সাফ অনূর্ধ্ব-২০ নারী চ্যাম্পিয়নশিপে অপরাজিত চ্যাম্পিয়ন হয়েছে বাংলাদেশ। বাংলাদেশ অধিনায়ক শামসুন্নাহার জুনিয়র পুরো টুর্নামেন্টেই খেলেছেন দুর্দান্ত ফুটবল।
অধিনায়ক হিসেবে শামসুন্নাহারের এটা তৃতীয় টুর্নামেন্ট। প্রথম দুই টুর্নামেন্টে শিরোপা জিততে পারেননি। তখন অনেকেই অনেক কথা শুনিয়েছেন। এবারও তাদের জবাব দিতে পেরেছেন দলের অধিনায়ক।
ম্যাচশেষে শামসুন্নাহার বলেন, ‘জয়ের ফলে অনেক আনন্দিত। এর আগে দুই আসরে অধিনায়কত্ব করে ফাইনাল খেলেও চ্যাম্পিয়ন হতে পারিনি, এই প্রথম শিরোপা জিতলাম। আমাকে নিয়ে সবার একটা আক্ষেপ ছিল। বলত, তুমি কেন শিরোপা আনতে পারো না? তোমার হাতে ট্রফি নাই। এবার আমি নিজের সর্বোচ্চটা দিয়েছি, আশা করেছি, এবার ঘরের মাঠে খেলা, ট্রফিটা যেন ঘরেই থাকে। সবচেয়ে বড় পাওয়া অধিনায়ক হিসেবে আমি চ্যাম্পিয়ন হয়েছি, আমার টিম চ্যাম্পিয়ন হয়েছে। এটা ভাগ্যের ব্যাপার। দলকে ধন্যবাদ। ’
এবার আর স্বপ্নভঙ্গের কান্না চাননি বলে জানিয়েছেন তিনি। শামসুন্নাহার বলেন, ‘ম্যাচের আগে দলের সকলকে আমি বলেছিলাম এবার ম্যাচের পর আমরা জয়ের আনন্দের অশ্রু চাই। আমরা দেশবাসীকে জয় উপহার দিতে চাই। নিজেদের সেরাটা দিয়ে ম্যাচে জয় চেয়েছি এবং আমরা পেয়েছি। ’
ইনজুরি নিয়েই খেলেছেন দলের অধিনায়ক। ম্যাচে গোলও পেয়েছেন। ম্যাচের পর তিনি বলেন, ‘আমি একটু ইনজুরিতে ছিলাম। তবুও আমি চেষ্টা করেছিলাম। আমি যদি না থাকি তাহলে আমার দল সমস্যায় পড়তে পারে। আমি আমার সবোর্চ্চটা দিয়ে খেলার চেষ্টা করেছি । ‘
ম্যাচে প্রথম গোলটা এসেছে শাহেদা আক্তার রিপার কাছ থেকে। গোলের পরই চ্যাম্পিয়ন হওয়ার আত্মবিশ্বাস পেয়েছিলে বলে জানিয়েছেন রিপা। তিনি বলেন, ‘শিরোপা জয়ের পর খুব ভালো লাগছে। এর আগে এই মাঠে অনূর্ধ্ব-১৯ চ্যাম্পিয়ন হয়েছিলাম, এবার অনূর্ধ্ব-২০ চ্যাম্পিয়ন হলাম। অবশ্যই ভালো লাগছে। গোলটা করার পর মনে হচ্ছিল কাপটা এবার আমরাই নেব। ভুটান ম্যাচে পেনাল্টি মিস করেছিলাম বলে আক্ষেপ ছিল, কষ্ট পেয়েছিলাম। শট নেওয়ার সময় ভাবতে পারিনি গোলটা হবে, মেরেছি, গোল হয়ে গেছে। এখন লক্ষ্য সিনিয়র টিমে খেলা। ’
বাংলাদেশ সময়: ২১৪৩ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ০৯, ২০২৩
এআর/এএইচএস