ইতিহাস আজীবন কথা বলে। ইতিহাস মানুষকে ভাবায়, তাড়িত করে।
ইতিহাসের দিনপঞ্জি মানুষের কাছে সবসময় গুরুত্ব বহন করে। এ গুরুত্বের কথা মাথায় রেখে বাংলানিউজের পাঠকদের জন্য নিয়মিত আয়োজন ‘ইতিহাসের এই দিন’।
১২ আগস্ট ২০২০, বুধবার। ২৮ শ্রাবণ ১৪২৭ বঙ্গাব্দ। এক নজরে দেখে নিন ইতিহাসের এই দিনে ঘটে যাওয়া উল্লেখযোগ্য ঘটনা, বিশিষ্টজনের জন্ম-মৃত্যুদিনসহ গুরুত্বপূর্ণ আরও কিছু বিষয়।
ঘটনা
১৬৭৬- নিউ ইংল্যান্ডে রেড ইন্ডিয়ানদের যুদ্ধের সমাপ্তি।
১৭৬৫- মোগল সম্রাট ব্রিটিশ ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানির হাতে বাংলা, বিহার ও উড়িষ্যার দেওয়ানি তুলে দেন।
১৮৭৭- টমাস এডিসন গ্রামোফোন উদ্ভাবন করেন।
১৮৯৮- যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে হাওয়াই দ্বীপপুঞ্জের আনুষ্ঠানিক সংযুক্তি।
১৯০১- বিপিনচন্দ্র পাল সাপ্তাহিক ‘নিউ ইন্ডিয়া’ প্রকাশ করেন।
১৯৫৩- সোভিয়েত ইউনিয়নের পরমাণু অস্ত্র পরীক্ষা শুরু হয়।
১৯৭৮- জাপান ও চীনের মধ্যে শান্তি ও মৈত্রী চুক্তি স্বাক্ষর হয়।
জন্ম
১৮৫১- লোককবি পাঞ্জু শাহ।
১৮৬৬- নোবেলজয়ী স্পেনীয় কথাশিল্পী বেনাভেন্তেই মার্তিনেস।
১৮৭৭- বহু ভাষাবিদ পণ্ডিত ও প্রথম ভারতীয় আইসিএস হরিনাথ দে।
১৮৮০- ব্রিটিশ কবি ও ঔপন্যাসিক র্যাডক্লিফ হল।
১৮৮৭- অস্ট্রীয় পদার্থবিদ এরউইন শ্রোডিঙ্গার।
১৮৯৫- বাঙালি অভিনেতা অহীন্দ্র চৌধুরী।
মৃত্যু
১৬০২- আকবরের সভাসদ আবুল ফজল ইবনে মুবারক।
তিনি ছিলেন মুঘল সম্রাট আকবরের প্রধানমন্ত্রী। তিনি আবুল ফজল, আবুল ফদল ও আবুল ফদল আল্লামি নামেও পরিচিত। তিনি তিন খণ্ডে রচিত আকবরের রাজত্বকালের সরকারি ইতিহাসগ্রন্থ আকবরনামা ও উক্ত গ্রন্থের তৃতীয় খণ্ড আইন-ই-আকবরি-এর রচয়িতা এবং বাইবেলের ফার্সি অনুবাদক। আবুল ফজল যুবরাজ সেলিমের সিংহাসনে আরোহণের বিরোধিতা করেছিলেন। এ কারণে সেলিমের ষড়যন্ত্রে নারওয়ারের কাছে সরাই বীর ও অন্ত্রীর মধ্যবর্তী কোনো এক স্থানে বীর সিংহ বুন্দেলার হাতে তিনি নিহত হন। তার ছিন্ন মস্তক এলাহাবাদে সেলিমের কাছে পাঠানো হয়েছিল।
১৮২৭- ইংরেজ কবি ও শিল্পী উইলিয়াম ব্লেক।
১৮৪৮- স্টিম ইঞ্জিনের রূপকার ইংরেজ উদ্ভাবক জর্জ স্টিফেনসন।
১৯৫৫- নোবেলজয়ী জার্মান লেখক টমাস মান।
১৯৬০- সংগীতশিল্পী ও সাহিত্যিক ইন্দিরা দেবী চৌধুরানী।
২০০৪- লেখক ও ভাষাবিজ্ঞানী অধ্যাপক ড. হুমায়ুন আজাদ।
তিনি ছিলেন একাধারে কবি, ঔপন্যাসিক, গল্পকার, সমালোচক, গবেষক, কিশোর সাহিত্যিক এবং রাজনীতিক ভাষ্যকারও। তিনি বাংলাদেশের অন্যতম প্রথাবিরোধী এবং বহুমাত্রিক লেখক। হুমায়ুন আজাদের ১০টি কাব্যগ্রন্থ, ১৩টি উপন্যাস, ২২টি সমালোচনা গ্রন্থ, ৮টি কিশোরসাহিত্য, ৭টি ভাষাবিজ্ঞান বিষয়ক গ্রন্থ প্রকাশিত হয়। তিনি ১৯৪৭ সালে মুন্সিগঞ্জ জেলার বিক্রমপুরে তার নানাবাড়ি কামাড়গাঁওয়ে জন্ম নেন। তার জন্ম নাম ছিলো হুমায়ুন কবীর। ১৯৭৬ সালে তিনি এডিনবরা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ভাষাবিজ্ঞানে পিএইচডি ডিগ্রি লাভ করেন। এরপর ১৯৭৮ সালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে সহযোগী অধ্যাপক হিসেবে যোগদান করেন এবং ১৯৮৬ সালে তিনি বাংলা বিভাগে অধ্যাপক পদে উন্নীত হন। ২০০৪ সালের ১২ আগস্ট জার্মানির মিউনিখে তিনি মৃত্যুবরণ করেন হুমায়ুন আজাদ।
গতানুগতিক চিন্তাধারা সচেতনভাবে তিনি পরিহার করতেন। তার নারী (১৯৯২), দ্বিতীয় লিঙ্গ (২০০১) এবং পাক সার জমিন সাদ বাদ (২০০৪) গ্রন্থ তিনটি বিতর্কের ঝড় তোলে। ১৯৮৬ সালে বাংলা একাডেমি পুরস্কার এবং ২০১২ সালে সামগ্রিক সাহিত্যকর্ম ও ভাষাবিজ্ঞানে বিশেষ অবদানের জন্যে মরণোত্তর একুশে পদক লাভ করেন।
২০১০- বাঙালি কবি ও সাহিত্যিক মতিউর রহমান মল্লিক।
বাংলাদেশ সময়: ০১৩৪ ঘণ্টা, আগস্ট ১২, ২০২০
টিএ/ইউবি