ঢাকা, বুধবার, ২৪ আশ্বিন ১৪৩১, ০৯ অক্টোবর ২০২৪, ০৫ রবিউস সানি ১৪৪৬

ফুটবল

চ্যাম্পিয়ন্স লিগের অভিজ্ঞতা জাতীয় দলে কাজে লাগাতে চান ঋতুপর্ণা

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট, স্পোর্টস  | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৮০৭ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ৭, ২০২৪
চ্যাম্পিয়ন্স লিগের অভিজ্ঞতা জাতীয় দলে কাজে লাগাতে চান ঋতুপর্ণা

নারী এএফসি চ্যাম্পিয়ন্স লিগের প্রথম আসরে খেলতে পারেনি বাংলাদেশের কোনও ক্লাব। তবে বাংলাদেশের চার নারী ফুটবলারকে দলে নিয়েছিল ভুটানের ক্লাব রয়েল থিম্পু কলেজ এফসি।

যদিও আইটিসি (পূর্ববর্তী ক্লাবের অনুমতিপত্র) না থাকার কারণে ভুটানে গেলেও মাঠে নামতে পারেননি অভিজ্ঞ ফুটবলার সাবিনা খাতুন।  

তবে ঋতুপর্ণা চাকমা, মারিয়া মান্দা ও মনিকা চাকমা খেলেছেন চ্যাম্পিয়ন্স লিগে। দলের হয়ে গোল করেছেন ঋতুপর্ণা। সেই টুর্নামেন্ট খেলে দেশে ফিরে তিনি জানালেন নিজের অভিজ্ঞতার কথা। বাংলাদেশের ক্লাব এএফসি চ্যাম্পিয়ন্স লিগে খেলার জন্য লাইসেন্সিং করলে দল ভালো কিছু করে দেখাতে পারবে বলে বিশ্বাস করেন ঋতুপর্ণা।

এএফসি চ্যাম্পিয়ন্স লিগের মতো বড় টুর্নামেন্টে গোল করে আনন্দিত ঋতু বলেন, ‘এত বড় একটা টুর্নামেন্টে খেলেছি, ক্লাবের হয়ে গোল করেছি। এটা সত্যিই আনন্দের। অনেক দেশের ফুটবলারদের সঙ্গে খেলার অভিজ্ঞতা হয়েছে। এটা আমাদের জন্য ভালো একটা দিক। আমরা আগামীতে এই অভিজ্ঞতা কাজে লাগাতে পারবো। ’ 

একই সুর মারিয়া, মনিকার কণ্ঠে। মারিয়া বলেন, ‘এই প্রথম এত বড় ক্লাব টুর্নামেন্টে খেললাম। এটা দারুণ একটা অভিজ্ঞতা। আমাদের সকলেরই নতুন নতুন অভিজ্ঞতা হয়েছে। আগামীতে এই অভিজ্ঞতা আমাদের অনেক কাজে আসবে। ’

খেলার অভিজ্ঞতা দেশের ফুটবলে কাজে লাগাতে চান ঋতুপর্ণা, মারিয়া, মনিকারা। এ নিয়ে ঋতুপর্ণা বলেন, ‘আসলে এর আগেও অনেকবার দেশের বাইরে খেলতে গেছি। এবারের বিষয়টা ভিন্ন। বিদেশের ক্লাবের হয়ে চ্যাম্পিয়ন্স লিগে খেলতে গিয়েছি। অনেক বাইরের ফুটবলারদের সঙ্গে ড্রেসিংরুম শেয়ার করেছি। সব মিলিয়ে দারুণ একটা সময় গেছে। নতুন অভিজ্ঞতা সামনের দিনে আমাদের কাজে আসবে। ’

দক্ষিণ এশিয়ার চ্যাম্পিয়ন দলের ফুটবলার হিসেবে খেলতে গিয়েছিলেন বাংলাদেশের ফুটবলাররা। ফলে কিছুটা বাড়তি সমাদরও পেয়েছেন। তিনি বলেন, ‘আমরা সাফ চ্যাম্পিয়ন দলের ফুটবলার হিসেবে খেলতে গিয়েছিলাম। আমরাদের সবাই সমাদর করেছে। সবাই আমাদের সাথে কথা বলেছে। বিভিন্ন কিছু জানতে চেয়েছে। ভালো হোটেলের ব্যবস্থা করা হয়েছিল আমাদের জন্য। সব মিলিয়ে তাদের আপ্যায়ন, খুবই ভালো ছিল। ’

ভুটানে খেলার পর ঋতুপর্ণার মনে হয়েছে বাংলাদেশের ক্লাব এএফসি চ্যাম্পিয়ন্স লিগে খেললে ভালো করতে পারতো। চ্যাম্পিয়ন হতে না পারলেও নিজেদের মেলে ধরতে পারতো। তিনি বলেন, ‘আমরা সেখানে (ভুটানে) খেলতে গিয়েছিলাম, তবে তাদের চেয়ে আমরা এগিয়েই আছি বলে আমার মনে হয়েছে। আমার মনে হয়েছে বাংলাদেশের ক্লাব চ্যাম্পিয়ন্স লিগে খেলার পদক্ষেপ নিলে আমরা ভালো কিছুই করতে পারবো। ’

বাংলাদেশের নারী ফুটবল লিগ চলে নামকাওয়াস্তে। কোনও ক্লাবই তেমন সংগঠিত নয়। বসুন্ধরা কিংসই একমাত্র পেশাদারিত্বের সঙ্গে অংশ নিতো। তবে এবারের লিগে অংশ নেয়নি ক্লাবটি। এএফসি চ্যাম্পিয়ন্স লিগে খেলতে হলে যে ধরনের সুযোগ-সুবিধা এবং পেশাদারিত্ব থাকার প্রয়োজন তেমন অবকাঠামো নেই দেশের নারী লিগে অংশ নেয়া অধিকাংশ ক্লাবেরই। বড় ক্লাবগুলো আগামীতে নারী ফুটবল লিগে নিজেদের মনোযাগ বাড়াবে এমনটাই প্রত্যাশা দেশের ফুটবল প্রেমীদের।

বাংলাদেশ সময়: ১৮০৬ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ০৭, ২০২৪
এআর/এমএইচএম

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।