ঢাকা, মঙ্গলবার, ১১ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৬ নভেম্বর ২০২৪, ২৪ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

ফুটবল

ফুটবলের সামগ্রিক কার্যক্রম জানালেন বাফুফে সভাপতি

স্পোর্টস করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৭৫৪ ঘণ্টা, জানুয়ারি ২৯, ২০১৭
ফুটবলের সামগ্রিক কার্যক্রম জানালেন বাফুফে সভাপতি ছবি: সংগৃহীত

দেশের জনগণকে ফুটবল সংক্রান্ত কার্যক্রম, উন্নয়ন প্রকল্প এবং অর্জন সম্পর্কে জানাতে বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশনের আয়োজনে সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। সেখানে কথা বলেন বাফুফের প্রেসিডেন্ট কাজী সালাউদ্দিন। 

সংবাদ সম্মেলনে সালাউদ্দিন বলেন, ‘গত বছর ডিসেম্বরে ফুটবল ডেভেলপমেন্ট প্রোগ্রামের তৃতীয় পর্যায়ের কাজ শুরু হয়েছে। এর আওতায় ২০২০ সাল পর্যন্ত ফুটবলের সামগ্রিক উন্নয়নের জন্য যাবতীয় কার্যক্রম হাতে নেয়া হবে।

এক্ষেত্রে ইতোমধ্যেই নতুন পদক্ষেপ নেয়া হয়েছে। এই পরিকল্পনা সঠিকভাবে বাস্তবায়নে আমাদের এখনো অনেক পথ পাড়ি দিতে হবে। ’ 

বাংলাদেশ জাতীয় পুরুষ ফুটবল দল প্রসঙ্গে তিনি জানান, ‘সম্প্রতি জাতীয় পুরুষ দলের জন্য সাভার বিকেএসপিতে বিশেষ কন্ডিশনিং ক্যাম্পের আয়োজন করা হয়েছে। এই ক্যাম্পের মাধ্যমে প্রথমবারের মতো খেলোয়াড়দের শারীরিক দিকগুলো পর্যবেক্ষণ করা হবে। ১২ দিনব্যাপী এই ক্যাম্পে প্রত্যেক খেলোয়াড়কেই বিভিন্ন ক্যাটাগরির ফিটনেস টেস্ট দিতে হবে যার মাধ্যমে তার গুরুত্বপূর্ণ তথ্য সংগ্রহ করবো আমরা। বিজ্ঞানসম্মতভাবে আয়োজিত এই প্রক্রিয়ার আওতায় বাছাইকৃত ৬২ জন খেলোয়াড় সম্পর্কে তথ্য-উপাত্ত সংগ্রহ করার কাজ চলছে যা দল নির্বাচনের ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে। এর পাশাপাশি এ ধরনের তথ্য বিশ্লেষণ করে দল গড়ার আগে ক্লাবগুলোও নির্দিষ্ট খেলোয়াড়ের সামর্থ্য সম্পর্কে জানতে পারবে। এ ধরনের উদ্যোগের মাধ্যমে বিদেশীদের সঙ্গে আমাদের খেলোয়াড়দের তুলনায় আমাদের খেলোয়াড়রা কোথায় তা নির্ণয় করাটাও সহজ হবে। এ বিষয়ে খেলোয়াড়রা অত্যন্ত ইতিবাচক এবং এর মাধ্যমে তারা ব্যাপকভাবে উপকৃত হবে। ’ 

তিনি আরও জানান, ‘নতুন খেলোয়াড়, কোচ, রেফারি এবং ফুটবলের উন্নয়নে নিয়োজিত কর্মী তৈরি করার জন্য স্থানীয় লিগ এবং বিভিন্ন প্রতিযোগিতার কোনো বিকল্প নেই। এতদিন ধরে ফুটবল উন্নয়ন কর্মসূচি বাস্তবায়ন করা হয়েছে। গত ডিসেম্বরে বাফুফে সফলভাবে অনূর্ধ্ব-১৪ প্রমীলা ফুটবল চ্যাম্পিয়নশিপ আয়োজন করেছে যার মাধ্যমে ভবিষ্যতে নতুন নতুন খেলোয়াড় উঠে আসবে বলে আমি বিশ্বাস করি। এছাড়া ১২টি দলের অংশগ্রহণে জেবি বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগ আয়োজন করা হয়েছে যেখানে প্রত্যেকটি দল ২২টি করে ম্যাচ খেলেছে। ৮টি দলের অংশগ্রহণে মার্সেল চ্যাম্পিয়নশিপ লিগও ডিসেম্বরে শেষ হয়েছে। ১২টি দলের অংশগ্রহণে সাইফ পাওয়ার টেক দ্বিতীয় বিভাগ ফুটবল চ্যাম্পিয়নশিপও সফলভাবে আয়োজন করা হয়েছে। ’ 

বাফুফের অবকাঠামো উন্নয়ন জানাতে গিয়ে ফেডারেশনের সভাপতি যোগ করেন, ‘আমরা সবাই জানতাম যে ফুটবলের হারানো দিন ফিরিয়ে আনতে হলে আমাদের আরো সচেষ্ট হতে হবে। দেশের মানুষের কাছে ফুটবলকে পৌঁছে দিতে সর্বস্তরে পেশাদার উদ্যোগের প্রয়োজন ছিল। এজন্য বিশেষজ্ঞ ব্যক্তিবর্গ নিয়োগ দেয়ার প্রয়োজন ছিল। আমি নিশ্চিত ফেডারেশনে নতুন বিশেষ করে বিদেশী বিশেষজ্ঞদের প্রয়াস আমাদের জন্য সুফল বয়ে আনছে। ’ 

‘টেকনিক্যাল ডিরেক্টর পল স্মলির অনেকগুলো দায়িত্বের একটি বাংলাদেশের ফুটবলের সামগ্রিক উন্নয়নে ভূমিকা রাখা। তার অভিজ্ঞতার আলোকে ফুটবলের উন্নয়নের দিকে আমাদের যাত্রা সুগম হবে বলে মনে করি। প্রধান গোলকিপিং কোচ রায়ান স্যান্ডফোর্ড-এর দায়িত্ব বাংলাদেশের প্রতিটি বয়সভিত্তিক দলের গোলকিপারকে প্রশিক্ষণ দেয়া। তবে আমাদের এই বিশেষজ্ঞদের অন্যতম দায়িত্ব বাংলাদেশ নারী ফুটবল দলের প্রধান কোচ গোলাম রব্বানী ছোটন ও তার সহকারী মাহবুবুল আলম লিটুদের মতো যারা আছেন তাদের যথাযথ সহায়তা দেয়া। এরই আওতায়, ছোটন এবং লিটু সহ এই দুজন বর্তমানে জাপানে আছেন। উল্লেখ্য প্রমীলা দলের সাফ পারফরমেন্স এবং অ-১৬ প্রমীলা দলের এএফসি কোয়ালিফায়ার জেতার কৃতিত্ব ছোটন এবং লিটুর মতো কোচদের। তাদের যথাযথ সহযোগিতা দেবে আমাদের বিশেষজ্ঞরা’ যোগ করেন সালাউদ্দিন।  

বাংলাদেশ সময়: ২৩৫৫ ঘণ্টা, ২৯ জানুয়ারি ২০১৭
এমআরপি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।