কাতার বিশ্বকাপ শেষ হওয়ার এক মাসের বেশি সময় পেরিয়েছে। কিন্তু লিওনেল মেসি-আনহেল দি মারিয়ারা এখনো চ্যাম্পিয়ন হওয়ার আনন্দে ডুবে আছেন।
ফাইনাল যে এমন রোমাঞ্চকর হতে পারে, সেটা হয়তো কেউই আন্দাজ করতে পারেননি। তবে যত যা কিছুই হোক, দি মারিয়ার বিশ্বাস ছিল তারাই চ্যাম্পিয়ন হতে যাচ্ছেন। আর্জেন্টাইন সংবাদমাধ্যম টিওয়াইসি স্পোর্টসকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে এমনটাই জানান এই উইঙ্গার।
দি মারিয়া বলেন, ‘বিশ্বাসটা এসেছিল কোপা আমেরিকা থেকে। সেখান থেকেই সবকিছুর শুরু। তখন স্ত্রীকে বলেছিলাম আমরা চ্যাম্পিয়ন হয়ে আসর শেষ করবো এবং আমি গোল করবো। ফাইনালিসিমাতেও আমি একই জিনিস করি। এবার ফাইনালের আগেও সেই অনুভূতি আবারও বোধ করি আমি। আমার মনে হয়েছিল যে আমরা জিততে যাচ্ছি এবং আবারও গোল করতে যাচ্ছি। ’
ফ্রান্সের বিপক্ষে দি মারিয়া শুরুর একাদশে থাকবেন কি না তা নিয়ে একটা শঙ্কা ছিলই। দি মারিয়া নিজেও এ ব্যাপারে নিশ্চিত ছিলেন না। কেননা টুর্নামেন্টের মাঝপথেই ইনজুরিতে পড়েন তিনি। সেমিফাইনালে ক্রোয়েশিয়ার বিপক্ষে তাকে মাঠেই নামাননি লিওনেল স্কালোনি। কিন্তু ফাইনালের মতো গুরুত্বপূর্ণ লড়াইয়ে পূর্ণশক্তি নিয়েই একাদশ সাজাতে চেয়েছিলেন আর্জেন্টিনা কোচ। তাই দি মারিয়াকে বেঞ্চে বসিয়ে রাখার প্রয়োজন মনে করেননি তিনি।
গোল করে কোচের আস্থার প্রতিদান দেন দি মারিয়া। তিনি বলেন, ‘যখন নিজেকে লেফট উইংয়ে দেখলাম তখন ভেবেছিলাম সে (স্কালোনি) বিভ্রান্ত হয়ে পড়েছে। কিন্তু পরে আমাকে বুঝালো যে, এভাবেই আমরা ফ্রান্সকে ঘায়েল করতে পারি এবং এখানেই পার্থক্য সৃষ্টি করব আমরা। কারণ এটাই তাদের দুর্বল দিক ছিল। আবার এটি কোচের প্রতি কিছুটা সম্মান দেখানোও যে কি না প্রতেক ম্যাচে ভিন্ন কিছু করে এবং এই কারণেই টুর্নামেন্টটি এভাবে শেষ হয়েছে। ’
ক্যারিয়ারে এখন ক্রান্তিলগ্নে হাঁটছেন দি মারিয়া। আরেকটি বিশ্বকাপ যে খেলবেন না সেটাই আগেই জানিয়েছেন তিনি। তবে ২০২৪ কোপা আমেরিকা পর্যন্ত আর্জেন্টিনার জার্সি গায়ে মাতিয়ে রাখতে চান এই উইঙ্গার।
তিনি বলেন, ‘আমি কোপা আমেরিকায় খেলার চেষ্টা করব এবং যদি না হয়, তাহলে এর আগেই অবসর নেব। তবে আমি চালিয়ে যেতে চাই। আমি ভালো বোধ করছি এখন। যখন মনে হবে আমি আর কিছু দিতে পারব না, তখন ফুটবল থেকে নিজেকে সরিয়ে। সবসময় এই বিষয়টি নিয়ে সৎ থেকেছি। আগামী বছর যুক্তরাষ্ট্রে আমরা চেষ্টা করবো কোপা আমেরিকার শিরোপা ধরে রাখার। ’
বাংলাদেশ সময়: ১০২০ ঘণ্টা, জানুয়ারি ৩১, ২০২৩
এএইচএস