ঢাকা, শনিবার, ৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৩ নভেম্বর ২০২৪, ২১ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

ফিচার

ইতিহাসের এই দিনে

সৈয়দ ওয়ালীউল্লাহ ও এসএম সুলতানের প্রয়াণ

ফিচার ডেস্ক | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০০১২ ঘণ্টা, অক্টোবর ১০, ২০২০
সৈয়দ ওয়ালীউল্লাহ ও এসএম সুলতানের প্রয়াণ

ঢাকা: ইতিহাস আজীবন কথা বলে। ইতিহাস মানুষকে ভাবায়, তাড়িত করে।

প্রতিদিনের উল্লেখযোগ্য ঘটনা কালক্রমে রূপ নেয় ইতিহাসে। সেসব ঘটনাই ইতিহাসে স্থান পায়— যা কিছু ভালো, যা কিছু প্রথম, যা কিছু মানব সভ্যতার আশীর্বাদ-অভিশাপ।

ইতিহাসের দিনপঞ্জি মানুষের কাছে সবসময় গুরুত্ব বহন করে। এ গুরুত্বের কথা মাথায় রেখে বাংলানিউজের পাঠকদের জন্য নিয়মিত আয়োজন ‘ইতিহাসের এই দিন’।

১০ অক্টোবর ২০২০, শনিবার। ২৫ আশ্বিন ১৪২৭ বঙ্গাব্দ। এক নজরে দেখে নিন ইতিহাসের এই দিনে ঘটে যাওয়া উল্লেখযোগ্য ঘটনা, বিশিষ্টজনের জন্ম-মৃত্যুদিনসহ গুরুত্বপূর্ণ আরও কিছু বিষয়।

ঘটনা
১৭৫৬- লর্ড রবার্ট ক্লাইভের কলকাতা দখলে যাত্রা।
১৯৩২- নেভা নদীর ওপর সোভিয়েত ইউনিয়নের লেনিন জলবিদ্যুৎ প্রকল্প।
১৯৬৭- মহাশূন্য চুক্তি স্বাক্ষর।
১৯৯৭- ফ্রান্সের ৪০ জাতি শীর্ষ সম্মেলন।

জন্ম
১৮১৩- ইতালিয়ান সুরকার জুসেপ্পে ভের্দি।
১৯১২- বাংলাদেশি লেখক ও রাজনীতিবিদ অনিল মুখার্জি।
১৯১৬- বাঙালি কবি ও সাংবাদিক সমর সেন।
১৯৩০- নোবেলজয়ী ব্রিটিশ সাহিত্যিক হ্যারল্ড পিন্টার।
১৯৩৭- বাংলাদেশের মঞ্চ, বেতার ও টিভি অভিনেতা সিরাজুল ইসলাম।

মৃত্যু
১৫৩৯- প্রথম শিখগুরু নানক।
১৯৭১- কথাসাহিত্যিক সৈয়দ ওয়ালীউল্লাহ।

আধুনিক বাংলা সাহিত্যের এক স্তম্ভপ্রতিম কথাশিল্পী তিনি। ওয়ালীউল্লাহ শুধু ঔপন্যাসিক হিসেবেই নন, ছোটগল্প রচয়িতা হিসেবেও সমান কৃতিত্বের অধিকারী। তিনি অল্প বয়সেই সাহিত্যচর্চায় আত্মনিয়োগ করেন। ছাত্রাবস্থায় কলকাতায় তার প্রথম গল্পগ্রন্থ ‘নয়নচারা’ প্রকাশিত হয়। লালসালু, চাঁদের অমাবস্যা তার বিখ্যাত উপন্যাস।

বহু পুরস্কার ও সম্মাননা পেয়েছেন ওয়ালীউল্লাহ। তার মধ্যে উল্লেখযোগ্য ১৯৮৪ সালে একুশে পদক (মরণোত্তর), ১৯৬১ সালে বাংলা একাডেমি পুরস্কার ইত্যাদি।

১৯৯৪- বিখ্যাত চিত্রশিল্পী এসএম সুলতান।

তার পুরো নাম শেখ মোহাম্মদ সুলতান। আবহমান বাংলার ইতিহাস-ঐতিহ্য, দ্রোহ-প্রতিবাদ, বিপ্লব-সংগ্রাম এবং বিভিন্ন প্রতিকূলতার মধ্যেও টিকে থাকার কাহিনী তার শিল্পকর্মকে সবচেয়ে বেশি প্রভাবিত করেছে। তিনি ১৯৮২ সালে একুশে পদক, ১৯৮৫ সালে চারুশিল্পী সংসদ সম্মান, ১৯৯৪ সালে স্বাধীনতা দিবস পুরস্কার গ্রহণ করেন। তিনি ১৯৮০ দশকে যুক্তরাষ্ট্রের তৎকালীন প্রেসিডেন্ট রোনাল্ড রিগ্যানের কাছ থেকে শ্রেষ্ঠত্বের পুরস্কার গ্রহণ করেন। ১৯৫১ সালে নিউইয়র্কে, ইনস্টিটিউট অব ইন্টারন্যাশনাল এডুকেশন আয়োজিত সেমিনারে সরকারি প্রতিনিধি হিসেবে অংশ নেন তিনি। এছাড়াও ১৯৮১ খ্রিস্টাব্দে ঢাকায় অনুষ্ঠিত এশীয় চারুকলা প্রদর্শনীতে আন্তর্জাতিক জুরি কমিটির অন্যতম সদস্য মনোনীত হন। এসএম সুলতান ১৯৯৪ সালের ১০ অক্টোবর যশোরে সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে বিকেল ৪টা ৩৫ মিনিটে তিনি শেষ নিশ্বাস ত্যাগ করেন।

২০০০- শ্রীলঙ্কান প্রধানমন্ত্রী সিরিমাভো বন্দরনায়েকে।
২০০৪- মার্কিন চলচ্চিত্রাভিনেতা ক্রিস্টোফার রিভ।
২০১১- ভারতীয় উপমহাদেশের অন্যতম গজল গায়ক জগজিৎ সিং।

বাংলাদেশ সময়: ০০১০ ঘণ্টা, অক্টোবর ১০, ২০২০
টিএ/এএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।