ঢাকা: নিজ বাসায় হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে বুধবার (২৬ নভেম্বর) মারা গেছেন দিয়াগো ম্যারাডোনা। আর্জেন্টাইন কিংবদন্তির মৃত্যুতে শোকাহত সারাবিশ্ব।
১৮ বছর বয়সেই দক্ষিণ আমেরিকার সেরা ফুটবলার নির্বাচিত হয়েছিলেন ম্যারাডোনা। প্রথম স্ত্রী ক্লদিয়ার সঙ্গে তার বিয়ে হয় বেশ ধুমধাম করে। পরে অবশ্য ২০ বছরের দাম্পত্য ভেঙে গিয়েছিল ২০০৪ সালে।
বিচ্ছেদের পরেও প্রাক্তন স্ত্রী ক্লদিয়া, দুই মেয়ে ডালমা এবং জিয়ানিন্নাকে প্রায়ই দেখা গেছে ম্যারাডোনা সঙ্গে।
ঈশ্বরের বিচরণ সর্বত্র। তাই বলে ফুটবল মাঠে এসে দৈববলে নিজের হাতে গোল দিয়ে দেবেন, ব্যাপারটা কেউ হয়তো কল্পনায়ও আনবেন না। চোখ-ধাঁধানো পারফরম্যান্স দিয়ে ১৯৮৬ সালের বিশ্বকাপ মাতিয়ে রেখেছিলেন আর্জেন্টিনার অধিনায়ক। শেষ পর্যন্ত সে আসরের শিরোপাটাও উঠেছিল তার হাতে। দুর্দান্ত নৈপুণ্যে ইংল্যান্ডের জালে বল পাঠিয়েছিলেন হাত দিয়ে। পরে নিজেই সেই গোলের ব্যাখ্যায় বলেছিলেন, ঈশ্বরই তার হাত দিয়ে গোলটা করিয়ে নিয়েছেন! সেই থেকে গোলটির গায়ে পাকাপাকিভাবে বসে যায় ‘ঈশ্বরের হাতের গোল’ উপাধিটি।
মাঠে কিংবা মাঠের বাইরে এক বর্ণময় চরিত্র দিয়াগো ম্যারাডোনা। তিনি কেবল সাফল্য আর ব্যর্থতার নিক্তিতে বিচার্য নয়, বরং তার জীবন যেন ঢাকা পড়ে গিয়েছে তার অনাবিল হাসিতে, মুখরতায়।
ফিদেল কাস্ত্রোর সঙ্গে তার সম্পর্কটা ছিল আত্মিক, মতাদর্শিক। কিউবার অবিসংবাদিত নেতা ফিদেল ম্যারাডোনাকে বলতেন, ‘প্রিয় বন্ধু’। বা পায়ে ফিদলের ট্যাটু ফিদেলকেই দেখাচ্ছেন ম্যারাডোনা।
বেশির ভাগ সময় শর্টস, টি-শার্ট, পোলো শার্ট, রাবমুড়া, হাওয়াই শার্ট কিংবা প্রিন্ট, চেকস বা স্ট্রাইপড। আবার স্যুটেও তিনি তার মতোই। ট্রিম করা দাড়িতেও বেশ মানানসই। অনুরাগীরা গুরুতে অনুসরণ করেছেনও বৈকি। এই হাসিখুশি মানুষটি এখনো অজান্তেই বিচরণ করবেন তার ভক্তদের হৃদয়ে।
বাংলাদেশ সময়: ২০২০ ঘণ্টা, নভেম্বর ২৬, ২০২০
এএটি/এইচএমএস