আর কিছু অতি গুরুত্বপূর্ণ ঘটনা ইতিহাসের পাতায় তো থাকেই, একই সঙ্গে সব সময় প্রাসঙ্গিক হয়ে পথ দেখায় রাষ্ট্রকে।
বাংলাদেশ, বাঙালি জাতি, বিশেষ করে সশস্ত্র বাহিনীর জন্য সে রকমই একটি দিন সশস্ত্র বাহিনী দিবস।
বুধবার (২১ নভেম্বর) যথাযথ মর্যাদা ও উৎসাহ উদ্দীপনার মধ্য দিয়ে সশস্ত্র বাহিনী পালন করবে দিবসটি। দেশের সকল সেনানিবাস, নৌ এবং বিমান বাহিনী ঘাঁটির মসজিদসমূহে দেশের কল্যাণ, সমৃদ্ধি এবং সশস্ত্র বাহিনীর উত্তরোত্তর উন্নতি ও অগ্রগতি কামনা করে ফজরের নামাজ শেষে বিশেষ মোনাজাতের মধ্য দিয়ে শুরু হবে দিবসের কর্মসূচি।
দিবসটি উপলক্ষে রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদ ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পৃথক পৃথক বাণী দিয়েছেন। একইসাথে ১৯৭১ সালের মহান স্বাধীনতা যুদ্ধে আত্মোৎসর্গকারী সশস্ত্র বাহিনীর সদস্যদের স্মৃতির প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে তারা সকালে ঢাকা সেনানিবাসের শিখা অনির্বাণে পুষ্পস্তবক অর্পণ করবেন। এরপর সেনা, নৌ এবং বিমান বাহিনী প্রধান নিজ বাহিনীর পক্ষ থেকে শিখা অনির্বাণে পুষ্পপস্তবক অর্পণ করবেন এবং বঙ্গভবনে রাষ্ট্রপতি ও সশস্ত্র বাহিনী বিভাগে প্রধানমন্ত্রীর সাথে সাক্ষাৎ করবেন।
বুধবার প্রধানমন্ত্রী ঢাকা সেনানিবাসস্থ আর্মি মাল্টিপারপাস কমপ্লেক্সে বীরশ্রেষ্ঠদের উত্তরাধিকারী এবং নির্বাচিত সংখ্যক খেতাবপ্রাপ্ত মুক্তিযোদ্ধা ও তাদের উত্তরাধিকারীদের সংবর্ধনা জানাবেন। এছাড়া ২০১৭-২০১৮ সালের শান্তিকালীন পদকে ভূষিত করবেন ৯ জন সেনা, ১ জন নৌ এবং ৩ জন বিমান বাহিনী সদস্যকে। বিকেলে ঢাকা সেনানিবাসের সেনাকুঞ্জে আয়োজিত হবে সংবর্ধনা অনুষ্ঠান।
এছাড়া দিবসটি উপলক্ষে ২২ নভেম্বর নৌবাহিনী, সেনাবাহিনী ও বিমান বাহিনী প্রধান নিজ সেনাদের মধ্যে খেতাবপ্রাপ্ত মুক্তিযোদ্ধা ও তাদের উত্তরাধিকারীদের সংবর্ধনা দেবেন। ঢাকা ছাড়াও বগুড়া, ঘাটাইল, চট্টগ্রাম, কক্সবাজার, কুমিল্লা, সিলেট, যশোর, রংপুর, খুলনা, বরিশাল এবং রাজেন্দ্রপুর (গাজীপুর) সেনানিবাসেও সংবর্ধনার আয়োজন করা হবে।
এদিকে দিনটি যথাযোগ্য মর্যাদায় পালনের জন্য ঢাকার বাইরে দেশের অন্যান্য সেনা গ্যারিসন, নৌ জাহাজ, স্থাপনা এবং বিমান বাহিনী ঘাঁটিতেও বিভিন্ন কর্মসূচি নেওয়া হয়েছে। ঢাকা ছাড়াও খুলনা, চাঁদপুর, বরিশাল ও চট্টগ্রামে বিশেষভাবে সজ্জিত নৌবাহিনী জাহাজসমূহ ২১ নভেম্বর দুপুর ২টা থেকে সূর্যাস্ত পর্যন্ত সর্বসাধারণের পরিদর্শনের জন্য উন্মুক্ত থাকবে।
বাংলাদেশ সময়: ০১১৫ ঘণ্টা, নভেম্বর ২১, ২০১৮
এইচএমএস/এমজেএফ