ঢাকা, মঙ্গলবার, ১০ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৬ নভেম্বর ২০২৪, ২৪ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

ফিচার

তনিমা হামিদের একক নাটক ‘একা এক নারী’ মঞ্চস্থ

| বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১০৫৪ ঘণ্টা, মার্চ ২৪, ২০১৯
তনিমা হামিদের একক নাটক ‘একা এক নারী’ মঞ্চস্থ নাটকটির দৃশ্য, ছবি: বাংলানিউজ

ঢাকা: নাট্যাঙ্গনের সুপরিচিত মুখ তনিমা হামিদ। প্রথমবারের মতো মঞ্চস্থ হলো তার অভিনীত একক নাটক ‘একা এক নারী’।

শনিবার (২৩ মার্চ) সন্ধ্যায় জাতীয় নাট্যশালার পরীক্ষণ থিয়েটার হলে মঞ্চায়িত হয় নাটকটি। এ দিন ছিল নাটকটির উদ্বোধনী মঞ্চায়ন।

দারিও ফো এবং ফ্রাংকা রামের লেখা নাটক ‘এ উইমেন অ্যালোন’ বাংলায় নামকরণ করা হয়েছে ‘একা এক নারী’। অনুবাদ করেছেন আবদুস সেলিম এবং মঞ্চে নির্দেশনা দিচ্ছেন দেবপ্রসাদ দেবনাথ। আর এই নাটকটি নাট্যচক্রের ৫৪তম প্রযোজনা।

নাটক মঞ্চায়নের আগে অনুষ্ঠিত হয় উদ্বোধনী আয়োজন। এতে দেশ বরেণ্য অভিনেত্রী ফেরদৌসী মজুমদার নাটকটির উদ্বোধন ঘোষণা করেন। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন সংস্কৃতি প্রতিমন্ত্রী কেএম খালিদ। সভাপতিত্ব করেন ম. হামিদ।

ফেরদৌসী মজুমদার বলেন, মিলনায়তন ভর্তি দর্শক দেখলে ভীষণ ভালো লাগে। আজ মিলনায়তনে এতো দর্শক দেখে ভালো লাগছে। তনিমা প্রথম কোনো নাটকে একক অভিনয় করছে। তার জন্য শুভকামনা।

কেএম খালিদ বলেন, বাংলাদেশের একক অভিনয়ের নাটকের পথিকৃৎ ফেরদৌসী মজুমদার। তিনি এই নাটকের উদ্বোধন করলেন। আর তনিমা তো ছোটবেলা থেকেই নাটকের মাঝেই বড় হয়েছে। তনিমার এই অর্জন আমাদের জন্য আনন্দের।

ম. হামিদ বলেন, হল ভর্তি দর্শক পাওয়া ভাগ্যের ব্যাপার। এতো দর্শক দেখে ভালো লাগছে। ‘একা এক নারী’ ইতালিয়ান এক নাট্যকারের লেখা। আমার কন্যা এতে একক অভিনয় করছে। নাটকটির দৃশ্য, ছবি: বাংলানিউজনাট্যকাহিনীতে দেখা যায়, এক বহুতল ভবনের ফ্ল্যাটে তালাবদ্ধ নিঃসঙ্গ এক নারীর সংলাপের মাধ্যমে এই নাটকের মূল রূপরেখা বিধৃত। নিত্যদিনের গৃহস্থালি কাজ, অশ্লীল ভীতিপ্রদ ফোন, বিপরীত ফ্ল্যাটের যৌনবিষয়ে অতি উৎসাহী তরুণের সংগোপন বাইনাকুলারের দৃষ্টি, কামাতুর দেবর, আর সদাক্রন্দনরত শিশুসন্তানের মোকাবিলা করতে-করতে এই নারী তার জীবনের আশা-নিরাশা, ভালবাসার কথা আমাদের সঙ্গে ভাগাভাগি করেন। এর ভেতর তার স্বামী এবং নিজের পরকীয়া প্রেমের কথাও স্থান পায়।

এদিকে, স্বামীর পরকীয়াতে তার কোনো প্রতিবাদের স্থান ছিল না। অথচ তার পরকীয়ার অপরাধে তাকে এই তালাবদ্ধ জীবনযাপনে বাধ্য করেন ঈর্ষাকাতর অক্ষম স্বামী। আপাতদৃষ্টে অবাস্তবতা থেকে এক শোকাবহ অভিজ্ঞতায় উত্তীর্ণ এই নিঃসঙ্গ নারীর স্বগতোক্তির সঙ্গে পুরুষের এক তরফা আধিপত্য, নারীর যৌনবঞ্চনা, বাধ্যতামূলক গৃহস্থালি কর্ম, পরপুরুষের যৌন নিপীড়ন এবং সর্বোপরি মারিয়ার গৃহবন্দিত্ব ইত্যাদির সঙ্গে বিশ্বের সকল নারী জাতির যোগসূত্রের সত্যতা স্পষ্ট হয় এই নাটকে। চূড়ান্ত দৃশ্যে তার বিদ্রোহের চেহারাটা আসলে সমগ্র নারী জাতির অন্তর্গত শক্তিরই রূপ।

নাটকটির আলোক পরিকল্পনা করেছেন নাসিরুল হক খোকন। সাউন্ড ডিজাইন করেছেন আহসান রেজা খান তুষার। মঞ্চ পরিকল্পনা করেছেন জুনায়েদ ইউসুফ। পোশাক পরিকল্পনা করেছেন আইরিন পারভিন লোপা। রোববার (২৪ মার্চ) সন্ধ্যায়ও একই মিলনায়তনে নাটকটির দ্বিতীয় প্রদর্শনী অনুষ্ঠিত হবে।

বাংলাদেশ সময়: ০৬৪৭ ঘণ্টা, মার্চ ২৪, ২০১৯
এইচএমএস/টিএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।