ঢাকা, শুক্রবার, ১৩ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৯ নভেম্বর ২০২৪, ২৭ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

ফিচার

ইতিহাসের এই দিনে

ফ্রয়েডের জন্ম, তানসেনের প্রয়াণ

ফিচার ডেস্ক | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০৪০৯ ঘণ্টা, মে ৬, ২০১৯
ফ্রয়েডের জন্ম, তানসেনের প্রয়াণ .

ঢাকা: ইতিহাস আজীবন কথা বলে। ইতিহাস মানুষকে ভাবায়, তাড়িত করে। প্রতিদিনের উল্লেখযোগ্য ঘটনা কালক্রমে রূপ নেয় ইতিহাসে। সেসব ঘটনাই ইতিহাসে স্থান পায়, যা কিছু ভালো, যা কিছু প্রথম, যা কিছু মানবসভ্যতার আশীর্বাদ-অভিশাপ।

তাই ইতিহাসের দিনপঞ্জি মানুষের কাছে সবসময় গুরুত্ব বহন করে। এই গুরুত্বের কথা মাথায় রেখে বাংলানিউজের পাঠকদের জন্য নিয়মিত আয়োজন ‘ইতিহাসের এই দিনে’।

০৬ মে ২০১৯, সোমবার। ২৩ বৈশাখ, ১৪২৬ বঙ্গাব্দ। এক নজরে দেখে নিন ইতিহাসের এই দিনে ঘটে যাওয়া উল্লেখযোগ্য ঘটনা, বিশিষ্টজনের জন্ম-মৃত্যুদিনসহ গুরুত্বপূর্ণ আরও কিছু বিষয়।

ঘটনা
১৮৪০- যুক্তরাজ্যে প্রথম আনুষ্ঠানিকভাবে ডাকটিকেট চালু হয়।
১৫২৯- সম্রাট বাবর ঘাগড়া নামক যুদ্ধে আফগান প্রধানকে পরাজিত করেন।
১৯৯৪- যুক্তরাজ্য থেকে ফ্রান্স পর্যন্ত ‘চ্যানেল টানেল’ নামক সুড়ঙ্গটি আনুষ্ঠানিকভাবে চালু হয়।

জন্ম
১৮৫৬- সিগমুন্ড ফ্রয়েড

প্রখ্যাত অস্ট্রিয়ান মনোবিজ্ঞানী। তিনি ‘মনঃসমীক্ষণ’ (Psychoanalysis) নামের মনোচিকিৎসা পদ্ধতির উদ্ভাবক। মানবসত্তার ‘অবচেতন’, ‘ফ্রয়েডিয় স্খলন’, ‘আত্মরক্ষণ প্রক্রিয়া’ এবং ‘স্বপ্নের প্রতীকী ব্যাখ্যা’ প্রভৃতি সম্পর্কে গবেষণার কারণে তিনি জনপ্রিয়তা পান। একইসঙ্গে তার বিভিন্ন তত্ত্ব সাহিত্য, চলচ্চিত্র, মার্ক্সবাদ ও নারীবাদেও গভীর প্রভাব বিস্তার করে। তবে আধুনিক মনোবিজ্ঞানীরা ফ্রয়েডের বেশ কিছু তত্ত্বকে তার ব্যক্তিগত চিন্তাভাবনার প্রভাব ও পক্ষপাতদুষ্ট বলে মনে করেন। ১৯৩৯ সালের ২৩ সেপ্টেম্বর আত্মহত্যার ফলে মৃত্যুবরণ করেন ফ্রয়েড।

মৃত্যু
১৫৮৯– তানসেন, ভারতীয় উপমহাদেশের বিখ্যাত সঙ্গীতজ্ঞ। ভারতের গোয়ালিয়রে এক হিন্দু পরিবারে জন্ম তার। অনেক বিশেষজ্ঞের মতে তিনি উত্তর ভারতের সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ সঙ্গীতজ্ঞ। তিনি বর্তমানে হিন্দুস্তানি উচ্চাঙ্গ সঙ্গীতের স্রষ্টা। তিনি মুঘল বাদশাহ আকবরের রাজদরবারের নবরত্নের অন্যতম। তাকে সঙ্গীত সম্রাট নামে ডাকা হয়।
১৯৩০- রজতকুমার সেন, ব্রিটিশ বিরোধী স্বাধীনতা আন্দোলনের বিপ্লবী নেতা।
১৯৫২- রেবতী মোহন বর্মণ, বিংশ শতাব্দীর সাম্যবাদী ধারার বাঙালি লেখক।
২০১১- কাজী নূরুজ্জামান
কাজী নূরুজ্জামান বীর উত্তম খেতাব প্রাপ্ত বাংলাদেশি মুক্তিযোদ্ধা, সেক্টর কমান্ডার। জন্ম ২৪ মার্চ ১৯২৫ সালে। বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের অন্যতম সেক্টর কমান্ডার তিনি। ১৯৭১ সালের ২৬ সেপ্টেম্বর ৭নং সেক্টরের সেক্টর কমান্ডার মেজর নাজমুল হক ভারতে সড়ক দুর্ঘটনা মারা যাওয়ার পর কর্নেল নূরুজ্জামানকে এই সেক্টরের অধিনায়ক করা হয়। মুক্তিযুদ্ধে তার অবদানের জন্য তাকে বীর উত্তম উপাধিতে ভূষিত করা হয়। কাজী নূরুজ্জামানের জন্ম যশোরে। তার বাবার নাম খান সাহেব কাজী সদরুলওলা এবং মাতা রতুবুন্নেসা।

বাংলাদেশ সময়: ০০০৯ ঘণ্টা, মে ০৬, ২০১৮
এমএমইউ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।