ঢাকা, শুক্রবার, ১৪ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৯ নভেম্বর ২০২৪, ২৭ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

ফিচার

চা-বাগানে পহেলা বৈশাখের সূর্যরেখা

বিশ্বজিৎ ভট্টাচার্য বাপন, ডিভিশনাল সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১০২৭ ঘণ্টা, এপ্রিল ১৪, ২০২১
চা-বাগানে পহেলা বৈশাখের সূর্যরেখা সূর্য উদয়ের দৃশ্য। ছবি: বাংলানিউজ

মৌলভীবাজার: পহেলা বৈশাখ আজ। বাংলা কৃষ্টি ও সংস্কৃতির এক অবিচ্ছেদ্য অংশ।

তবে, করোনা সংক্রমণের তীব্রতার কারণে জননিরাপত্তার দিক বিবেচেনা করে গত বছরের মতো এবারও বাঙালি এই প্রাণের উৎসব উদযাপনে নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে সরকার।  তবে, প্রকৃতি তার আপন সৌন্দর্য নিয়ে বিকশিত। বুধবার (১৪ এপ্রিল) পহেলা বৈশাখের সকালে এমনই কিছু আলোকচিত্র ক্যামেরাবন্দি করা হয়েছে।  চা-বাগানে বাংলা নববর্ষের প্রথম সূর্যালোক। টিলা উপত্যাকার অসংখ্য চা-গাছগুলোতে সূর্য তার জ্যোতিধারারা মাধ্যমে আপন শক্তি ও পুষ্টি বর্ধন করে চলেছে। শুধু বৃক্ষরাজি নয়, মানব ও জীবকূলও এমন প্রাকৃতিক জ্যোতিরেখার কাছে ঋণী।  পহেলা বৈশাখে প্রথম সকালে কুয়াশা জমেছে চা-পাতাদের গায়ে। শীতের সঙ্গে কুয়াশার নিবিড় সম্পর্ক থাকলেও গরমকালে রাতে তাপমাত্রা কমে যায়। তখন চা প্রকৃতি ঠাণ্ডা হতে শুরু করে। ছড়িয়ে দেয় চা-গাছে গাছে কুয়াশার এমন আবরণ।  অসংখ্য চা-গাছের মাঝে দুটি পাতা একটি কুঁড়ি মাথা উঁচু করে আছে। কুঁড়িটি অন্য সবার থেকে আগে মাথা ওপরে তুলেছে। চা উত্তোলনকারী নারীদের হাত এমন উঁচু করে থাকা দুটি পাতা একটি কুঁড়ির দিকে আগে পৌঁছে। কুঁড়িগুলোকে চায়ের প্রক্রিয়াজাতকরণের জন্যে। চা-বাগানে চায়ের পাশাপাশি চাষ করা হয় রবার। নববর্ষের প্রথম সকালের সূর্যকিরণ রবারের পাতাগুলোকে বৈচিত্র্যময় আলোকসজ্জায় সাজিয়ে দিয়েছে। এমন দৃশ্যাবলিতে মুখর হয় চোখ। চা-বাগানের পাহাড়ি ছড়া। অনাদিকাল এরূপ জলাধার চা-বাগানের সমৃদ্ধিবর্ধনে অপরিসীম গুরুত্ব বহন করে। সূর্যালোকের মনোমুগ্ধকর কিরণ ছড়ার পানিতে পড়ে অন্যরকম সৌন্দর্য দান করেছে। চা-বাগানে পিকঢালা পথ। চায়ের রাজধানী শ্রীমঙ্গলের পাকা সড়ক। এ সড়কের দুই পাশে চা-গাছের সারি। প্রতিটি সকালের সূর্যালোক এমন দৃশ্যগুলোকে অপূর্ব করে তুলে।  

বাংলাদেশ সময়: ১০২৫ ঘণ্টা, এপ্রিল ১৪, ২০২১
বিবিবি/এএটি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।