ঢাকা, শনিবার, ৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৩ নভেম্বর ২০২৪, ২১ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

ফিচার

এক আয়োজনে জাতির পিতার জীবন

দীপন নন্দী, স্টাফ করেসপন্ডেন্ট  | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০৯০৮ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ১, ২০২০
এক আয়োজনে জাতির পিতার জীবন বাবার ছবির সামনে ছোট বোন শেখ রেহানা ও কন্যা সায়মা ওয়াজেদ হোসেন পুতুলকে সঙ্গে নিয়ে সেলফি তুলেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

ঢাকা: শিল্পকলা একাডেমি প্রাঙ্গণে এখনও সুনশান নীরবতা। করোনার সংক্রমণ ঠেকাতে দীর্ঘ পাঁচ মাস বন্ধ থাকার পর খুলে দেওয়া হয়েছে জাতীয় চিত্রশালা প্লাজা।

সেখানেই গত ফেব্রুয়ারি মাস থেকে চলছে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধুর শেখ মুজিবুর রহমানের জীবন ইতিহাস নিয়ে বিশেষ এক প্রদর্শনী। আলোকচিত্র, ভিডিও প্রেজেন্টেশনের মাধ্যমে দারুণভাবে দর্শকের সামনে হাজির হয়েছে ‘বঙ্গবন্ধু’। .গেলো ফেব্রুয়ারিতে সামদানি আর্ট ফাউন্ডেশন আয়োজিত ঢাকা আর্ট সামিটের অংশ হিসেবে শুরু হয় ‘লাইটিং দ্য ফায়ার অফ ফ্রিডম: বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান’ শীর্ষক প্রর্দশনী।  এতে ১৯২০ থেকে ১৯৭৫ সাল পর্যন্ত বঙ্গবন্ধুর জীবনের বিভিন্ন ঘটনার অংশ তুলে ধরা হয়েছে। .করোনার কারণে সবকিছু বন্ধ হয়ে যাওয়ার আগে ছোট বোন শেখ রেহানা এবং কন্যা সায়মা ওয়াজেদ পুতুলকে নিয়ে প্রদর্শনী ঘুরে দেখেছিলেন খোদ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এ সময় বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতির সামনে সেলফিও তুলেছিলেন তার কন্যা শেখ হাসিনা। .সামদানি আর্ট ফাউন্ডেশন আয়োজিত এ প্রর্দশনীতে তথ্যগত সহায়তা দিচ্ছে সেন্টার ফর রিসার্চ অ্যান্ড ইনফরমেশন (সিআরআই)। প্রর্দশনীতে প্রবেশ করতেই কানে ভেসে এলো বঙ্গবন্ধুর ৭ই মার্চের ঐতিহাসিক ভাষণ। বড় পর্দায় সেই ভাষণ প্রদর্শিত হচ্ছে দর্শকদের জন্য। যেখানে দৃপ্ত কণ্ঠে বঙ্গবন্ধু বলছেন- ‘এবারের সংগ্রাম আমাদের মুক্তির সংগ্রাম, এবারের সংগ্রাম আমাদের স্বাধীনতার সংগ্রাম’। .প্রর্দশনীর দেওয়ালে প্রথমেই বঙ্গবন্ধুর দারুণ একটি প্রতিকৃতি। এটিকে সূত্রস্থল ধরে এগিয়ে যেতে হবে প্রদর্শনীর দিকে। শুরুতেই ১৯২০ সালে বঙ্গবন্ধুর জন্ম ও তার বংশ পরিচয়ের তথ্য জানতে পারবেন দর্শক। এগিয়ে যেতে যেতে ভাষা আন্দোলন, ১৯৫৪ সালের যুক্তফ্রন্ট নির্বাচন, ৬ দফা গণঅভূত্থানের মতো ঘটনাপ্রবাহ।
 
এরপর একটু থামতে হবে। চলে এসেছে বছর ১৯৭১; মহান মুক্তিযুদ্ধের বছর। বঙ্গবন্ধুর ৭ই মার্চের ভাষণ, গ্রেফতার হওয়ার আগে স্বাধীনতার ঘোষণা দেওয়া থেকে শুরু করে মুক্তিসংগ্রামের বিভিন্ন চিত্র দর্শকদের সামনে তুলে ধরা হয়েছে। মুক্তিযুদ্ধের সময় বিশ্বের বিভিন্ন পত্রিকায় এ সংক্রান্ত প্রচ্ছদও উপস্থাপিত হয়েছে আলোক প্রক্ষেপণে। .এরপর ১৯৭২ সালে বঙ্গবন্ধুর স্বদেশ প্রত্যাবর্তন এবং তার সাড়ে ৩ বছরের শাসনামলের চিত্র প্রদর্শিত হয়েছে। সবশেষে থামতে হবে বিশালাকৃতিতে একটি লেখা ‘১৯৭৫ সালের’ সামনে। বাঙালির কালো দিন ‘১৫ আগস্টের’ বিবরণ রয়েছে এ অংশে। আর এর মধ্য দিয়ে সম্পন্ন হবে প্রদর্শনীটি। চলার পথে দুইটি বই আকৃতির ডিসপ্লের মাধ্যমে দর্শক এক নজরে জেনে নিতে পারবেন বঙ্গবন্ধুর জীবন সম্পর্কে। .সামদানি আর্ট ফাউন্ডেশনের সহকারী কিউরেটর রুক্সমিনি রিকভানা কিউ চৌধুরীর তত্ত্বাবধানে এই প্রদর্শনীটি বাস্তবায়িত হয়েছে ‘বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান মেমোরিয়াল জাদুঘর, ‘বাংলাদেশ জাতীয় জাদুঘর এবং মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘরের যৌথ সহায়তায়।
 
প্রদর্শনীর ভিডিওটির লিংক দেখুন।
 
বাংলাদেশ সময়: ০৯০৫ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ০১, ২০২০
ডিএন/এএটি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।