বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশনে নতুন বছরে নতুন দায়িত্বে যোগ দিলেন নারী ফুটবল দলের প্রথম সাফজয়ী কোচ গোলাম রব্বানী ছোটন। আগামী এক বছরের জন্য বাফুফের এলিট ফুটবল একাডেমি এবং ইয়ুথ ডেভেলপমেন্টের প্রধান হিসেবে নিয়োগ পেয়েছেন বাংলাদেশ জাতীয় নারী ফুটবল দলের সাবেক এই প্রধান কোচ।
এই দায়িত্বকে নতুন চ্যালেঞ্জ হিসেবেই নিচ্ছেন ছোটন। বৃহস্পতিবার বাফুফে ভবনে তিনি বলেন, ‘আমি যে দায়িত্বটা পেয়েছি সেটা হলো ইয়ুথ ডেভলপমেন্ট। আমি মনে করি এখানে কাজ করার অনেক সুযোগ রয়েছে। অনেক উন্নতি করার জায়গা রয়েছে। উন্নতি করার বিষয়টাই আমার ফোকাস থাকবে। খেলোয়াড়দের যেন উন্নতি হয় এবং তারা ভালো খেলায়াড় হয়। তারা ভালো মানুষ হয়ে যেন অনেক উচুতে পৌঁছাতে পারে এটাই আমার মূল লক্ষ্য। ’
‘প্রেসিডেন্ট এবং ভাইস প্রেসিডেন্টের সঙ্গে আমার আলোচনা হয়েছে। তারা আমাকে সহযোগিতার আশ্বাস দিয়েছেন। আমাদের মূল লক্ষ্যই থাকবে খেলোয়াড়দের উন্নতি করা। আমরা খেলোয়াড়দের উন্নয়নের জন্য কাজ করে যাবো। ’
বয়সভিত্তিক পর্যায় থেকে শুরু করে সিনিয়র পর্যন্ত, দক্ষিণ এশিয়ার গণ্ডি পেরিয়ে এশিয়াঅব্দি; বাংলাদেশ আলাদা করে প্রতিষ্ঠা করেছে নিজেদের। ঘরে আসে ২০১৫, ২০১৬ এএফসি অনূর্ধ্ব-১৪ আঞ্চলিক চ্যাম্পিয়ন ট্রফি। ২০১৭ সালে সাফ অনূর্ধ্ব-১৫ ফুটবলে চ্যাম্পিয়ন হয় বাংলাদেশ, ২০১৮ ও ২০১৯ সালে রানার্স আপ।
২০১৮ সালে প্রথমবারের মতো আয়োজিত সাফ অনূর্ধ্ব-১৮ ফুটবলেও বাংলাদেশ চ্যাম্পিয়ন হয়। ২০১৬-১৭ সালে সিনিয়র সাফে হয় রানার্স আপ। দেশে তৈরি হয় নারী ফুটবলের জাগরণ। ২০২২ সিনিয়র সাফের চ্যাম্পিয়ন হওয়ার মধ্য দিয়ে মুকুটে সবশেষ পালকটি যোগ করেছিলেন ছোটন। সেই ছোটনের হাতে নতুন ফুটবলার গড়ার দায়িত্ব তুলে দিয়েছে বাফুফে।
এই দায়িত্ব নিজের সেরাটা দিয়েই পালন করবেন বলে জানিয়েছেন তিনি। ছোটন বলেন, ‘আমরা এখানে কাজ করবো। এটাই আমাদের মূল লক্ষ্য। এছাড়া আর কোনো চাপ নেই। আমি আগেও অনেকবার বলেছি ২০০৮ সালে আমি ছিলাম জাতীয় দলের সহকারী কোচ। সেখান থেকে আমাদের দেওয়া হয় নারী দলের কোচের দায়িত্ব। তখন মহিলা ফুটবলের অবস্থা সবাই জানেন। সেখানে আমি নিজের সর্বোচ্চটা দিয়ে চেষ্টা করেছি মহিলা ফুটবলের উন্নয়নের জন্য। ’
‘মহিলা ফুটবল যখন সাফ চ্যাম্পিয়ন হয়ে আসে সেখান থেকে আমি সরে আসি। আমি সেনাবাহিনী নারী ফুটবল দলের দায়িত্ব নেই। গত লিগে আপনারা দেখেছেন সেনাবাহিনী নারী ফুটবল দল বেশ ভালো করেছে। এখানেও যেহেতু সবাই তরুণ ট্যালেন্ট। তারা ভালো কিছুর আশায় এখানে আসে। আমাদের মূল লক্ষ্য থাকবে তাদের ভালো ফুটবলার হিসেবে তৈরি করা। বাংলাদেশে যেন ভালো ফুটবলার তৈরি হয়, জাতীয় দল যেন শক্তিশালী হয় এবং তাদের ভবিষ্যত যেন ভালো হয় সেই লক্ষ্য নিয়েই আমরা কাজ করবো। ’
ছোটন আরও বলেন, ‘প্রতিটা কাজই চ্যালেঞ্জ নিয়ে শুরু করতে হবে। এবং সেই চ্যালেঞ্জ উৎরে যেতে হবে। এর আগেও আমরা চ্যালেঞ্জ নিয়ে কাজ করেছি। সেখানেও চ্যালেঞ্জ ছিল। এখানে কাজের অনেক সুযোগ রয়েছে কারণ এখানে যারা আছে সবাই নতুন। তারা ভালো ফুটবলার হওয়ার স্বপ্ন নিয়ে এসেছে, তাদের সেই স্বপ্নের প্রতিফলন ঘটানো এবং তাদের ভালো অবস্থানে আমাদের নিয়ে যেতে হবে। ’
বাংলাদেশ সময়: ১৭৫২ ঘণ্টা, জানুয়ারি ০২, ২০২৪
এআর/আরইউ