তাই ইতিহাসের দিনপঞ্জি মানুষের কাছে সব সময় গুরুত্ব বহন করে। এ গুরুত্বের কথা মাথায় রেখে বাংলানিউজের পাঠকদের জন্য নিয়মিত আয়োজন ‘ইতিহাসের এই দিন’।
০৩ জানুয়ারি ২০২০ শুক্রবার। ১৯ পৌষ ১৪২৬ বঙ্গাব্দ। এক নজরে দেখে নিন ইতিহাসের এই দিনে ঘটে যাওয়া উল্লেখযোগ্য ঘটনা, বিশিষ্টজনের জন্ম-মৃত্যুদিনসহ গুরুত্বপূর্ণ আরও কিছু বিষয়।
ঘটনা
১৪৯৬- লিওনার্দো দ্য ভিঞ্চি প্লেন চালানোর চেষ্টা করে ব্যর্থ হন।
১৭৮২- সিলেট জেলা প্রতিষ্ঠিত।
১৯৭০- ব্রুকলিন ব্রিজের কাজ শুরু।
১৯১৯- ইরাকের আমির ফয়সাল ইহুদি নেতা ক্লেম ওয়াইজম্যানের সঙ্গে প্যালেস্টাইনে ইহুদি বসতি নির্মাণের চুক্তি করে।
১৯৪৯- ফিলিপাইনের কেন্দ্রীয় ব্যাংক প্রতিষ্ঠিত হয়।
১৯৫৮- ওয়েস্ট ইন্ডিজ ফেডারেশন গঠিত হয়।
১৯৫৯- ৪৯তম রাজ্য হিসেবে আলাস্কা যুক্তরাস্ট্রের সঙ্গে যুক্ত হয়।
জন্ম
১৬৯৮- ইতালির খ্যাতিমান কবি এবং সাহিত্যিক পেদ্রো মেটাসটাসিও।
১৮৭০- অস্ট্রেলীয় ঔপন্যাসিক হেনরি হ্যান্ডেল রিচার্ডসন।
১৮৮৮- নাট্যকার ও চিকিৎসক জেমস ব্রিডি।
১৯০৭- মার্কিন অভিনেতা ও চলচ্চিত্র পরিচালক রে মিলান্ড।
১৯১৮- সাংবাদিক খন্দকার আব্দুল হামিদ।
১৮৯২- ব্রিটিশ কবি, লেখক ও অধ্যাপক জন রোনাল্ড রিউএল টলকিন।
বিখ্যাত ফ্যান্টাসিধর্মী বই দ্য হবিট, দ্য লর্ড অব দ্য রিংস ও দ্য সিলমারিয়নের জন্য তিনি বিশ্বজুড়ে বিখ্যাত। তার ‘দ্য হবিট’ শ্রেষ্ঠ শিশু-সাহিত্যের জন্য নিউইয়র্ক হেরাল্ড ট্রিবিউন পুরস্কার লাভ করে। বইটি এখনও জনপ্রিয় ও শিশু সাহিত্যের একটি ক্লাসিক বই হিসেবে স্বীকৃত। আজ পর্যন্ত সারা পৃথিবীতে ৫০টিরও বেশি ভাষায় বইটি অনূদিত হয়েছে। তিনি ইংরেজি ভাষা ও সাহিত্যের অধ্যাপক হিসেবে কাজ করেন অক্সফোর্ড কলেজে। নাইট উপাধি প্রাপ্ত হন। ১৯৭৩ সালের ২ সেপ্টেম্বর তিনি মৃত্যুবরণ করেন।
১৯৫৬- মার্কিন অভিনেতা ও চলচ্চিত্র পরিচালক মেল গিবসন।
১৯৬৯- জার্মান ফর্মুলা ওয়ান রেসিং ড্রাইভার, সাত বারের বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন মাইকেল শুমাখার।
মৃত্যু
১৯৮৩- কবি কাজী কাদের নেওয়াজ।
২০১৫- প্রথম আলোচিত আফ্রিকান-আমেরিকান সিনেটর এডওয়ার্ড ডব্লিউ ব্রুক।
২০১৯- বাংলাদেশের জনপ্রিয় রাজনীতিবিদ সৈয়দ আশরাফুল ইসলাম।
১৯৫২ সালের ১ জানুয়ারি ময়মনসিংহে জন্ম নেন তিনি। বঙ্গবন্ধুর ঘনিষ্ঠ সহচর ও জাতীয় চার নেতার অন্যতম সৈয়দ নজরুল ইসলামের ছেলে আশরাফ দুই মেয়াদে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ছিলেন। সর্বশেষ তিনি দলটির সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য ছিলেন। ২০০৭ সালে দেশে জরুরি অবস্থা জারির পর শেখ হাসিনা কারাবন্দি হলে আওয়ামী লীগের যে কয়জন নেতা দলের হাল ধরেছিলেন, তাদের মধ্যে অন্যতম সৈয়দ আশরাফ।
আশরাফুল ইসলাম ১৯৭১ সালে স্বাধীনতা যুদ্ধে অংশ নিয়েছিলেন। তিনি মুক্তিবাহিনীর সদস্য ছিলেন। ভারতের দেরাদুনে তার প্রশিক্ষণ হয়।
ছাত্রজীবন থেকেই রাজনীতিতে সক্রিয় ছিলেন। ১৯৭০ সালে বৃহত্তর ময়মনসিংহ জেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক ছিলেন সৈয়দ আশরাফুল ইসলাম। তিনি কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের সহ-সাংগঠনিক সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করেন। ১৯৭৫ সালের ৩ নভেম্বর কারাগারে পিতা সৈয়দ নজরুল ইসলামসহ জাতীয় চার নেতার নির্মম হত্যাকাণ্ডের পর তিনি যুক্তরাজ্য চলে যান। প্রবাস জীবনে তিনি যুক্তরাজ্যে আওয়ামী লীগকে সংগঠিত করার ব্যাপারে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেন।
আশরাফুল ইসলাম ১৯৯৬ সালে দেশে ফিরে আসেন এবং কিশোরগঞ্জ সদর আসন থেকে আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী হিসেবে প্রথমবার সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। এ সময় তিনি বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন প্রতিমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। ২০০১ সালের ১ অক্টোবরে অনুষ্ঠিত অষ্টম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে পুনরায় তিনি নির্বাচিত হন এবং পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির একজন সদস্য হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। ২০০৮ সালের নির্বাচনেও তিনি সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন এবং স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। ২০১৫ সালের ১৬ জুলাই জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব নেন।
বাংলাদেশ সময়: ০১০২ ঘণ্টা, জানুয়ারি ০৩, ২০২০
টিএ/এমএমএস