ঢাকা, মঙ্গলবার, ১০ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৬ নভেম্বর ২০২৪, ২৪ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

ফিচার

সংগীতজ্ঞ রফির জন্ম-গীতিকার অজয়ের প্রয়াণ

ফিচার ডেস্ক | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০৫০৭ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ২৪, ২০১৯
সংগীতজ্ঞ রফির জন্ম-গীতিকার অজয়ের প্রয়াণ সংগীতজ্ঞ রফির জন্ম-গীতিকার অজয়ের প্রয়াণ

ঢাকা: ইতিহাস আজীবন কথা বলে। ইতিহাস মানুষকে ভাবায়, তাড়িত করে। প্রতিদিনের উল্লেখযোগ্য ঘটনা কালক্রমে রূপ নেয় ইতিহাসে। সেসব ঘটনাই ইতিহাসে স্থান পায়, যা কিছু ভালো, যা কিছু প্রথম, যা কিছু মানবসভ্যতার আশীর্বাদ-অভিশাপ।

তাই ইতিহাসের দিনপঞ্জি মানুষের কাছে সব সময় গুরুত্ব বহন করে। এ গুরুত্বের কথা মাথায় রেখে বাংলানিউজের পাঠকদের জন্য নিয়মিত আয়োজন ‘ইতিহাসের এই দিন’।

২৪ ডিসেম্বর ২০১৯ মঙ্গলবার। ০৯ পৌষ ১৪২৬ বঙ্গাব্দ। এক নজরে দেখে নিন ইতিহাসের এই দিনে ঘটে যাওয়া উল্লেখযোগ্য ঘটনা, বিশিষ্টজনের জন্ম-মৃত্যুদিনসহ গুরুত্বপূর্ণ আরও কিছু বিষয়।

ঘটনা
১৮৯১- কলকাতায় প্রথম মেডিকেল সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়।
১৯৫১- ইতালির কাছ থেকে লিবিয়া স্বাধীনতা লাভ করে। ইদ্রিস লিবিয়ার বাদশাহ ঘোষিত হন।
১৯৫৩- মওলানা আব্দুল হামিদ খান ভাসানী ও ইয়ার মোহাম্মাদ খানের হাত ধরে দৈনিক ইত্তেফাক পত্রিকার প্রকাশনা শুরু হয়।

ইয়ার মোহাম্মাদ খান হলেন এর প্রতিষ্ঠাতা প্রকাশক। তবে তারা দু’জনেই সক্রিয় রাজনীতিবিদ ও পাকিস্তানবিরোধী আন্দোলনে ব্যস্ত থাকায় সম্পাদক নিয়োগ করেন তফাজ্জল হোসেন মানিক মিয়াকে। ১৯৫৪ এর সাধারণ নির্বাচন ও যুক্তফ্রন্টের জয়ে ইত্তেফাক গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে এবং আইয়ুব খানের সময় থেকে ইয়াহিয়া খান পর্যন্ত সব সামরিক শাসনের বিরোধিতা করে।

জন্ম
১৮৮৬- একাডেমি পুরস্কার বিজয়ী হাঙ্গেরীয়-মার্কিন চলচ্চিত্র পরিচালক মাইকেল কার্টিজ।
১৯২৪- বিশ্বখ্যাত সংগীতশিল্পী মোহাম্মদ রফি।  

ব্রিটিশ ভারতের পাঞ্জাব প্রদেশে ১৯২৪ সালের ২৪ ডিসেম্বর জন্ম রফির। একসময় তিনি সমগ্র উপমহাদেশে বিপুল জনপ্রিয়তা লাভ করেন। সংগীত জগতে রফি সুদীর্ঘ চার দশক মেধার স্বাক্ষর রাখেন। সংগীত কলায় অসামান্য অবদান রাখায় শ্রেষ্ঠ গায়ক হিসেবে জাতীয় পদক এবং ছয়বার ফিল্মফেয়ার পুরস্কারে ভূষিত হয়েছেন মোহাম্মদ রফি। এছাড়াও ১৯৬৭ সালে ভারত সরকার প্রদত্ত পদ্মশ্রী সম্মানেও অভিষিক্ত হয়েছেন তিনি। প্রায় ২৬ হাজারেরও অধিক চলচ্চিত্র-গানে নেপথ্য গায়ক হিসেবে সম্পৃক্ত ছিলেন মোহাম্মদ রফি। ১৯৮০ সালের ৩১ জুলাই আকস্মিকভাবে হৃদজনিত সমস্যায় ভুগে প্রয়াত হন উপমহাদেশের অমর এ সংগীতজ্ঞ।

১৯২৬- বাংলাদেশের রাজনীতিবিদ মোহাম্মদ সুলতান।
১৯৩২- ব্রিটিশ ভারতের মাদ্রাজ প্রেসিডেন্সিতে জন্মগ্রহণকারী বিখ্যাত ব্রিটিশ ক্রিকেটার ও অধিনায়ক কলিন কাউড্রে।
১৯৭১- পুয়ের্তো রিকান গায়ক রিকি মার্টিন।
১৯৫২- প্রখ্যাত গীতিকার ও সংগীত পরিচালক আলাউদ্দিন আলী।

মৃত্যু
১৯৪৩- বিখ্যাত বাঙালি কবি, গীতিকার, নাট্যকার ও চিত্রপরিচালক অজয় ভট্টাচার্য।

তার জন্ম ১৯০৬ সালের জুলাইয়ে। ত্রিপুরার শ্যামগ্রাম বলে একটি গ্রামে। কিন্তু বড় হয়েছেন কুমিল্লা শহরে বাবা যেখানে ওকালতি করতেন। পড়াশোনার শুরু কুমিল্লার ঈশ্বর পাঠশালায়। ভালো ছাত্র ছিলেন। শুধু পড়াশোনা নয়, সাহিত্য, গান, নাটক, ইত্যাদি বিষয়ে কার খুব উৎসাহ ছিল। বাংলায় এমএ পাস করেন কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে।

চলচ্চিত্র ও গ্রামোফোন রেকর্ড- উভয় ক্ষেত্রেই তার লেখা গান বিপুল সাড়া জাগিয়েছিল। বাংলা সবাক চলচ্চিত্রের শুরু থেকেই তার গান অনেক প্রচলিত ছিল। তিনি দুই হাজারেরও বেশি গান লিখেছেন। এর অনেকগুলো পরে সংকলন আকারে প্রকাশিত হয়। এদের মধ্যে ‘একদিন যবে গেয়েছিল পাখি’, ‘আজো ওঠে চাঁদ’, ‘আমার দেশে যাইও সুজন’, ‘যদি মনে পড়ে সেদিনের কথা’, ইত্যাদি উল্লেখযোগ্য। গান লেখা ছাড়াও অজয় ভট্টাচার্য চলচ্চিত্রের কাহিনী ও সংলাপ রচনা করেছেন। চলচ্চিত্র পরিচালক হিসেবেও তিনি সফল ছিলেন। তার পরিচালিত চলচ্চিত্র দুটি হচ্ছে ‘অশোক’ ও ‘ছদ্মবেশী’।

১৯৮৫- আলজেরীয় রাজনৈতিক নেতা এবং প্রথম রাষ্ট্রপতি ফেরহাত আব্বাস।

বাংলাদেশ সময়: ০০০৭ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ২৪, ২০১৯
টিএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।