ঢাকা, সোমবার, ১০ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৫ নভেম্বর ২০২৪, ২৩ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

ফুটবল

শেখ রাসেলের হার

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট, স্পোর্টস | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৯২৫ ঘণ্টা, এপ্রিল ৬, ২০২৪
শেখ রাসেলের হার

বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগের প্রথম পর্বের ম্যাচে মোহামেডানের বিপক্ষে ড্র করেছিল শেখ রাসেল ক্রীড়া চক্র। তবে ফিরতি লেগের খেলায় ঘরের মাঠ বসুন্ধরা কিংস অ্যারেনায় সফরকারীদের আটকে রাখতে পারলো না তারা।

ম্যাচে মোহামেডানের কাছে ৩-১ গোলে হেরেছে তারা। দুই লালকার্ডের ম্যাচে জয় নিয়ে মাঠ ছেড়েছে সাদা-কালোরা।

ম্যাচে দুটি লাল কার্ড দেখিয়েছেন রেফারি আলমগীর। দুটি লাল কার্ডই শেখ রাসেলের বিরুদ্ধে। প্রথমার্ধেই লাল কার্ড দেখে মাঠ ছাড়তে হয় শেখ রাসেলের কোচ ইয়োগোস্লাভ ত্রেনচোভস্কিকে। শেখ রাসেল আক্রমণে যাচ্ছিল, অফসাইডের পতাকা তুলেন সহকারি রেফারি। যার প্রতিবাদ জানায় শেখ রাসেলের ডাগ আউটে থাকা কোচ ও খেলোয়াড়রা। এক পর্যায়ে চতুর্থ রেফারির সঙ্গে তর্কে জড়ান শেখ রাসেলের কোচ। এর জেরেই কোচকে লাল কার্ড দেখান রেফারি।

এছাড়া ৭৯ মিনিটে লাল দেখেন শেখ রাসেলের গিনির ফুটবলার সেকু সিল্লাহ। শেখ রাসেল বাকি সময় ১০ জন নিয়ে খেলেছে। শওকত আলীর মুখে সরাসরি আঘাত করার কারণে রেফারি আলমগীর সরকার লাল কার্ড দেখান।  

এরআগে কিংস অ্যারেনাতে মোহামেডান প্রথম সুযোগ পায় ১১ মিনিটে। মিতুল মারমার দুর্দান্ত সেভে মুজাফফরভের প্রচেষ্টা বিফলে যায়। বক্সের বাইরে থেকে তার দূর পাল্লার গতির শট লাফিয়ে প্রতিহত করেন মিতুল।

এরপর মোহামেডানের ওপর চড়াও হয়ে খেলতে থাকে শেখ রাসেল। সুযোগ তৈরি করলেও ফিনিশিং করতে পারছিলেন না দলের ফরোয়ার্ডরা। মোহামেডানও প্রতি আক্রমণে যাওয়ার চেষ্টা করেছে। প্রথমার্ধেই গোলের দেখা পায় মোহামেডান। ৩৬ মিনিটে পেনাল্টি থেকে দলকে এগিয়ে নেন সোলেমান দিয়াবাতে। বক্সের বাইরে থেকে এমানুয়েক সানডের গতিময় শট মিতুল ফিরিয়ে দিলেও ক্লিয়ার করতে পারেননি। ফিরতি বল দিয়াবাতে নিয়ন্ত্রণে নেয়ার চেষ্টা করলে পেছন থেকে তাকে ফেলে দেন সাগর মিয়া। তখন পেনাল্টির বাঁশি বাজান রেফারি।

প্রথমার্ধেই সমতায় ফেরে শেখ রাসেল। বক্সের মধ্যে মেহেদি হাসান মিঠুর হাতে বল লাগলে পেনাল্টির বাঁশি বাজান রেফারি। সফল স্পট কিকে দলকে সমতায় ফেরান সার্বিয়ান ফরোয়ার্ড ভোজিসলাভ বালাবানোভিচ। বিরতির পর মোহামেডানের দাপট অব্যাহত থাকে। ৫০ মিনিটে গোলরক্ষক মিতুলকে একা পেয়েও দিয়াবাতে বল জালে পাঠাতে পারেননি।

দ্বিতীয়ার্ধে মোহামেডানের আগ্রাসী ফুটবলের সামনে মাথা তুলে দাঁড়াতেই পারছিল না শেখ রাসেল। ৫০তম মিনিটে মিতুলকে একা পেয়েও বল জালে পাঠাতে পারেননি দিয়াবাতে।

অনেক প্রচেষ্টার পর ৭২তম মিনিটে ব্যবধান বাড়ায় মোহামেডান। প্রায় ২৫ গজ দূর থেকে মোজাফ্ফরভের শট বাঁক খেয়ে মিতুলকে বোকা বানিয়ে জড়ায় জালে। দূরপাল্লার শটে নিয়মিত গোল করে চলেছেন উজবেকিস্তানের এই ফরোয়ার্ড। ফেডারেশন কাপের সবশেষ ম্যাচেও একইভাবে লক্ষ্যভেদ করেছিলেন তিনি।

পাঁচ মিনিট পর তৃতীয় গোলটি করেন বদলি খেলোয়াড় জাফর ইকবাল। দিয়াবাতের কাটব্যাকে দূরের পোস্টে আলতো ছোঁয়ায় এই ফরোয়ার্ড বল জালে পাঠালে ম্যাচের নিয়ন্ত্রণ চলে যায় মোহামেডানের মুঠোয়। শেষ পর্যন্ত ব্যবধান ধরে রেখে জয় নিয়ে মাঠ ছাড়ে মোহামেডান।

মোহামেডান ১১ ম্যাচে ষষ্ঠ জয়ে ২৩ পয়েন্ট নিয়ে দ্বিতীয় স্থানে আছে। সমান ম্যাচে শেখ রাসেল আগের ১১ পয়েন্টে সপ্তম স্থানেই অবস্থান করছে। কিংস ২৮ পয়েন্ট নিয়ে আছে শীর্ষেই। দিনের অন্য ম্যাচে, গোপালগঞ্জের শেখ ফজলুল হক মনি স্টেডিয়ামে শেখ জামাল ধানমণ্ডি ক্লাব ও বাংলাদেশ পুলিশের ম্যাচটি ২-২ ড্র হয়েছে। ১১ ম্যাচে ১৫ পয়েন্ট শেখ জামালের; ১৪ পয়েন্ট বাংলাদেশ পুলিশের। শেখ রাসেলের হয়ে জোড়া গোল করেন আবো তোরে। পুলিশের হয়ে গোল দুটি করেন এডওয়ার্ড মোরেল্লো এবং আল-আমিন।  

বাংলাদেশ সময়: ১৯২৫ ঘণ্টা, এপ্রিল ০৬, ২০২৪
এআর/আরইউ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।