত্বিকরা এমন জিনিসের সন্ধান পান যা আগে কখনো কেউ দেখেনি। সাত হাজার বছর আগের একটি সমাধিতে পাওয়া যায় প্রায় ৩০০ হাজার স্বর্ণের দ্রব্যাদি। মাত্র একটা সমাধিতে পাওয়া এটিই সবচেয়ে বেশি পরিমাণ স্বর্ণ।

৭. মানুষের পূর্ব পুরুষেরা কবে থেকে কুকুরকে পোষ মানাতে শুরু করে সে সম্পর্কে নিশ্চিত কোনো প্রমাণ পাওয়া যায়নি। তবে ধারণা করা হয়, বিশ্বের একেক অঞ্চলে একেক সময়ে কুকুরকে পোষ মানানো হয়েছে। সম্প্রতি বেলজিয়ামে খোঁড়াখুঁড়ি ৩৩ হাজার বছর আগেও মানুষের সমাজে কুকুর বসবাসের আলামত মেলে।

বাংলাদেশ সময়: ০৪৩৮ ঘণ্টা, জুন ২২, ২০১৮
এনএইচটি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।