তাই ইতিহাসের দিনপঞ্জি মানুষের কাছে সবসময় গুরুত্ব বহন করে। এই গুরুত্বের কথা মাথায় রেখে বাংলানিউজের পাঠকদের জন্য নিয়মিত আয়োজন ‘ইতিহাসের এই দিনে’।
১০ নভেম্বর, ২০১৮, শনিবার। ২৬ কার্তিক, ১৪২৫ বঙ্গাব্দ। একনজরে দেখে নিন ইতিহাসের এই দিনে ঘটে যাওয়া উল্লেখযোগ্য ঘটনা, বিশিষ্টজনের জন্ম-মৃত্যু দিনসহ গুরুত্বপূর্ণ আরও কিছু বিষয়।
ঘটনা
১৪৯৩- ক্রিস্টোফার কলম্বাস দ্বিতীয় সমুদ্রযাত্রায় অ্যান্টিগুয়া আবিষ্কার করেন।
১৬৯৮- কলকাতা, সুতানুটি ও গোবিন্দপুরের মালিকানা ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানির হাতে চলে যায়।
১৯০৮- বিপ্লবী কানাইলাল দত্তের ফাঁসি কার্যকর হয়।
১৯৬৪- লিওনিদ ব্রেজনেভ তৎকালীন সোভিয়েত ইউনিয়নের কমিউনিস্ট পার্টির মহাসচিব মনোনীত হন এবং সরকারি ক্ষমতা হাতে তুলে নেন।
১৯৮২- পৃথিবীতে ১৯১০ সালের পর আবার হ্যালির ধূমকেতু দেখা যায়।
১৯৮৬- বাংলাদেশের সংবিধানের ৭ম সংশোধনী গৃহীত হয়। এতে সামরিক আইন প্রত্যাহার করে নেওয়া হয়।
১৯৮৯- পূর্ব ও পশ্চিম জার্মানির বিভাজনের প্রতীক বার্লিন দেয়াল বহু জায়গায় ভেঙে দেওয়া হয়।
১৯৯১- আন্তর্জাতিক ক্রিকেট অঙ্গন থেকে একুশ বছর নির্বাসন শেষে দক্ষিণ আফ্রিকার ক্রিকেট দল আবার প্রথম আন্তর্জাতিক খেলায় অংশ নেয় কলকাতার ইডেনে ভারতের বিরুদ্ধে।
জন্ম
১৪৮৩- জার্মান ধর্মতত্ত্ববিদ ও প্রটেস্ট্যান্ট ধর্ম সংস্কারক মার্টিন লুথার।
১৮৪৮- ভারতের জাতীয়তাবাদী রাজনীতিবিদ সুরেন্দ্রনাথ বন্দ্যোপাধ্যায়।
১৮৯৩- বাঙালি সাংবাদিক ও সাহিত্যিক অমল হোম।
১৯৩৬- মার্কিন ভাষাবিজ্ঞানী পল পোস্টাল।
১৯৫৪- প্রখ্যাত বাঙালি কবি ও সাহিত্যিক জয় গোস্বামী।
পশ্চিম বাংলার অন্যতম জনপ্রিয় কবি হিসেবে পরিগণিত। তার কবিতা চমৎকার চিত্রকল্প, উপমা ও উৎপ্রেক্ষায় ঋদ্ধ। তার প্রথম কবিতার বই ‘ক্রিসমাস ও শীতের সনেটগুচ্ছ’ প্রকাশিত হয় ১৯৭৬ সালে। তিনি দু’বার আনন্দ পুরস্কার লাভ করেছেন। ‘বজ্রবিদ্যুৎ-ভর্তি খাতা’ কাব্যগ্রন্থের জন্য তিনি পশ্চিমবঙ্গ বাংলা আকাদেমি পুরস্কার অর্জন করেন। তার কবিতার একটি বিখ্যাত পংক্তি ‘অতল তোমার সাক্ষাৎ পেয়ে চিনতে পারিনি বলে/হৃদি ভেসে যায় অলকানন্দা জলে’।
মৃত্যু
১৯৩৮- তুরস্কের জাতির পিতা ও আধুনিক তুরস্কের প্রতিষ্ঠাতা রাষ্ট্রপতি কামাল আতাতুর্ক। প্রথম বিশ্বযুদ্ধে উসমানীয় সাম্রাজ্যের পরাজয়ের পর তুরস্কের স্বাধীনতা যুদ্ধে তিনি তুর্কি জাতীয় আন্দোলনের নেতৃত্ব দেন।
১৯৮৩- সংগীতশিল্পী, বেহালা ও বংশীবাদক আ ক ম মুজতবা।
১৯৮৭- বাংলাদেশের গণতান্ত্রিক আন্দোলন তথা স্বৈরাচার বিরোধী আন্দোলনে জীবন উৎসর্গকারী নূর হোসেন।
তিনি তৎকালীন রাষ্ট্রপতি হুসেইন মুহম্মদ এরশাদের স্বৈরাচারি শাসনের বিরুদ্ধে সংগঠিত গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার আন্দোলন চলাকালে পুলিশের গুলিতে নিহত হন।
১৯১৫- বিখ্যাত বাউল মরমি সাধক রাধারমন দত্ত।
বাংলাদেশ সময়: ০০১০ ঘণ্টা, নভেম্বর ১০, ২০১৮
টিএ/এএ