ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ১৩ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৮ নভেম্বর ২০২৪, ২৬ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

ফিচার

জমছে নগরবাসীর ঈদ কেনাকাটা

| বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০০০৯ ঘণ্টা, মে ২১, ২০১৯
জমছে নগরবাসীর ঈদ কেনাকাটা কেনাকাটায় ব্যস্ত নারী-শিশুরা, ছবি: শোয়েব মিথুন

ঢাকা: দেখতে দেখতে পার হয়ে গেছে রোজার প্রথম দশক। আর এই পর্যায়ে এসে জমে উঠতে শুরু করেছে রাজধানীর মানুষের ঈদের কেনাকাটা।

পছন্দের পোশাকে নিজেকে সাজাতে ক্রেতাদের ভিড় এখন বিভিন্ন শপিং মল ও বুটিক হাউসগুলোতে। ঈদকে ঘিরে ক্রেতা চাহিদা মাথায় রেখে বিক্রেতারাও এনেছে নানা ডিজাইনের সব বয়সীদের পোশাক।

গরমকে প্রাধান্য দিয়ে তৈরি করা এসব পোশাকের দামও রাখা হয়েছে ক্রেতা সাধ্যের মধ্যেই।

সোমবার (২০ মে) রাজধানীর বসুন্ধরা শপিং কমপ্লেক্স ঘুরে দেখা গেছে, ঈদ উপলক্ষে নুতন পোশাক কিনতে বিপনী-বিতান ও বুটিক হাউসগুলোতে ভিড় করছেন সব বয়সী ক্রেতা। তবে দোকানিরা বলছেন, ক্রেতা উপস্থিতি সন্তোসজনক হলেও বিক্রি এখনও ‘আশানুরূপ’ নয়। ঈদ ঘনিয়ে আসার সঙ্গে সঙ্গে ক্রেতাদের উপচে পড়া ভিড়ের সঙ্গে বিক্রিও ভালো হবে বলে আশাবাদী তারা।

এ প্রসঙ্গে দীপ্তমণি ফ্যাশন হাউসের দীপ্ত চন্দ্র বাংলানিউজকে বলেন, ক্রেতা আসছে ঠিকই, কিন্তু বিক্রি আশানুরূপ নয়। ঈদের বেচাকেনায় ভিড়ও আরও বাড়ার কথা। আমাদের এখানে ভারত, থাইল্যান্ড, যুক্তরাজ্য ও তুরস্কের বিভিন্ন পণ্য রয়েছে। ঈদে এগুলোর ব্যাপক চাহিদা হয়। এখনও ক্রেতা আসছে। আগামী সপ্তাহে বেচাকেনার ব্যস্ততা আরও বাড়বে বলে আশা করি।

ঈদ উৎসবকে অন্য সময়ের তুলনায় একটু আলাদাভাবেই গুরুত্ব দিয়ে পোশাকে নতুনত্ব আনার চেষ্টা করে থাকে বিক্রেতারা। আর সেটা ফুটিয়ে তোলা হয়, রঙ আর নকশার মাধ্যমেই। এবারের ঈদ পোশাকেও তার ব্যতিক্রম নয়। শাড়ি, পাঞ্জাবি, সালোয়ার কামিজ ও ছোটদের পোশাকসহ সবকিছুতেই আনা হয়েছে বৈচিত্র্য। বসুন্ধরা শপিং কমপ্লেক্সে জমেছে ঈদ কেনাকাটা, ছবি: শোয়েব মিথুনপাঞ্জাবি কিনতে এসেছিলেন রাজধানীর বাংলামোটর এলাকার ফয়জুর রহমান। কথা হলে বাংলানিউজকে তিনি বলেন, অন্যান্যবারের তুলনায় এবারে পাঞ্জাবির ডিজাইনে নতুনত্ব এসেছে অনেক বেশি। কাপড়গুলোও বেশ আরামদায়ক করা হয়েছে; গরমের বিষয়টা মাথায় রেখে। আর দামের দিক থেকেও রয়েছে মোটামুটি সাধ্যের মধ্যেই।

আর মেয়েদের সালোয়ার কামিজে সবচেয়ে বড় পরিবর্তন এসেছে গলা ও হাতায়। এবার অফ শোল্ডার বা কাঁধ থেকে একটু নামানো সালোয়ার কামিজও খুঁজছেন অনেকে। হাতায় এবার ঢোলা কাট বা চোস্তের মতো কুঁচি কিংবা বাটন দেওয়া থাকবে। গরমের কারণে আরামের বিষয়টাও থাকছে উপকরণে। বসুন্ধরা শপিং কমপ্লেক্সে জমেছে ঈদ কেনাকাটা, ছবি: শোয়েব মিথুন

এছাড়া লম্বা কামিজের সাধারণ ঝুলের পাশাপাশি রয়েছে ত্রিকোন ঝুলও। দুই পাশ দিয়ে একটু বাড়িয়ে দেওয়া ঝুল আবার সামনে-পেছনে অসমান কাটের কামিজ টিনেজরা কিনছেন বলে জানালেন দোকানিরা। একইভাবে শাড়ি, গাউন ও অন্যান্য পোশাকেও আনা হয়েছে বৈচিত্র্য।

ঈদকে সম্পূর্ণভাবে উপভোগ করতে নতুন পোশাকের বিকল্প নেই। ক্রেতারাও এসময় পোশাক কেনকাটায় খুঁজছে একটু ভিন্নতা। নিজেকে কিছুটা হলেও আলাদাভাবে সাজানোর প্রবণতা থাকে সবার মাঝেই। পিছিয়ে নেই শিশুরাও। ঈদ আনন্দের পূর্ণতা আনতে বাবা-মায়ের সঙ্গে কেনাকাটা করছে তারাও।

বাংলাদেশ সময়: ২০০২ ঘণ্টা, মে ২০, ২০১৯
এইচএমএস/টিএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।