ম্যানচেস্টার সিটির ডিফেন্ডার বেঞ্জামিন মেন্দির বিরুদ্ধে ধর্ষণ ও নির্যাতনের অভিযোগের বিচার শুরু হয়েছে। বিশ্বকাপজয়ী ফরাসি তারকার বিরুদ্ধে সাক্ষ্য দিয়েছেন ১৩ জন নারী।
মেন্দির বিরুদ্ধে অভিযোগ, ২০১৮ ও ২০২১ সালের মধ্যবর্তী সময়ের মধ্যে আট নারীকে ধর্ষণ ও একজনের শ্লীলতাহানী করেছেন তিনি। সেই অভিযোগের শুনানিতে একের পর এক চমকপ্রদ তথ্য সামনে আসছে। ২৮ বছর বয়সী ডিফেন্ডারের বিরুদ্ধে অভিযোগনামায় আরো বলা হয়, নারীদের ওপর আক্রমণের সময় তিনি ‘পশু’র মতো আচরণ করেন।
আদালতের শুনানিতে বলা হয়, তিনি খ্যাতি ও সম্পদ ব্যবহার করে নারীদের লোভ দেখিয়ে নিজের বাসায় এনে ধর্ষণ করেছেন। এতে তাকে সহযোগিতা করেছেন তার ‘বন্ধু’ ৪১ বছর বয়সী লুইস সাহা মাত্তুরিয়ে। বাসায় পুল পার্টির পর এবং একটি নৈশ ক্লাব মিলিয়ে এক রাতে মোট তিন নারীকে ধর্ষণ করেছেন মেন্দি। তার বাসার দরজা এমনভাবে প্রস্তুত করা হয়েছে, যেখান থেকে ভিকটিম নারীরা পালাতেও পারতেন না। সেই সব নারীর সঙ্গে নির্দয় আচরণকে মেন্দি ‘খেলা’ মনে করতেন। সেই সঙ্গে নিজেকে প্রভাবশালী উল্লেখ করে বলতেন, তার কিছুই হবে না।
অভিযোগকারীদের আইনজীবী টিমোথি ক্রো বলেন, মেন্দির বন্ধু মাত্তুরিয়ের কাজ ছিল তরুণীদের ফাঁদে ফেলে নির্যাতনের পরিবেশ সৃষ্টি করা। এ ক্ষেত্রে ১৭ থেকে ১৮ বছর বয়সী তরুণীদের লক্ষ্যবস্তু বানাতেন, যারা একদম মাতাল হয়ে পড়তেন। এর মধ্যে বেশির ভাগ ঘটনাই ঘটেছে করোনা ভাইরাস মহামারিতে লকডাউন চলাকালে বাসায় আয়োজন করা পার্টিতে।
২০১৭ সালে মোনাকো থেকে ডিফেন্ডারদের দলদবলের বিশ্ব রেকর্ড গড়ে সিটিতে যোগ দেন মেন্দি। কিন্তু ধর্ষণের অভিযোগ প্রমাণিত হলে তিনি কঠোর শাস্তি পাবেন এবং তার ফুটবল ক্যারিয়ারের ইতি ঘটবে। যদিও তিনি নিজে অভিযোগ অস্বীকার করেছেন। কিন্তু প্রায় তিন মাস ব্যাপী চলবে এই বিচারকাজ। এরপর আসবে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত। এই সময়টায় তার ক্যারিয়ার থেমে থাকবে।
বাংলাদেশ সময়: ১৮১৯ ঘণ্টা, আগস্ট ১৬, ২০২২
এমএইচএম